জাতীয় মসজিদ বায়তুল মোকাররমে শুক্রবার জুমার নামাজ ১০ জনের অংশগ্রহণে অনুষ্ঠিত হয়েছে। নভেল করোনাভাইরাসের (কোভিড-১০) সংক্রমণের সময়ে ইসলামিক ফাউন্ডেশনের নির্দেশনায় ১০ জন নিয়েই জুমার নামাজ অনুষ্ঠিত হয়।
তবে শুক্রবার বায়তুল মোকাররমে মুসল্লিদের চেয়ে সংবাদকর্মীদের ভিড় ছিলো বেশি। ১০ জন মিলে জুমার নামাজ আদায়ের ছবি তুলতে অনেক সংবাদকর্মী জাতীয় মসজিদে হাজির হন। তাদের গাদাগাদি করে দাঁড়িয়ে ছবি তুলতেও দেখা যায়।
বায়তুল মোকাররমের সিনিয়র পেশ ইমাম মুফতি মিজানুর রহমান এ তথ্য জানিয়ে বলেন, করোনার বিস্তার রোধে সরকারি নির্দেশনা মেনে জামাত অনুষ্ঠিত হয়েছে। এরআগে শবেবরাতের মহিমান্বিত রাতে এশার নামাজ পাঁচজনের অংশগ্রহণে অনুষ্ঠিত হয়।
গত ৬ এপ্রিল ধর্ম মন্ত্রণালয়ের উপসচিব সাখাওয়াৎ হোসেন সাক্ষরিত এক জরুরি বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছিল, ভয়ানক করোনাভাইরাস সংক্রমণ রোধে মসজিদের ক্ষেত্রে খতিব, ইমাম, মুয়াজ্জিন ও খাদেমরা ছাড়া অন্য সব মুসল্লিরা নিজ নিজ বাসায় নামাজ আদায় করবেন। জুমার জামাতে অংশগ্রহণের পরিবর্তে ঘরে জোহরের নামাজ করবেন।
এতে আরও বলা হয়, মসজিদে জামাত চালু রাখার প্রয়োজনে খতিব, ইমাম, মুয়াজ্জিন ও খাদেমরা মিলে পাঁচ ওয়াক্তের নামাজ অনধিক পাঁচজন এবং জুমার জামাতে অনধিক ১০ জন শরিক হতে পারবেন।
ধর্ম মন্ত্রণালয়ের এই নির্দেশনা আসার পরের শুক্রবার জাতীয় মসজিদ বায়তুল মোকাররমের জুমার নামাজ নিয়ে সাধারণের মধ্যে আগ্রহের প্রেক্ষিতে বেশ কয়েকটি গণমাধ্যমের সাংবাদিকরা এ জামাতের ছবি ও সংবাদ সংগ্রহে মসজিদে জড়ো হন। বায়তুল মোকাররমের একাধিক ছবিতে দেখা যায়, জুমার নামাজে সরকারের নির্দেশনায় ১০ জনের অংশগ্রহণে অনুষ্ঠিত হলেও সেখানে বিভিন্ন গণমাধ্যমের তারচেয়ে বেশি ছিল সংবাদকর্মী উপস্থিত ছিলেন।
সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে এমন এক ছবি পোস্ট করে শাহআলম সজীব নামে একজন লিখেন, নামাজ পড়তেছে ঠিকই ১০ জনে আর ছবি তোলার জন্য দেখেন কতজন!
উল্লেখ্য, করোনা সংক্রমণের কারণে দেশে বিভিন্ন উপাসনালয়সহ সামাজিক অনুষ্ঠানে বিধিনিষেধ আরোপ এবং সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখার নির্দেশনা দিয়েছে সরকার। -সুরমা নিউজ
-সময়ের সংলাপ২৪/ডি-এইচ
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন