২১- ৪৫ বছরের মধ্যে করোনাভাইরাসে বেশিরভাগই আক্রান্ত - সময়ের সংলাপ24
DHAKA WEATHER

Post Bottom Ad

demo-image

২১- ৪৫ বছরের মধ্যে করোনাভাইরাসে বেশিরভাগই আক্রান্ত

Share This
খুব শীগ্রই আমরা Somoyersonglap24.com ওয়েবসাইট নিয়ে আসছি..
বাংলাদেশে নভেল করোনাভাইরাস (কভিড-১৯) আক্রান্তদের অধিকাংশই তরুণ। যাদের বয়স ২১ থেকে ৪৫ বছরের মধ্যে। সামাজিক দূরত্ব না মানা ও তারুণ্যের খামখেয়ালিপনা এর কারণ বলে মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা। বাঁচতে হলে সচেতন হওয়ার বিকল্প নেই বলছেন তারা। দেশে করোনায় মারা যাওয়াদের প্রায় অর্ধেকের বয়স ৬০ বছরের কম।

করোনাভাইরাস সংক্রমণ ঠেকাতে লকডাউনে সামাজিক দূরত্ব এবং ঘরে থাকার নির্দেশ মানছেন না অনেকেই। ঘরে থাকার নির্দেশ না মেনে বাইরে আসা মানুষের অধিকাংশই তরুণ। দেশে করোনাভাইরাস সংক্রমণ শুরু হবার শুরুর দিকে তরুণদের আক্রান্ত হওয়ার হার কম ছিল। তবে ধীরে ধীরে বাড়ছে তরুণদের আক্রান্তের সংখ্যা।

স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের পরিসংখ্যান বলছে, চলতি সপ্তাহে আক্রান্তের অধিকাংশের বয়সই ২১ থেকে ৪৫ বছরের মধ্যে।

শুধু আক্রান্তই নয় তরুণদের মধ্যে মৃত্যুর হারও বাড়ছে। এপর্যন্ত মারা যাওয়া শতাধিক মানুষের মধ্যে ১১ শতাংশের বয়স ৩১ থেকে ৪০ বছরের মধ্যে। আর ৪১ থেকে ৫০ বছর বয়সী ১০ ভাগ।

শেখ ফজিলাতুন্নেছা মুজিব মেমোরিয়াল কেপিজে বিশেষায়িত হাসপাতালের কনসালটেন্ট ডা. আশরাফ জুয়েল বলেন, যে সর্তকতা অবলম্বন করা উচিত, সে সর্তকতা অবলম্বন না করে ঘোরাঘুরির ফলে অপেক্ষাকৃত তরুণরা আক্রান্ত হচ্ছে বেশি। খুব স্বাভাবিক ভাবে বলে দেয়া যায় যে বয়সসীমার লোকজন বেশি আক্রান্ত হবেন তাদের মধ্যে মৃত্যু হার টা বেশি হবে। তরুণদের একটা কথা বলা যায় যদি বাচঁতে চান তাহলে ঘরে থাকুন।

করোনাভাইরাস মোকাবিলায় তরুণদের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ানোর পরামর্শ দিয়েছেন চিকিৎসকরা।

হৃদরোগ ও মেডিসিন বিশেষজ্ঞ অধ্যাপক ডা. অমল কুমার চৌধরী বলেন, অনেকে কিন্তু ৩০ থেকে ৪০ বছরের মধ্যে ডায়বেটিস, হাই ব্লাড প্রেসার, এ্যাজমা, কভেসিটি এই চারটি কিন্তু খুবই প্রবণতা দেখা দিয়েছে। তারা ডায়বেটিস নিয়ন্ত্রন করে না ঠিকমতো। আবার অনেকে এ্যাজমার ওষুধ খায় না। এগুলোতে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হলে ঠিকমতো নিয়ন্ত্রন না করতে পারলে অবস্থায় খারাপ হয়ে যাবে।

কুয়েত মৈত্রী হাসপাতালের সহযোগী অধ্যাপক ডা. মোস্তফা আজিজ সুমন বলেন, করোনাভাইরাস বয়স বিবেচনা করে না। আমাদের দেশে তরুণদের মৃত্যুর হার অনেক বেশি। বিবেচনা আপনার, ধুমপান পরিহার করুন, সুষম খাবার গ্রহণ করুন। নিয়মিত ফুসফুসের ব্যয়াম করুন। আশা করি আমরা এই দুর্যোগ কাটিয়ে উঠতে পারবো।

করোনাভাইরাস সংক্রমণের সবচেয়ে বিপজ্জনক চতুর্থ ধাপে রয়েছে বাংলাদেশ। তাই ঘরে থাকা ও সামাজিক দূরত্ব মেনে চলার বিকল্প নেই বলে মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা।

-সময়ের সংলাপ২৪/ডি-এইচ
Comment Using!!

Pages