বগুড়ার শাজাহানপুরে আবদুল মমিন (২২) নামের এক যুবকের ঝুলন্ত লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ। তবে স্বজনদের দাবি, তাকে হত্যা করা হয়েছে।
বুধবার ভোরে নিহতের প্রেমিকার বাড়ির সামনে তেঁতুল গাছে লাশটি ঝুলন্ত অবস্থায় দেখতে পাওয়া যায় বলে স্থানীয়রা জানান। এরপর পুলিশকে খবর দিলে পুলিশ সকাল সাড়ে ৯টার দিকে লাশ উদ্ধার করে।
আবদুল মমিন উপজেলার জামুন্না নতুনপাড়া গ্রামের শহিদুল ইসলামের ছেলে। পেশায় কৃষক ছিলেন। একই গ্রামের আজিজুলের মেয়ের সঙ্গে প্রেমের সম্পর্ক ছিল বলে স্বজনরা জানিয়েছেন।
নিহতের দুলাভাই ও চাচা শাজাহান আলী বলেন, মঙ্গলবার সন্ধ্যায় মমিন রাতে বাইরে থাকার কথা বলে বাড়ি থেকে বের হয়। সে কাওসার (২০) নামের এক প্রতিবেশীর বাড়ি থাকবে বলে জানিয়েছিল। রাতে কোনো একসময় মমিন কাওসারের বাড়ি থেকে বের হয়ে প্রেমিকার বাড়িতে যায়। সেখানে তাকে পরিকল্পিতভাবে হত্যা করা হয়েছে বলে অভিযোগ। হত্যার পর এটিকে আত্মহত্যা বলে চালিয়ে দিতে লাশ রশি দিয়ে পেঁচিয়ে গাছের সঙ্গে ঝু্ঁলিয়ে রাখা হয়।
তিনি আরও জানান, ওই মেয়েটিকে অন্য কারও সঙ্গে বিয়ে দিতে মঙ্গলবার শেরপুর উপজেলায় পাঠানো হয়েছে বলে তারা জানতে পেরেছেন। এরপরে পরিকল্পিতভাবে হত্যা করা হয়।
কাওসার জানান, মমিন প্রতিবেশী সম্পর্কে চাচা হন। মঙ্গলবার রাতে তার বাড়িতেই ছিল। ঘুমিয়ে পড়ার পরে কোনো একসময় তিনি বাড়ি থেকে বের হন। এরপর আর কিছু জানেন না। তবে রাতে মমিন খুব অস্থিরতার মধ্যে ছিল।
এদিকে আবদুল মমিনের প্রেমিকার বাড়িতে গিয়ে কাউকে পাওয়া যায়নি। তারা পালিয়েছেন বলে গ্রামবাসী জানান।
শাজাহানপুর থানা পুলিশের উপপরিদর্শক (এসআই) সুশান্ত কুমার সাহা জানিয়েছেন, লাশ উদ্ধার করে বগুড়া শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে। ময়নাতদন্ত রিপোর্ট না পাওয়া পর্যন্ত এটি হত্যা না আত্মহত্যা—এ বিষয়ে কিছুই বলা যাচ্ছে না।
-সময়ের সংলাপ২৪/ডি-এইচ
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন