টাঙ্গাইলের সখীপুরে প্রেমিককে গাছে বেঁধে তার চোখের সামনে প্রেমিকাকে গণধর্ষণ ঘটনা ঘটেছে। সেই ঘটনার প্রধান আসামি সাদ্দাম হোসেনকে (২৭) গ্রেপ্তার করেছে র্যাব-১২ এর সদস্যরা।
শুক্রবার টাঙ্গাইলের নতুন বাসস্ট্যান্ড থেকে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়। উপজেলার দক্ষিণ ঘাটেশ্বরী গ্রামের ইস্রাফিল মিয়ার ছেলে সাদ্দাম হোসেন।
র্যাব-১২ কার্যালয়ে এক প্রেস বিফ্রিংয়ে টাঙ্গাইল র্যাব-১২ সিপিসি-৩ এর কোম্পানি কমান্ডার মো. শফিকুর রহমান জানান, গত ১১ মার্চ সখীপুর উপজেলার বহেড়াতৈল ইউনিয়নের একটি বনের মধ্যে প্রেমিকের সামনে প্রেমিকাকে গণর্ধষণ ও ভিডিও ধারণ করে সাদ্দাম হোসেন ও তার সহযোগীরা। গোপন সংবাদের ভিত্তিতে শুক্রবার ভোরে মামলার প্রধান আসামি সাদ্দামকে গ্রেপ্তার করা হয়। ধর্ষণের মামলা ছাড়াও ২০১৪ সালের একটি হত্যা মামলার আসামিও সাদ্দাম।
মামলা সূত্রে জানা গেছে, গত ১১ মার্চ সোমবার বিকেলে ওই কিশোরী তার প্রেমিকের সঙ্গে উপজেলার বহেড়াতৈল ইউনিয়নের উলিয়াচালা খেলার মাঠের পাশে বসে গল্প করছিল। এ সময় ওই ইউনিয়নের দক্ষিণ ঘাটেশ্বরী গ্রামের ইস্রাফিল মিয়ার ছেলে সাদ্দাম হোসেন (২৭), তার বন্ধু আশরাফুল (২৬), জালাল উদ্দিন (২৫), নজরুল ইসলাম (৩০) ও আফাজ উদ্দিন (২৩) মোটরসাইকেল নিয়ে সেখানে যায়। তারা ওই প্রেমিক-প্রেমিকার গতিবিধি ফলো করে। পরে ওই প্রেমিক যুগলকে হাত-মুখ বেঁধে পাশের একটি বনে নিয়ে যায়।
সেখানে তাদের কাছে ৫০ হাজার টাকা দাবি করা হয়। টাকা দিতে অস্বীকৃতি জানালে প্রেমিক আবদুর রহিমকে (বাবু) গাছের সঙ্গে বেঁধে রেখে সাদ্দাম, আশরাফুল ও জালাল ওই কিশোরীকে পালাক্রমে ধর্ষণ করে এবং ধর্ষণের ভিডিওচিত্র ধারণ করে। এরপর প্রেমিক যুগলকে বিবস্ত্র করে তাদের নানা আপত্তিকর দৃশ্যও মুঠোফোনে ধারণ করে তারা। বিকেল ৪টা থেকে রাত ৯টা পর্যন্ত চলে তাদের ওপর এ পাশবিক নির্যাতন।
-সময়ের সংলাপ২৪/ডি-এইচ