ভোলার দৌলতখান পৌরসভা ৩ নম্বর ওয়ার্ডের বাসিন্দা হালিমা বেগম (৭৫)। স্বামী মৃত জনু মাঝি। তিন ছেলের মধ্যে একজন মারা গেছে। বাকি দুজন অন্যত্র থাকে। স্বামী মারা যাওয়ার পর কোনো রকম খেয়ে না খেয়ে দিন কাটাতেন। তার থাকার ঘরটিও ছিল নড়মড়ে। গত সোমবার দুপুরে হঠাৎ কালবৈশাখী ঝড়ে কেড়ে নিলো অসহায় হালিমার ঘরটি।
মঙ্গলবার বিকালে হালিমা সাংবাদিকদের কান্নাজড়িত কণ্ঠে বলেন, ১৩ বছর আগে স্বামী মারা যান। দুই ছেলে কোনো খোঁজ রাখে না। এরপর থেকে কোনো রকম দু’বেলা-দু’মুঠো খেয়ে না খেয়ে দিন পার করছি। থাকার জন্য একমাত্র সম্ভল ছিল ওই ঘর। তাও ঝড়ের তাণ্ডবে ঘরের উপর গাছ পরে ভেঙে মাটির সাথে মিশে গেছে।
তিনি আরও জানান, বর্তমানে আমি অসহায়। সংসারের আয় রোজগারের কোনো ব্যবস্থা না থাকায় মানবেতর জীবনযাপন করছি। সরকারিভাবে ত্রাণসামগ্রী হিসেবে একটি চালের বস্তা পেয়েছি।
খবর পেয়ে দৌলতখান পৌরসভার মেয়র জাকির হোসেন তালুকদার ও পৌর ৩ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর আলাউদ্দিন ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন।
এদিকে, ওইদিনের কালবৈশাখী ঝড়ে ভবানীপুর ইউনিয়নে ২০টির মতো বাড়িঘর বিধ্বস্ত হয়েছে বলে জানা গেছে। দৌলতখান উপজেলার ভবানীপুর ইউপি চেয়ারম্যান গোলাম নবী নবু বলেন, বৈশাখী ঝড়ে আমার ইউনিয়নে বহু ঘরবাড়ি বিধ্বস্ত হয়েছে। এছাড়াও অনেক গাছ উপরে পড়েছে।
পৌর মেয়র জাকির বলেন, ইতোমধ্যে ত্রাণ হালিমার বাড়িতে পৌঁছে দিয়েছি। ঝড়ে তার ঘর ভেঙে গেছে, তাই আমরা স্থানীয়ভাবে ঘর করে দেব।
দৌলতখান উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) জীতেন্দ্র কুমার নাথ বলেন, কালবৈশাখী ঝড়ের তাণ্ডবে অনেকের ক্ষয়ক্ষতির বিষয়টি শুনেছি। চেয়ারম্যানরা ক্ষতিগ্রস্তদের তালিকা করে পাঠালে সরকারিভাবে সহায়তা করা হবে।
-সময়ের সংলাপ২৪/ডি-এইচ
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন