দেশের সবচেয়ে নান্দনিক ভেন্যু সিলেট আন্তর্জাতিক স্টেডিয়াম ছয় মাসের মধ্যে রূপ নেবে ক্রিকেট কমপ্লেক্সে। বাদাম বাগিচা গেট সংলগ্ন পরিত্যক্ত জায়গায় নির্মিত হচ্ছে আরেকটি স্টেডিয়াম। আন্তর্জাতিকমানের সুযোগ-সুবিধা রেখেই গড়ে তোলা হচ্ছে এটির অবকাঠামো।
মূল স্টেডিয়ামে একটি গ্রিন গ্যালারি থাকলেও এখানে করা হয়েছে দুটি। দুটি স্টেডিয়ামের মাঝে বানানো হয়েছে সংযোগ সেতু। মিডিয়া সেন্টার থেকে পাশের নির্মাণাধীন স্টেডিয়ামের মূল ভবনে যেতে তৈরি করা হয়েছে ওভারব্রিজ। জুলাইয়ে প্রথম শ্রেণির ক্রিকেট দিয়ে নতুন স্টেডিয়ামটি চালুর পরিকল্পনা নিয়ে এগোচ্ছে কর্মযজ্ঞ।
সাধারণত আন্তর্জাতিক স্টেডিয়ামের বাইরের মাঠকে ‘আউটার স্টেডিয়াম’ বলা হয়। সিলেটে যেটি হচ্ছে সেটি মূলত কমপ্লেক্স। ড্রেসিংরুম, ডরমেটরি ছাড়াও থাকবে স্কুল, মসজিদ। বিসিবি পরে এখানে নির্মাণ করবে একাডেমি।
সিলেট বিভাগীয় ক্রীড়া সংস্থার সাধারণ সম্পাদক শফিউল আলম চৌধুরী নাদেল জানালেন, সব কাজ শেষ হলে সিলেটের বাইরে ক্রিকেট চিন্তা করাই কঠিন হয়ে যাবে। পুরো বাংলাদেশের ক্রিকেট এটির সুবিধা পাবে।
২০১৫ সালে লাক্কাতুরাস্থ আন্তর্জাতিক স্টেডিয়াম সংলগ্ন জায়গায় প্রায় সাড়ে ২১ কোটি টাকা ব্যয়ে ৮.৭৩ একর জমিতে আউটার স্টেডিয়াম নির্মাণের জন্য ক্রীড়া মন্ত্রণালয়কে দায়িত্ব দেয়া হয়। আমলাতান্ত্রিক জটিলতায় বারবার হোঁচট খাচ্ছিল প্রকল্পটি। সব বাধা পেরিয়ে অবশেষে আলোর মুখ দেখতে যাচ্ছে এটি। মূল কাজের অর্ধেকের বেশি সম্পন্ন হয়েছে এক বছরে। আগামী ৬ মাসেই হয়ে যাবে পুরোটা। বিপিএলের পর শুরু হবে ডরমেটরির কাজ।
-সময়ের সংলাপ২৪/ডি-এইচ
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন