ছোটবেলা থেকেই মাশরাফি খুব চঞ্চল ছিলেন। আর তার সেই চাঞ্চল্যতা দেখা য়ায় খেলার মাঠেও। ছোটবেলায় খেলা করতে, বন্ধুদের সঙ্গে ঘুরে বেড়াতে, আড্ডা দিতে, চিত্রা নদীতে সাঁতার কাটতে খুব পছন্দ করতো। তবে এমনি দূড়ন্তপনায় একদিন মাশরাফির ছেলেবেলায় বাড়ির সবাইকে ভয় পাইয়ে দিয়েছিল।
মাশরাফির মা এমনই একটা ঘটনার কথা উল্লেখ করে বলেন, ওর (মাশরাফির) যখন ১০ বছর বয়স, তখন মামা বাড়ির তিনতলা ছাদে বন্ধুদের সঙ্গে খেলতে গিয়ে ছাদ থেকে পড়ে যায় মাশরাফি। মাটিতে পড়ে যাওয়ার সঙ্গে সঙ্গে ওর বন্ধুরা চিৎকার করে উঠে।
পরে আমরা তাকে নড়াইল সদর হাসপাতালে নিয়ে যাই। চিকিৎসক মাশরাফিকে দেখে বলেন ওর কিছুই হয়নি। পরে ওকে ঘণ্টা খানেক বিশ্রামে রেখে বাড়ি পাঠিয়ে দেন। কৌশিকের (মাশরাফির ডাক নাম) ওপর আল্লাহর রহমত আছে বলেই তিনতলা ছাদ থেকে পড়েও ওর কিছুই হয়নি। এমনকি ওর শরীরের কোথাও কোনো ক্ষতও হয়নি।
রোববার (২৪ সেপ্টেম্বর) সকালে এক গণমাধ্যামে এসব কথা বলেন বাংলাদেশ ওয়ানডে ক্রিকেট দলের সফল অধিনায়ক সেরা বাঙালি মাশরাফি বিন মুর্তজার রত্নগর্ভা মা হামিদা মুর্তজা বলাকা।
মাশরাফি যখন ভালো কিছু করে তখন আপনার কেমন লাগে এমন প্রশ্নের জবাবে হামিদা বলেন, সন্তান যখন ভালো কিছু করে তখন প্রতিটা মায়েরই ভালো লাগে। মাশরাফি যখন ভালো কিছু করে তখন আমারও খুব ভালো লাগে। আমি আল্লাহর কাছে সব সময় প্রার্থনা করি মাশরাফিরা যেন সব সময় ভালো খেলতে পারে। দেশকে ভালো কিছু উপহার দিতে পারে।
দেশের সব ক্রিকেট প্রেমী মানুষ ২০১৯ সালের বিশ্বকাপের দিকে তাকিয়ে আছে। ইনশাআল্লাহ আগামী বিশ্বকাপে আমাদের ছেলেরা ভালো কিছু উপহার দিবে দেশকে। দেশবাসীর কাছে এসময় মাশরাফিসহ দলের সব খেলোয়াড়দের জন্য দোয়া কামনা করেন এ মমতাময়ী মা।
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন