বিএনপি চেয়ারপারসন ও সাবেক প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়া। প্রায় ২ বছর ১ মাস পর গত ২৫ মার্চ শর্তসাপেক্ষে মুক্তি পেয়েছেন তিনি। বর্তমানে তিনি গুলশানে নিজ বাসা ফিরোজায় অনেকটা হোম কোয়ারেনটাইনে দিন কাটাচ্ছেন।
এখন নেতাকর্মীদের কেউই তার দেখা পাচ্ছেন না বললেই চলে। করোনার তাণ্ডবে আগামী আরও বেশ কয়েক দিন খালেদা হোম কোয়ারেনটাইনে থাকবেন বলে জানা গেছে। দলটির শীর্ষ নেতারাও আগে নেত্রীর সুস্থতা ও সু-স্বাস্থ্যর দিকে গুরুত্ব দিচ্ছেন।
তবে হোম কোয়ারান্টাইনে থাকলেও অনেক নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছেন খালেদা জিয়া। এই কারণেই বেগম জিয়ার গুলশান-২ এর ৭৯ নম্বর রোডের বাসা ‘ফিরোজা’র সামনে পুলিশি নিরাপত্তা চেয়ে আবেদন করা হয়েছে।
রোববার (৩০ মার্চ) রাতে বিএনপি চেয়ারপাসনের মিডিয়া উইং সদস্য শায়রুল কবির খান গণমাধ্যমকে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
তিনি জানান, বেগম জিয়ার মুক্তি পাওয়ার দিনই অর্থাৎ গত ২৫ মার্চ তার একান্ত সচিব আবদুস সাত্তার পুলিশ প্রধান (আইজিপি) বরাবর এ সংক্রান্ত চিঠি দেন। চিঠির অনুলিপি ডিএমপি কমিশনার ও অতিরিক্ত আইজিপির কাছেও পৌঁছানো হয়েছে।
জিয়া চ্যারিটেবল ট্রাস্ট ও জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট- এই দুই মামলায় ১৭ বছরের সাজাপ্রাপ্ত হয়ে ২০১৮ সালের ৮ ফেব্রুয়ারি থেকে কারাভোগ করছিলেন বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়া।
মাঝে শারীরিক অবস্থার অবনতি হলে গেল বছরের এপ্রিলে তাকে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয় (বিএসএমএমইউ) হাসপাতালে নিয়ে আসা হয়। এরপর থেকে গত প্রায় ১১ মাস ধরে সেখানেই কারা নজরদারিতে চিকিৎসাধীন ছিলেন খালেদা জিয়া।
এখন দুই শর্তে মুক্তি পেয়েছেন খালেদা। মুক্ত থাকাকালীন বাসায় থেকেই চিকিৎসা নিতে হবে এবং তিনি বিদেশ গমন করতে পারবেন না- এই দুই শর্তে ফৌজদারি কার্যবিধির ৪০১-এর উপধারা ১ ধারা অনুযায়ী বয়সের বিষয়টি বিবেচনায় রেখে মানবিক কারণে বেগম জিয়ার দণ্ডের কার্যকারিতা ৬ মাসের জন্য স্থগিত করে তার মুক্তির আদেশে সায় দেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। -আমারসংবাদ
-সময়ের সংলাপ২৪/ডি-এইচ
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন