সত্যি কি সাপেদের পা ছিল? - সময়ের সংলাপ24
DHAKA WEATHER

Post Bottom Ad

খুব শীগ্রই আমরা Somoyersonglap24.com ওয়েবসাইট নিয়ে আসছি..

সত্যি কি সাপেদের পা ছিল?

Share This


ব্যবহার না করার কারণেই লাখ লাখ বছর আগে লোপ পায় সাপেদের পা। ছবি : ওয়্যার্ড
সাপের যে পা নেই, এটা নতুন করে নিশ্চয়ই বলে দিতে হবে না। এতদিন গবেষকদের ধারণা ছিল, সাপেদের পূর্বপুরুষরা পৃথিবীর পরিবর্তিত আবহাওয়া থেকে বাঁচতে ক্রমে পানিতে থাকার অভ্যাস করত, যার ফলে বিবর্তনের খেয়ালে আর অব্যবহারের দরুন তাদের পা লোপ পেয়ে যায়। আর এই পরিবর্তনে সময় লেগেছে লাখ লাখ বছর।

যা হোক, বিজ্ঞানীদের এতদিনের ধারণা সম্পূর্ণ বদলে গিয়েছে নতুন আবিষ্কৃত এক ফসিলের কারণে। এখন তাঁরা বলছেন, মাটিতে গর্ত খুঁড়ে চলাচলের জন্যই সাপেরা বিবর্তিত হয়ে তাদের পা হারিয়েছে। যুক্তরাজ্যভিত্তিক বিজ্ঞান ও প্রযুক্তিবিষয়ক ওয়েবসাইট ওয়্যার্ড জানিয়েছে এ খবর।

গবেষকরা ওই ফসিলের মাথার ভেতরে বিশেষভাবে বিবর্তিত একখণ্ড হাড় পেয়েছেন, যা কিনা ওই প্রাণীটির অভ্যন্তরীণ কানের অংশ। এর সঙ্গে তারা হাল আমলের সাপেদের মাথার খুলির তুলনা করে দেখেছেন যে, উভয় ক্ষেত্রেই মাথার গঠন একই রকম। এ থেকে তাদের ধারণা হয়েছে, সাপেদের প্রাচীন ওই পূর্বপুরুষ আসলে মাটির গর্তে চলাচলের চেষ্টার অংশ হিসেবেই ওই রকম খুলির অধিকারী হয়েছে।

ভূতাত্ত্বিকরা এর আগে বেশ কিছু পা-বিশিষ্ট সাপের ফসিল উদ্ধার করেছিলেন। এই বছরই আবিষ্কৃত একটি চার পেয়ে সাপের ফসিল পেয়ে তাঁদের ধারণা আরো পাকাপোক্ত হয় যে, সাপেরা মূলত মাটিতেই বসবাস করত। এবং তাদের বিবর্তনও ভূপৃষ্ঠেই হয়েছে।

এই গবেষণায় বিজ্ঞানীরা সিটি স্ক্যানের মাধ্যমে ফসিল ও আধুনিক সাপের খুলির থ্রিডি প্রিন্ট নির্মাণ করে মিলিয়ে দেখেছেন, যা আগে সম্ভব ছিল না। ফলে বিজ্ঞানীরা শুধু বাহ্যিক খুলির আকার দেখে ধরে নিয়েছিলেন আধুনিক সাপেরা পানিতে থাকার কারণেই বিবর্তিত হয়ে পা হারিয়েছে।

গবেষক হংয়ু ই বলেন, ‘আমরা আশা করি একই পদ্ধতিতে কুমির, গিরগিটি অথবা কচ্ছপের বিবর্তনের ব্যাপারেও আমরা নতুন তথ্য পাব।’

ব্যবহার না করার ফলেই অঙ্গ-প্রত্যঙ্গ লোপ পাওয়ার ঘটনা অবশ্য নতুন কিছু না। মানুষের পূর্বপুরুষরা ব্যবহার না করার কারণেই তাদের লেজ হারিয়েছিল বলে মনে করেন বিজ্ঞানীরা। অবশ্য এ ধরনের পরিবর্তন ঘটতে লাখ লাখ বছর সময় লাগে।

কোন মন্তব্য নেই: