গেন্দা ফুল: রতন কাহারের নাম বিতর্কে যা বললেন বাদশা - সময়ের সংলাপ24
DHAKA WEATHER

Post Bottom Ad

খুব শীগ্রই আমরা Somoyersonglap24.com ওয়েবসাইট নিয়ে আসছি..

গেন্দা ফুল: রতন কাহারের নাম বিতর্কে যা বললেন বাদশা

Share This
চলছে ‘গেন্দা ফুল’ বিতর্ক। এতে ব্যবহৃত বাংলা গানের লাইনগুলোর গীতিকবির নাম এড়িয়ে যাওয়ায় সমালোচিত হচ্ছেন র‌্যাপার বাদশা। তিনিই এর সংগীতায়োজন করেছেন।

‘বড়লোকের বিটি লো লম্বা লম্বা চুল/এমন মাথায় গেঁথে দেবো লাল গেন্দা ফুল’ গানের গীতিকবি রতন কাহার থাকেন পশ্চিমবঙ্গের বীরভূমে। তবে তার নাম কোথাও পাননি বাদশা। এ কারণে এটি বাংলা লোকগান হিসেবে উল্লেখ করা হয়েছে। মঙ্গলবার (৩১ মার্চ) ইনস্টাগ্রামে এমনটাই দাবি করেছেন তিনি।

‘গেন্দা ফুল’-এর মিউজিক ভিডিওতে মডেল হয়েছেন বলিউড অভিনেত্রী জ্যাকলিন ফার্নান্দেজ। ইউটিউবে ইতোমধ্যে ৮ কোটিরও বেশিবার দেখা হয়েছে এটি। তবে এতে রতন কাহারের নাম উল্লেখ না থাকায় সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে চলছে আলোচনা-সমালোচনা।

আত্মপক্ষ সমর্থন করে বাদশা বলেন, ‘একজন শিল্পী হিসেবে কখনও কারও কৃতিত্ব ছিনিয়ে নেওয়ার কথা ভাবিনি। সত্যিই তিনি গানটি লিখেছেন কিনা তা জানার চেষ্টা করছিলাম, এজন্য এ নিয়ে কথা বলতে সময় লাগলো। অনেকে আমাকে টুইটারে ট্যাগ করে বিষয়টি জানাতে থাকে। রতন কাহারের ওপর একটি প্রামাণ্যচিত্র আছে, এতে তিনি উল্লেখ করেছেন গানটি তারই লেখা। তবে রেকর্ড অনুযায়ী এটি একটি বাংলা লোকসংগীত। এখানে লোক মানে মানুষ।’

বাদশার কথায়, ‘আমি নিশ্চিতভাবেই বলছি, রতন কাহার একজন অসাধারণ শিল্পী। এটি চমৎকার একটি গান। আমার ইচ্ছে ছিল, কোনও একটি গানে এর ক্ষুদ্র অংশ সারাবিশ্বের শ্রোতাদের শোনানো।’

একজন মানুষ কিংবা সংগীতশিল্পীর অবস্থান থেকে রতন কাহারকে সহায়তা করতে চান ৩৪ বছর বয়সী এই তারকা। যারা টুইটারে তথ্য দিয়েছেন ও প্রামাণ্যচিত্রটি নির্মাণ করেছেন এবং রতন কাহারের শুভাকাঙ্ক্ষীদের প্রতি বাদশার আহ্বান, ‘যদি পারেন গিয়ে বলে দিন, তার কাছে যেতে চাই আমি। তিনিও চাইলে আমার কাছে আসতে পারেন। লকডাউন না থাকলে তার সঙ্গে গিয়ে দেখা করতাম। তাকে যেকোনও উপায়ে সহায়তা করতে পারলে ভালো লাগবে। শুনেছি তিনি আর্থিক কষ্টে আছেন। তাকে সহযোগিতা করতে আমার কোনও সংকোচ নেই। আমি চাই, অন্যরাও লোকজ শিল্পীদের পাশে দাঁড়াবেন।’

বাদশা আরও বলেন, ‘মানুষ ভাবছে আমি রতন কাহারের কৃতিত্ব ছিনিয়ে নিয়েছি। ব্যাপারটা মোটেও তেমন নয়। অডিও এবং মিউজিক ভিডিওটিতে যারা কাজ করেছেন প্রত্যেকের নাম দিয়েছি, তাহলে তার নাম কেন উল্লেখ করবো না? কিন্তু রেকর্ডে কোথাও উল্লেখ নেই এই গান রতন কাহারজির লেখা।’

এদিকে রতন কাহার সংবাদমাধ্যমে জানিয়েছেন, ১৯৭৬ সালে তার লেখা ‘বড় লোকের বিটি লো’ গানটি স্বপ্না চক্রবর্তীর কণ্ঠে ব্যাপক জনপ্রিয়তা পায়। কিন্তু গীতিকবি হিসেবে তার নাম উল্লেখ না করে ‘প্রচলিত গান’ বলা হয়েছিল এটিকে। তিনি বলেন, ‘গানটি আমার লেখা ও সুর করা। কিন্তু কখনও এজন্য স্বীকৃতি পাইনি। এ নিয়ে আমার মনে অনেক কষ্ট। আমি রতন কাহার, নিজের লেখা গানের জন্য কখনও স্বীকৃতি পাইনি। এটা কী ধরনের বিচার।’

‘বড়লোকের বিটি লো’ গানে হিন্দি ও পাঞ্জাবি ভাষা মিশিয়ে র‌্যাপার বাদশা যা দাঁড় করিয়েছেন তা মোটেও ভালো লাগেনি রতন কাহারের। তার মন্তব্য, ‘যেভাবে গানটি পরিবেশন করা হয়েছে তাতে এর মূল আবেদন নষ্ট হয়েছে।’

সনি মিউজিক ইন্ডিয়া ইউটিউব চ্যানেলে গত ২৬ মার্চ মুক্তি পায় ‘গেন্দা ফুল’ গানের মিউজিক ভিডিও। এতে বাদশার সঙ্গে কণ্ঠ দিয়েছেন পায়েল দেব। বাংলা লাইনগুলো তারই গাওয়া।

-সময়ের সংলাপ২৪/ডি-এইচ

কোন মন্তব্য নেই: