আজ সোমবার ঘটতে যাচ্ছে বিশেষ এক পূর্ণিমা, যার নাম সুপারমুন। যে পূর্ণিমায় চাঁদ পৃথিবীর অনেক কাছাকাছি চলে আসে, এমন পূর্ণিমাকে বলা হয় সুপারমুন ।
তবে সোমবার, অর্থাৎ ১৪ নভেম্বরের সুপারমুনটি এ বছর হওয়া বাকি সুপারমুনের মতো নয়। কারণ এই দিনটিতে চাঁদ আসবে পৃথিবীর সবচেয়ে কাছে- সাধারণ দূরত্বের চেয়ে আরও প্রায় ৩১ হাজার মাইল কাছে।
আকাশ পরিষ্কার থাকলে বাংলাদেশ থেকেও সাক্ষী হওয়া যাবে এই অসাধারণ পূর্ণিমার। ১৪ নভেম্বর বিকেল ৫.১৯টার দিকে চাঁদ দেশের উত্তরপূর্ব আকাশে দেখা দেবে। আর সন্ধ্যা ৭.৫২ মিনিটে ঘটবে পূর্ণিমাটি।
চাইলে স্পেস.কম ওয়েবসাইটেও সরাসরি বিরল সুপারমুনটি দেখতে পারেন এই লিংক থেকে।
এতটা কাছাকাছি অবস্থানের জন্য এবারের পূর্ণিমায় চাঁদ আমাদের কাছে ধরা দেবে অদ্ভুত রকম বিশাল আকার আর চোখ ধাঁধানো উজ্জ্বলতা নিয়ে। যুক্তরাষ্ট্রের মহাকাশ গবেষণা সংস্থা নাসা জানিয়েছে, দূরত্ব কমে যাওয়ার কারণে সোমবারের সুপারমুনে আকাশে চাঁদের আকার হবে অন্য সময়ের চেয়ে ১৪ শতাংশ বড় আর উজ্জ্বলতা হবে ৩০ শতাংশ বেশি।
পৃথিবীর এতটা কাছে চাঁদ সর্বশেষ এসেছিল প্রায় ৬৯ বছর আগে, ১৯৪৮ সালের ২৬ জানুয়ারি। আর আজকের পর এমন বিশাল সুপারমুন ঘটবে আবার সেই ২০৩৪ সালের ২৫ নভেম্বর, ১৮ বছর পর। তবে আগামী ডিসেম্বরেও একটি সুপারমুন ঘটতে যাচ্ছে, যা এতটা বড় না হলেও দেখার মতো।
সুপারমুন কী?
পৃথিবীর চারদিকে চাঁদের কক্ষপথ পুরোপুরি গোল নয়, উপবৃত্তাকার। এর ফলে কক্ষপথে ঘোরার সময় কখনো চাঁদ পৃথিবী থেকে একটু বেশি দূরে থাকে, কখনো একটু কম। কক্ষপথে পৃথিবী থেকে দূরের অবস্থানকে বলে ‘অ্যাপোজি’ আর কাছের অবস্থানকে বলে ‘পেরিজি’।
এই পেরিজি অবস্থানে চাঁদ পৃথিবীর সবচেয়ে কাছে থাকে। এই সময় হওয়া পূর্ণিমায় চাঁদকে পৃথিবী থেকে অন্যান্য সাধারণ পূর্ণিমার তুলনায় প্রায় ১৪ থেকে ১৫ শতাংশ বড় এবং সর্বোচ্চ ৩০ শতাংশ উজ্জ্বল মনে হয়। এই পূর্ণিমাকেই ‘সুপারমুন’ বলে।
প্রত্যেক ১৪তম পূর্ণিমাটি হয় সুপারমুন। তবে পৃথিবী থেকে দূরত্ব কমবেশি হওয়ায় তার আকার এবং উজ্জ্বলতাও কমবেশি হয়। যেমন সবচেয়ে কাছের অবস্থানে থাকার কারণে এবারের সুপারমুনে চাঁদ দেখা যাবে সবচেয়ে বড় আর সবচেয়ে জ্বলজ্বলে।
‘টেক ইনসাইডার’-এর সৌজন্যে দেখুন সুপারমুন সম্পর্কে একটু তথ্যবহুল ছোট ভিডিও:
সময়ের সংলাপ24/ডি-এইচ
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন