দক্ষিণ সুরমায় একই রাতে ৮টি দোকান ও দুটি বাসায় ডাকাতির ঘটনা ঘটেছে। ডাকাতরা এ সময় দোকানের মালামাল ও ক্যাশ বাক্স লুট করে নিয়ে গেছে। বাসায় হানা দিয়ে গৃহকর্তাকে বেঁধে মারধর করে নিয়ে গেছে নগদ টাকা পয়সা, স্বর্ণ, মোবাইলসহ মূল্যবান মালামাল। এ ঘটনায় দায়িত্বে অবহেলার অভিযোগে মোগলাবাজার থানার এএসআই লৎফুর রহমান ও আরিফকে পুলিশ লাইনে ক্লোজড করা হয়েছে।
জানা গেছে, গত ৮ ফেব্রুয়ারি গভীর রাতে দক্ষিণ সুরমার সিলামের আখড়া বাজার এলাকায় ডাকাতির ঘটনাগুলো ঘটে। বাজারের চুরি হওয়া দোকানগুলোর মধ্যে রয়েছে- মারজান এন্টারপ্রাইজ, অনুকূল চক্রবর্তীর মোবাইলের দোকান, কামাল টেলিকম, ভাই ভাই ষ্টোর, সানি ডিপার্টমেন্টাল ষ্টোর, রমজান আলীর দোকান, ডিজিটাল সেন্টার ও কামাল রেষ্টুরেন্ট।
স্থানীয় বাসিন্দারা জানান, সিলেট-সুলতানপুর সড়কের সিলাম আখড়া বাজার ও আনন্দ বাজার এলাকায় অবস্থিত দোকান ও বাসায় ১৫/২০ জনের একটি সশস্ত্র ডাকাত দল প্রথমে জুয়েল মিয়ার বাসার দরজা ভেঙ্গে প্রবেশ করে। এ সময় তারা জুয়েল মিয়ার হাত পা বেঁধে লুটপাট চালায়। গৃহকর্তা জুয়েল মিয়া বলেন, ডাকাতদের হাতে দেশীয় অস্ত্র ও পিস্তল ছিল। ভয়ে চুপচাপ থাকি। তিনি জানান, নগদ ৩০ হাজার টাকা, দেড় ভরি স্বর্ণ, মোবাইলসহ মূল্যবান মালামাল নিয়ে গেছে ডাকাতরা। একই কায়দায় কাওসার আলম মজুমদারের বাসায় প্রবেশ করে ডাকাতদল। গৃহকর্তা কাওসার মিয়াকে বেঁধে মারধর করে নগদ ৫ হাজার টাকা, দু’টি স্বর্ণের চেইন, ৩টি মোবাইল নিয়ে যায়। কাওসার আলমের মেয়ে জাহেদা বেগম জানান, আমার গলায় দা ধরেছিল ভয়ে চিৎকার করিনি। ডাকাতরা যাওয়ার সময় ঘরে রাখা মুড়ি খায় ও পারফিউম ব্যবহার করে পালিয়ে যায়।
এদিকে,দায়িত্ব অবহেলার অভিযোগে মোগলাবাজার থানার এএসআই লৎফুর রহমান ও আরিফকে পুলিশ লাইনে ক্লোজড করা হয়েছে। সিলেট মেট্রোপলিটন পুলিশ দক্ষিণের ডিসি সোহেল রাজা এই তথ্য নিশ্চিত করে বলেন, মালামাল উদ্ধার ও ডাকাতদের গ্রেফতার করতে পুলিশের একাধিক টিম কাজ করছে।
অপরদিকে, ডাকাতির খবর পেয়ে পুলিশের অতিরিক্ত কমিশনার পরিতোষ ঘোষ, দক্ষিণের ডিসি সোহেল রেজা ও মোগলাবাজার থানার ওসি আব্দুল কাইয়ুম চৌধুরী ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন। এ ঘটনার পর থেকে এখন পর্যন্ত এলাকাবাসী ও ব্যবসায়ীদের মধ্যে ডাকাত আতংক বিরাজ করছে।
-সময়ের সংলাপ২৪/ডি-এইচ