মোবাইল ব্যাংকিংয়ের মাধ্যমে বাংলাদেশে প্রতিদিন হাজার কোটি টাকা লেনদেনের তথ্য সংসদে জানিয়েছেন অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিত।
বৃহস্পতিবার জাতীয় সংসদে সরকারি দলের সামশুল হক চৌধুরীর প্রশ্নের জবাবে অর্থমন্ত্রী বলেন, মোবাইল ব্যাংকিংয়ের বর্তমান গ্রাহক প্রায় ৬ কোটি ৪০ লাখ। এর মধ্যে প্রায় ৩ কোটি ৬ লাখ লেনদেনে সক্রিয়।
মোবাইল ব্যাংকিংয়ের মাধ্যমে প্রতিদিন গড়ে ৯৯৪ কোটি টাকা লেনদেন হয় বলে জানান তিনি।
সরকারি দলের এ কে এম রহমতুল্লাহর প্রশ্নের জবাবে অর্থমন্ত্রী জানান, গত ২০১৭-১৮ অর্থ বছরে ১৪ হাজার ৬১২ দশমিক ১৮ মিলিয়ন ডলারের বৈদেশিক সাহায্যের আশ্বাস পাওয়া যায়। এর মধ্যে ৬ হাজার ২৯০ দশমিক ৭৫ মিলিয়ন ডলার পাওয়া গেছে।
সরকারি দলের সোহরাব উদ্দিনের প্রশ্নের জবাবে অর্থমন্ত্রী জানান, বেসরকারি পর্যায়ে কর্মরতদের জন্য একটি টেকসই সার্বজনীন পেনশন ব্যবস্থা পরীক্ষামূলকভাবে চালু করার কাজ এ অর্থবছরেই শুরু হবে।
জাতীয় পার্টির সালমা ইসলামের প্রশ্নের জবাবে বিদ্যুত, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ জানান, ২০১৮ সালের ৩১ মে পর্যন্ত বিভিন্ন সরকারি প্রতিষ্ঠানের বকেয়া বিদ্যুত বিলের পরিমাণ ৬৬৮ কোটি ৪২ লাখ ৭০ হাজার। এছাড়া আধা সরকারি/বেসরকারি খাতে বকেয়া বিল ৭৬৬ কোটি ৮৮ লাখ ৩০ হাজার টাকা।
মন্ত্রীর তথ্য অনুযায়ী, সব চেয়ে বেশি বিদ্যুৎ বিল বকেয়া রয়েছে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের কাছে ৯৫ কোটি ৩৩ লাখ টাকা।
সরকারি দলের কামাল আহমেদ মজুমদারের প্রশ্নের জবাবে নসরুল হামিদ জানান, বেসরকারিভাবে উদ্যোক্তা নিয়োগের মাধ্যমে আইপিপি হিসেবে বর্জ্য থেকে ঢাকা দক্ষিণ ও উত্তর সিটি করপোরেশনে ৩৫ মেগাওয়াট করে বিদ্যুত উৎপাদনের প্রক্রিয়াকরণ করা হচ্ছে। এ লক্ষ্যে বর্জ্য সরবরাহ ও জমি প্রদানের বিষয়ে বিদ্যুত উৎপাদন বোর্ড ও সিটি করপোরেশনের মধ্যে এমওইউ স্বাক্ষরের বিষয়টি প্রক্রিয়াধীন। এছাড়া নারায়ণগঞ্জ জেলায় ৫ মেগাওয়াট ক্ষমতা সম্পন্ন বজ্য ভিত্তিক বিদ্যুৎ কেন্দ্র স্থাপন করতে দরপত্র আহ্বান করা হয়েছে।
গুজব প্রতিরোধ সেল এ মাসে সরকারি দলের সাংসদ শামসুল হক ভূইয়ার প্রশ্নের জবাবে তথ্য প্রতিমন্ত্রী তারানা হালিম জানান, জাতীয় নির্বাচন সামনে রেখে গুজব ছড়ানো ও মন্ত্রী সাংসদের ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ন করতে ইতোমধ্যে ৩০০টি ফেইসবুক পেইজ খোলা হয়েছে। বিএনপি-জামায়াত দেশের বাইরে থেকে এসব পেইজ পরিচালনা করছে।
তিনি বলেন, “গুজব শনাক্ত ও প্রতিরোধে তথ্য মন্ত্রণালয় একটি সেল গঠন করেছে। সেপ্টেম্বরের শেষে এটি কার্যকর হবে। এই সেল সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম পর্যবেক্ষণ করবে। প্রতি তিন ঘণ্টা পর পর সেল প্রতিবেদন দেবে। কোন কোন সংবাদ গুজব, তা গণমাধ্যমগুলোকে জানিয়ে দেওয়া হবে।”
তথ্য প্রতিমন্ত্রী বলেন, সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে অনেক সময় অনলাইন পত্রিকাগুলোর নামে, প্রতিষ্ঠিত সংবাদ মাধ্যমের লোগো ব্যবহার করে গুজব ছড়ানো হয়। সম্প্রতি ছাত্র আন্দোলনের সময় বিবিসির লোগো ব্যবহার করেও এ ধরনের গুজব ছড়ানো হয়।
আরেক প্রশ্নের জবাবে তারানা হালিম বলেন, “সরকার অবাধ তথ্য প্রবাহে বিশ্বাস করে এবং উদারতা দেখাচ্ছে।”
তিনি পাল্টা অভিযোগ করেন, অনেক টেলিভিশন চ্যানেলের সংবাদে আওয়ামী লীগ ‘বৈষম্যের শিকার’ হয়।
-সময়ের সংলাপ২৪/ডি-এইচ
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন