সিলেটে শব্দ দূষণ প্রতিরোধে নেই উদ্যোগ, বাড়ছে স্বাস্থ্য সমস্যা - সময়ের সংলাপ24
DHAKA WEATHER

Post Bottom Ad

খুব শীগ্রই আমরা Somoyersonglap24.com ওয়েবসাইট নিয়ে আসছি..

সিলেটে শব্দ দূষণ প্রতিরোধে নেই উদ্যোগ, বাড়ছে স্বাস্থ্য সমস্যা

Share This

আধ্যাত্মিক নগরী হিসাবে স্বীকৃত সিলেট এখন শব্দ দূষণের নগরীও। সকাল থেকে গভীর রাত পর্যন্ত যানবাহনের উচ্চ শব্দে নাগারিক জীবন রীতিমতো অতিষ্ঠ। সহনীয় মাত্রার ২২ থেকে ৩৮ ডেসিবল বেশি শব্দের দূষিত সমুদ্রে রাতদিন হাবুডুবু খাচ্ছেন সিলেট নগরবাসী। এর প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষ প্রভাবে নানান স্বাস্থ্য সমস্যা দেখা দিচ্ছে। বয়স্ক ও শিশুরা ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছেন সব থেকে বেশি।

সিলেট মহানগরী জুড়ে শব্দদূষণের প্রধান কারণ যানবাহনের উচ্চ শব্দ। নগরীর প্রধান প্রধান সড়কগুলোতে সকাল থেকে চলছে সিএনজি অটোরিকশা, প্রাইভেট কার, মিনিবাস ইত্যাদি। আর রাত ৮টার পর থেকে দাপিয়ে বেড়াচ্ছে ট্রাক। আর অলিগলীতে সিএনজি চালিত অটোরিকশা-মোটর সাইকেলতো চলছেই। এই যানবাহনগুলো চলাচলে যে শব্দ সৃষ্টি করে তার সাথে যখন হাইড্রোলিক হর্ণ বাজানো হয়, তখন তা সহ্যের সীমা অতিক্রম করে।

এছাড়া তরুণ-যুবকরা যখন নিজেদের শখ মেটাতে দলবদ্ধভাবে রাস্তায় নেমে উচ্চশব্দে মোটর সাইকেল নিয়ে এলোমেলো ছুটে চলে তখন চারপাশের নাগরিকগণ রীতিমতো নরকযন্ত্রণা ভোগ করেন।

এছাড়া শব্দ দূষনের জন্য সিডি ভিসিডির দোকান, ভবন নির্মাণের যন্ত্রপাতি, ওয়ার্কশপ, অ্যাম্বুলেন্স, ফায়ারসার্ভিসের গাড়ি, জেনারেটর ইত্যাদিও অহরহ শব্দ দূষণ করছে।

নগরবাসীর স্বাস্থ্য সমস্যার অন্যতম প্রধান কারণ এই শব্দদূষণ। অনেকের শ্রবণশক্তি হ্রাস পাচ্ছে। প্রায় সব বয়সের নাগরিকদের মন মানসীকতা রুক্ষ হচ্ছে। স্কুল কলেজের শিক্ষার্থীরা যেমন ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে, তেমনি ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে নবজাতকরাও।

পরিবেশবিদদের মতে, ১১০ ডেসিবলের অধিক শব্দ মানুষের কানে ব্যাথার সৃষ্টি করে। বর্তমানে সিলেট নগরীতে শব্দের গড় মাত্রা ৮০ থেকে ১১০ ডেসিবল, যা আমাদের শ্রবণশক্তির সর্বোচ্চ ক্ষমতার সমান।

সহনীয় মাত্রার ২২ থেকে ৩৮ ডেসিবল বেশি মাত্রার শব্দে সিলেটের জনজীবন অতিষ্ঠ হলেও এ ব্যাপারে গণসচেতনতা সৃষ্টি বা প্রতিরোধমূলক তেমন কোন উদ্যোগ চোখেই পড়েনা। যেমন পরিবেশ অধিদফতর। তারা লিফলেট বিতরণ ও ব্যানার টানিয়েই দায়িত্ব আদায় করছেন। এতে তেমন কোন ইতিবাচক ফলাফলই পাওয়া যাচ্ছেনা।

বিষয়টি নিয়ে আলাপকালে সিলেট মেট্রোপলিটন ইউনিভার্সিটির ডিন, অধ্যাপক ড. নজরুল হক চৌধুরী বলেন, জনসংখ্যা যত বাড়বে শব্দদূষণও সমানুপাতিক হারে বাড়বে। লাইসেন্সকৃত ড্রাইভারদের দক্ষতার অভাবেও শব্দদূষণ বাড়ছে।

তিনি আরও বলেন, গাড়িতে হর্ণ দেয়া হয় অন্য গাড়ীর চালককে সতর্ক করার জন্য। অথচ তা ব্যাবহার করা হচ্ছে মানুষের স্বাস্থ্য ও পরিবেশের জন্য ক্ষতিকর রকম উচ্চ শব্দে এবং অধিকাংশ ক্ষেত্রেই অকারণে।

শব্দদূষণ প্রতিরোধের উপায় সম্পর্কে তিনি বলেন, সংশ্লিষ্ট সরকারি সংস্থা, যেমন পরিবেশ অধিদফতর ও চালকদের লাইসেন্স প্রদানকারী বিআরটিএ’কে আরও কঠোর এবং সক্রিয় হতে হবে। আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর যথাযথ ব্যাবস্থ্যা গ্রহন প্রয়োজন। 

এ ব্যাপারে সিলেট মেট্রোপলিটন ইউনিভার্সিটির শিক্ষার্থী রিয়াদ বলেন, শব্দ দূষণ প্রতিরোধে গণসচেতনতা সৃষ্টিতে আরও কার্যকর উদ্যোগ নিতে হবে। এ ব্যাপারে আরো কঠোর আইন প্রণয়ন তার যথাযত বাস্তবায়ন জরুরী।

-সময়ের সংলাপ২৪/ডি-এইচ

কোন মন্তব্য নেই: