ঢাকা: মসজিদে নিয়মিত আযান, ইকামত, জামাত ও জুমার নামাজ অব্যাহত রাখার নির্দেশনা প্রকাশ করেছে ইসলামিক ফাউন্ডেশন (ইফা)।
সোমবার(৩০মার্চ) সংস্থার মহাপরিচালক (ডিজি) আনিস মাহমুদ স্বাক্ষরিত প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়। এর আগে রোববার দেশের শীর্ষস্থানীয় আলেমরা ইফার আগারগাঁওস্থ প্রধান কার্যালয়ে মিলিত হয়ে নিজ নিজ মতামত উপস্থাপন করেন।
সোমবার(৩০মার্চ) সংস্থার মহাপরিচালক (ডিজি) আনিস মাহমুদ স্বাক্ষরিত প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়। এর আগে রোববার দেশের শীর্ষস্থানীয় আলেমরা ইফার আগারগাঁওস্থ প্রধান কার্যালয়ে মিলিত হয়ে নিজ নিজ মতামত উপস্থাপন করেন।
এতে তারা নিজ নিজ মতামত উপস্থাপন করেন। এছাড়াও হেফাজতে ইসলামের আমীর আল্লামা শাহ আহমদ শফি, পটিয়া মাদরাসার মহাপরিচালক আল্লামা মুফতি আব্দুল হালীম বোখারী প্রমুখের কাছ থেকে ই-মেইলে প্রাপ্ত মতামত আলোচনা হয়। বৈঠকে তৈরী করা নির্দেশনায় বলা হয়, বিশ্ব আজ করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত। আমাদের দেশও বেশ ঝুঁকিপূর্ণ। সরকার ও জনগণ চরম উদ্বিগ্ন।এ ভাইরাসের সংক্রমণ থেকে বাঁচার জন্য সচেতনতা তৈরি এবং প্রয়োজনীয় নির্দেশনাসমূহ মেনে চলা আবশ্যক।
এরপর সতর্কতা অবলম্বন করার নির্দেশনা দিয়ে বলা হয়, রোগ ও ক্ষতি থেকে বাঁচার জন্য সতর্কতা অবলম্বন ইসলামের অন্যতম বৈশিষ্ট্য। সতর্কতা অবলম্বন তাওয়াক্কুল পরিপন্থী নয়। বরং নবীজীর (সা) সুন্নত।
মসজিদের ব্যাপারে বলা হয়, মসজিদে নিয়মিত আযান, ইকামত, জামাত ও জুমার নামাজ অব্যাহত থাকবে। তবে জুমআ ও জামাতে মুসল্লিগণের অংশগ্রহণ সীমিত থাকবে অর্থাৎ যারা করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত, যাদের সর্দি, জ্বর, কাশি, গলা ব্যথা ও শ্বাসকষ্ট আছে, যারা আক্রান্ত দেশ ও অঞ্চল থেকে এসেছেন, যারা উক্তরূপ মানুষের সংস্পর্শে গিয়েছেন, যারা বিভিন্ন রোগে আক্রান্ত, বয়োঃবৃদ্ধ, দুর্বল, মহিলা ও শিশু, যারা অসুস্থদের সেবায় নিয়োজিতরা মসজিদে যাবেন না। আর যারা মসজিদে গিয়ে আক্রান্ত হওয়ার আশঙ্কা করেন তাদেরও মসজিদে না আসার অবকাশ আছে।
যারা জুমআ ও জামাতে যাবেন তারা সকলেই যাবতীয় সুরক্ষা ব্যবস্থা অবলম্বন করবেন। ওযু করে নিজ নিজ ঘরে সুন্নাত ও নফল আদায় করবেন। শুধু জামাতের সময় মসজিদে যাবেন এবং ফরজ নামাজ শেষে দ্রুত ঘরে চলে আসবেন। সাবান দিয়ে বারবার হাত ধোয়া, মাস্ক পড়া, জীবাণুনাশক দ্বারা মসজিদ ও ঘরের মেঝে পরিস্কার রাখাসহ বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার সকল নির্দেশনা মেনে চলবেন। হঠাৎ হাঁচি-কাশি এসে গেলে টিস্যু বা বাহু দিয়ে মুখ ঢেকে রাখবেন।
সভায় দেশের শীর্ষস্থানীয় আলেমদের কিশোরগঞ্জের শোলাকিয়া ঈদগাহের ইমাম মাওলানা ফরীদ উদ্দিন মাসউদ, জামেয়া ইসলামিয়া দারুল উলুমের মুহতামিম মুফতি দিলাওয়ার হোসাইন, শায়খ যাকারিয়া (র.) ইসলামিক রিসার্চ সেন্টারের মহাপরিচালক মুফতি মীযানুর রহমান সাঈদ, জাতীয় মুফতি বোডের সদস্য সচিব মুফতি মোঃ নূরুল আমীন, ঢাকা নেছারিয়া কামিল মাদ্রাসার প্রিন্সিপাল ড. মাওলানা কাফীলুদ্দীন সরকার সালেহী, জামেয়া রহমানিয়ার মুহতামিম মাওলানা মাহফুজুল হক, চরমোনাই কামিল মাদ্রাসার প্রিন্সিপাল মাওলানা সৈয়দ মোঃ মোসাদ্দেক বিল্লাহ আল মাদানী, মদীনাতুল উলুম কামিল মাদ্রাসার প্রিন্সিপাল মাওলানা আব্দুর রাজ্জাক আল আযহারী, ইদারাতুল উলূম আফতাবনগর মাদ্রাসার মুহতামিম মুফতি মোহাম্মদ আলী, দারুল উলূম রামপুরার মুহতামিম মুফতি ইয়াহ্ইয়া মাহমুদ, জামিয়াতুল উলুমের মুহতামিম মুফতি মাহমুদুল হাসান, বায়তুল উলূম ঢালকানগর মাদ্রাসার মুহতামিম মাওলানা জাফর আহমাদ, ঢাকা আলিয়া মাদ্রাসার উপাধ্যক্ষ মাওলানা মুহাম্মাদ আবদুর রশীদ, মহাখালী হোসাইনিয়া কামিল মাদ্রাসার প্রিন্সিপাল ড. মুহাম্মদ নজরুল ইসলাম আল মারুফ, নারায়ণগঞ্জের ভূমিপল্লী আবাসন জামে মসজিদের খতিব শায়খ আহমাদুল্লাহ, তেজগাঁও জামেয়া ইসলামিয়ার শায়খুল হাদিস ড. মাওলানা মুশতাক আহমদ, বায়তুল মুকাররম জাতীয় মসজিদের সিনিয়র পেশ ইমাম মাওলানা মিজানুর রহমান, ইসলামিক ফাউন্ডেশনের মুফতি মাওলানা মোহাম্মদ আব্দুল্লাহ, মুহাদ্দিস মুফতি ওয়ালিয়ুর রহমান খান ও মুফাসসির ড. মাওলানা আবু ছালেহ পাটোয়ারী, বায়তুল মুকাররম জাতীয় মসজিদের পেশ ইমাম মুফতি মুহিব্বুল্লাহিল বাকী নদভী, পেশ ইমাম মাওলানা মুহিউদ্দীন কাসেম, চকবাজার শাহী মসজিদের খতিব মাওলানা মুহাম্মদ মিনহাজ উদ্দিন, বড় কাটরা মাদ্রাসার প্রিন্সিপাল মুফতি সাইফুল ইসলাম মাদানী, শামসুল উলূম মাদ্রাসার মুহতামিম মুফতি শারাফাত হোসাইন, মাদানীনগর মাদ্রাসার মুহতামিম মুফতি ফয়জুল্লাহ, মুফতি মাহবুবুর রহমান প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন বলে জানানো হয়। -আগামী নিউজ
-সময়ের সংলাপ২৪/ডি-এইচ
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন