করোনাভাইরাসের সংক্রমণের সময়ে বাংলাদেশে বহুজাতিক তামাক কোম্পানিকে (সংযুক্ত) সিগারেট উৎপাদন, বিপণন ও তামাক পাতা ক্রয় অব্যাহত রাখার সুযোগ দিয়ে শিল্প মন্ত্রণালয়ের নির্দেশনা প্রত্যাহার চেয়েছে তামাকবিরোধী সংগঠনগুলো। তারা করোনা মোকাবিলায় সিগারেট বিক্রির ওপর সাময়িক নিষেধাজ্ঞা চেয়েছে।
মঙ্গলবার এক বিজ্ঞপ্তিতে তারা এ দাবি জানিয়েছে। সংগঠনগুলো হলো বাংলাদেশ ক্যানসার সোসাইটি, বিসিসিপি, এসিডি, ইপসা, এইড ফাউন্ডেশন, বাংলাদেশ তামাকবিরোধী জোট, বিএনটিটিপি, বিটা, গ্রাম বাংলা উন্নয়ন কমিটি, নাটাব, প্রত্যাশা, টিসিআরসি, ন্যাশনাল হার্ট ফাউন্ডেশন, ঢাকা আহ্ছানিয়া মিশন, উফাত, তাবিনাজ, ভয়েস, ডব্লিউবিবি ট্রাস্ট, অ্যান্টি টোব্যাকো মিডিয়া এলায়েন্স- আত্মা এবং প্রজ্ঞা।
তামাকবিরোধী সংগঠনগুলো বিজ্ঞপ্তিতে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার বরাতে বলেছে, ধূমপানের কারণে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হওয়া এবং গুরুতর অসুস্থ হয়ে পড়ার ঝুঁকি বেড়ে যায়। এই সতর্কতা আমলে নিয়ে দক্ষিণ আফ্রিকা ইতিমধ্যে করোনাভাইরাস সংকট মোকাবিলায় সিগারেট বিক্রয়ের ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেছে। বাংলাদেশে শিল্প মন্ত্রণালয় গত ৩ ও ৫ এপ্রিল দুটি বহুজাতিক তামাক কোম্পানিকে (সংযুক্ত) সিগারেট উৎপাদন, বিপণন ও তামাক পাতা ক্রয় অব্যাহত রাখার নির্দেশনা দিয়ে সকল বিভাগীয় কমিশনার এবং জেলা প্রশাসক বরাবর চিঠি প্রদান করেছে। এ অবস্থায় শিল্প মন্ত্রণালয়ের এই জনস্বাস্থ্যবিরোধী পদক্ষেপ জনমনে হতাশা সৃষ্টি করবে।
সংগঠনগুলো বলেছে, বাংলাদেশে ৩ কোটি ৭৮ লাখ প্রাপ্তবয়স্ক মানুষ তামাক ব্যবহার করে এবং প্রায় ৪ কোটি ১০ লাখ প্রাপ্তবয়স্ক মানুষ নিজ বাড়িতেই পরোক্ষ ধূমপানের শিকার হয়। প্রত্যক্ষ বা পরোক্ষভাবে তামাকের ক্ষতির শিকার এই বিপুল প্রাপ্তবয়স্ক জনগোষ্ঠী বর্তমানে মারাত্মকভাবে করোনাভাইরাসের ঝুঁকির মধ্যে রয়েছে।
জনস্বাস্থ্য সুরক্ষা নিশ্চিত করতে শিল্প মন্ত্রণালয়ের এই নির্দেশনা প্রত্যাহার করে করোনাভাইরাস মহামারি মোকাবিলায় দক্ষিণ আফ্রিকার অভিজ্ঞতা কাজে লাগিয়ে সিগারেট বিক্রয়ের ওপর সাময়িক নিষেধাজ্ঞা আরোপ করার আহ্বান জানিয়েছে তামাকবিরোধী সংগঠনগুলো।
-সময়ের সংলাপ২৪/ডি-এইচ
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন