পিলখানা ট্র্যাজেডির এক দশক পূর্ণ হলো আজ সোমবার। দশ বছর আগে ২০০৯ সালের ২৫ ও ২৬ ফেব্রুয়ারি রাজধানীর পিলখানায় তৎকালীন বিডিআর বর্তমানে বিজিবি (বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ) সদর দপ্তরে ঘটে যায় এক মর্মান্তিক নৃশংস ঘটনা। ৩৬ ঘণ্টার ওই নারকীয় ও বর্বরোচিত হত্যাকাণ্ডে ৫৭ সেনা কর্মকর্তা, ১ জন সৈনিক, দুই সেনা কর্মকর্তার স্ত্রী, ৯ বিজিবি সদস্য ও ৫ জন বেসামরিক ব্যক্তি নিহত হন। আজ সোমবার ও আগামীকাল মঙ্গলবার বর্বরোচিত ওই হত্যাকাণ্ডে শহীদ ব্যক্তিবর্গের শ্রদ্ধার সঙ্গে স্মরণ করবে বাংলাদেশ সেনাবাহিনী ও বিজিবি।
দিবসের কর্মসূচি : গতকাল রবিবার আইএসপিআর ও বিজিবির পৃথক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, আজ দিনের কর্মসূচি অনুযায়ী সকাল সাড়ে ৮টায় বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর ব্যবস্থাপনায় বনানী সামরিক কবরস্থানে রাষ্ট্রপতির প্রতিনিধি, প্রধানমন্ত্রীর প্রতিনিধি, স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী, তিন বাহিনীর প্রধান (সম্মিলিতভাবে), স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের জননিরাপত্তা বিভাগের সচিব এবং বিজিবি মহাপরিচালক শহীদদের স্মৃতিস্তম্ভে পুষ্পস্তবক অর্পণ করবেন। এ ছাড়া, শহীদ ব্যক্তিবর্গের রুহের মাগফিরাতের উদ্দেশ্যে রাজধানীর পিলখানার বিজিবি সদর দপ্তরসহ সব রিজিয়ন, সেক্টর, প্রতিষ্ঠান ও ইউনিটের ব্যবস্থাপনায় খতমে কোরআন, বিজিবির সব মসজিদে এবং বিওপি পর্যায়ে শহীদদের রুহের মাগফিরাত কামনা করে দোয়া ও মিলাদ মাহফিলের আয়োজন করা হয়েছে।
আগামীকাল মঙ্গলবার বাদ আসর পিলখানার কেন্দ্রীয় মসজিদে শহীদ ব্যক্তিবর্গের আত্মার মাগফিরাত কামনা করে বিশেষ দোয়া ও মিলাদ মাহফিল অনুষ্ঠিত হবে। দোয়া ও মিলাদ মাহফিলে প্রধান অতিথি হিসেবে থাকবেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খাঁন কামাল। এ ছাড়া স্বরাষ্ট্র সচিব, বিজিবি মহাপরিচালক, শহীদ ব্যক্তিবর্গের নিকটাত্মীয়, পিলখানায় কর্মরত সব কর্মকর্তা, অন্যান্য পদবির সৈনিক এবং বেসামরিক কর্মচারীরা অংশ নেবেন।
-সময়ের সংলাপ২৪/ডি-এইচ
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন