নিদাহাস ট্রফির ফাইনালে উঠেছে বাংলাদেশ। কিন্তু ম্যাচের শেষ ওভারে নো বল নিয়ে সৃষ্ট জটিলতার সময় অধিনায়ক সাকিব আল হাসানের ডাকে সাড়া দিয়ে মাহমুদউল্লাহ মাঠ ছাড়লে ফাইনালেই ওঠা হত না টিম-টাইগারদের।
ঘটনা বাংলাদেশ ইনিংসের শেষ ওভারে। সেই ওভারের প্রথম বলটি ওয়ান বাউন্স সিগন্যাল দেন আম্পায়ার। দ্বিতীয় বলটি প্রথম বলের চেয়ে আরও উপর দিয়ে চলে যায়। কিন্তু আম্পায়ার বলটি নো বল দেননি। এ নিয়ে শুরু হয় হট্টগোল।
বাংলাদেশের খেলোয়াড়রা আম্পায়ারের কাছে নো বলের আবেদন জানান। এ নিয়ে আম্পায়ার ও শ্রীলঙ্কা দলের খেলোয়াড়দের সঙ্গে বাংলাদেশি ক্রিকেটারদের কথা কাটাকাটি হয়। তারপরও আম্পায়ার বলটিকে ‘নো বল’ দেননি। একই সময়ে শ্রীলঙ্কার ফিল্ডারদের সঙ্গেও তর্কে জড়ান সাইডলাইনে থাকা বাংলাদেশের খেলোয়াড়রা নুরুর ইসলাম সোহান। এক নজরে দেখে নিন তখন মাঠে কি কথা হয়েছিল-
মাহমুদউল্লাহ (লেগ আম্পায়ার রুচিরা পালিয়াগুরুগেকে): স্যার, এটা কেন নো বল নয়? পরপর দুটি বাউন্সার দিল! পরেরটার উচ্চতা আরও বেশি ছিল...।
(দুই আম্পায়ার কথা বলছেন মাহমুদউল্লাহর সঙ্গে। গ্যাটোরেড হাতে ব্যাটসম্যানদের কাছে এলেন একাদশের বাইরে থাকা নুরুল হাসান। এ সময় থিসারা পেরেরা সিংহলিজ ভাষায় কিছু বললেন আম্পায়ারদের।)
থিসারা (মাহমুদউল্লাহকে): আম্পায়ারদের সঙ্গে এত কথা বলার কী আছে?
নুরুল: তোমার এত লাগছে কেন?
থিসারা: তুই এখানে ... (গালি) করতে এসেছিস কেন?
নুরুল (থিসারার দিকে আঙুল তুলে): আমি এসেছি তোমার কী? তুমি তোমার কাজ করো, আমার ব্যাপারে নাক গলানোর দরকার নেই।
(আম্পায়ারদের হস্তক্ষেপে নুরুল বেরিয়ে আসেন মাঠ থেকে। বাংলাদেশ অধিনায়ক সাকিব আল হাসান ছুটে যান রিজার্ভ আম্পায়ারের কাছে)
সাকিব: কেন এটা নো বল দেওয়া হলো না, স্যার? কেন নিয়ম ভাঙা হলো?
(আম্পায়ারের কাছে সদুত্তর না পেয়ে সাকিব দুই ব্যাটসম্যানকে ইঙ্গিত করলেন বেরিয়ে আসতে। মাহমুদউল্লাহ-রুবেল হোসেন প্রায় সীমানার কাছে চলেও এলেন।)
ম্যানেজার খালেদ মাহমুদ: এখন আসিস না। এলে ডিসকোয়ালিফাইড হতে হবে। বড় শাস্তি হয়ে যাবে। যা হওয়ার হয়েছে, তোরা (দুই ব্যাটসম্যানকে) ফিরে যা, ম্যাচ শেষ করে আয়।
মাহমুদউল্লাহ-রুবেল ফিরে গেলেন। এরপর? টান টান উত্তেজনা, ক্লাইমেক্স, অ্যান্টিক্লাইমেক্স শেষে থ্রিলিং সিনেমাটার সমাপ্তি একটা দলীয় নৃত্য দিয়ে—নাচ, নাগিন নাচ!
-সময়ের সংলাপ২৪/ডি-এইচ