সাবেক মন্ত্রী রাশেদ খান মেননকে গ্রেফতারের দাবিতে সিলেটে বিক্ষোভ - সময়ের সংলাপ24
DHAKA WEATHER

Post Bottom Ad

খুব শীগ্রই আমরা Somoyersonglap24.com ওয়েবসাইট নিয়ে আসছি..

সাবেক মন্ত্রী রাশেদ খান মেননকে গ্রেফতারের দাবিতে সিলেটে বিক্ষোভ

Share This

জাতীয় সংসদে কওমী মাদরাসাকে বিষবৃক্ষের সাথে তুলনা করায়, আল্লামা শাহ আহমদ শফীসহ আলেম সমাজকে কটাক্ষ করায় ওয়ার্কার্স পার্টির সভাপতি রাশেদ খান মেননকে গ্রেফতারের দাবিতে সিলেটে বিক্ষোভ মিছিল করেছে মাদানী কাফেলা বাংলাদেশ। 

শুক্রবার (৮ মার্চ) বাদ জুমআ বন্দরবাজার জামে মসজিদের সামনে থেকে শুরু হয়ে নগরীর বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ পয়েন্ট প্রদক্ষিণ করে স্থানীয় কোর্ট পয়েন্টে প্রতিবাদ সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়। 

মাদানী কাফেলা বাংলাদেশের সাধারণ সম্পাদক মাওলানা সালেহ আহমদ শাহবাগীর সভাপতিত্বে ও সাংগঠনিক সম্পাদক হাফিজ শাহীদ আহমদ হাতিমীর পরিচালনায় সমাবেশে বক্তারা বলেন, সাবেক মন্ত্রী রাশেদ খান মেনন সংসদে দাঁড়িয়ে ইসলামের মৌলিক আকীদা খতমে নবুওয়ত অস্বীকারকারী কাফের কাদিয়ানীদের পক্ষে উদ্দেশ্য প্রনোদিত বক্তব্য রেখেছেন। কুরআন হাদীস ও শরীয়তের বিধান হলো যারা আকীদায়ে খতমে নবুওয়ত স্বীকার করেনা তারা কাফের ও অমুসলিম। আর যারা কাদিয়ানী সম্প্রদায়কে অমুসলিম মনে করে না তারাও কাফের। সারা বিশ্ব ও বাংলাদেশের ওলামায়ে কেরাম ও তাওহিদী জনতার ঐক্যমতের ভিত্তিতে তারা অমুসলিম। মেনন সাহেব কাদিয়ানীদের পক্ষে ওকালতি করে প্রমাণ করেছেন তিনিও এই কুফরী আকীদায় বিশ্বাসী। সুতরাং খতমে নবুয়ত অস্বীকারকারী মেনন মুসলমান হতে পারে না।

বক্তারা বলেন, পৃথিবীর অধিকাংশ মুসলিম রাষ্ট্র কাদিয়ানীদেরকে অমুসলিম সংখ্যালঘু ঘোষণা করেছে। বাংলাদেশে কাদিয়ানীদের রাষ্ট্রীয়ভাবে অমুসলিম ঘোষণা করা হলে তারা অন্যান্য সংখ্যালঘুদের মতো নাগরিক অধিকার নিয়ে এ দেশে বসবাস করতে পারবে, তাতে কোন আপত্তি থাকবে না। উপমহাদেশর ঐতিহ্যবাহী দ্বীনিধারা হলো কওমী মাদরাসার শিক্ষা। ভারতবর্ষের স্বাধীনতা আন্দোলনসহ ইসলাম ও দেশের সার্বভৌমত্ত¡ রক্ষা, মুসলমানদের ঈমান আকীদা সংরক্ষণ, জনগণের মৌলিক মানবাধিকার প্রতিষ্ঠায় কওমী মাদরাসা ও আলেম সমাজের ত্যাগ ও অবদান ইতিহাসে চিরস্মরণীয়। কওমী শিক্ষার সাথে এদেশের আপামর জনসাধারণের গভীর সম্পর্ক। ঘুষ, সুদ, দুর্নীতি, সন্ত্রাস ও মাদকমুক্ত শান্তিময় সমাজ বিনির্মাণ কওমী মাদরাসা অনন্য নজীর স্থাপন করেছে। 

বক্তারা আরো বলেন, রাশেদ খান মেনন কওমী মাদরাসাকে ‘বিষবৃক্ষ’ বলে আলেম-উলামা, ছাত্র শিক্ষক ও তৌহিদী জনতার অন্তরে আঘাত করেছেন। কওমী মাদরাসাকে বিষবৃক্ষের সাথে তুলনা করে তিনি সংবিধান লংঘন করেছেন। জাতীয় সংসদকে অপমানিত করেছেন। অবিলম্বে তার সংসদ সদস্য পদ বাতিল করতে হবে। তার বক্তব্য ইসলামী শিক্ষা, নাগরিক অধিকার ও রাষ্ট্রবিরোধী। দেশের সর্বোচ্চ ধর্মীয় ব্যক্তিত্ব আমীরে হেফাজত আল­ামা শাহ আহমদ শফীকে নিয়ে যে অশালীন, কুরুচিপূর্ণ ও ঔদ্ধত্যমূলক বক্তব্য দিয়েছে, এজন্য তাকে প্রকাশ্যে ক্ষমা চাইতে হবে। অন্যথায় তার আলেম ওলামা ও ধর্মবিদ্বেষের বিরুদ্ধে কঠিন কর্মসূচী দিয়ে সমুচিত জবাব দেয়া হবে।

সমাবেশে অন্যান্যর মধ্যে বক্তব্য রাখেন- জমিয়তে উলামায়ে ইসলাম সিলেট মহানগর সভাপতি মাওলানা খলিলুর রহমান, সহ সভাপতি একরামূল আজিজ, জামেয়া হেদায়াতুল ইসলাম সিলেটের প্রিন্সিপাল মাওলানা মুফতি মুতিউর রহমান, মাওলানা ফয়ছল আহমদ, জামেয়া দারুল কোরআনের শিক্ষক সৈয়দ মাওলানা সোয়াইব আহমদ, মাদানী কাফেলা সিলেট মহানগর আহবায়ক হাফিজ সাব্বির আহমদ রাজি, জামেয়া নাজাতুল উম্মাহ’র প্রিন্সিপাল মাওলানা তোফায়েল আহমদ ওসমানী, জাগরণ ইসলামী সাংস্কৃতিক দলের পরিচালক হাফিজ আব্দুল করিম দিলদার, ছাত্রনেতা মো. লুৎফুর রহমান, সহ সভাপতি আবুল খয়ের, খলিল উল­াহ, মাওলানা আব্দুল হাই, ছাত্র মজলিস নেতা ইমতিয়াজ, দেলওয়ার হোসাইন ইমরান, হাফিজ সোহাইল আহমদ, সাজ্জাদ হোসেন রুমন প্রমুখ। 

-সময়ের সংলাপ২৪/ডি-এইচ