ভৈরবে প্রেমিকাকে ধর্ষণের অভিযোগে প্রেমিক রুবেল বেলায়েতকে আটক করেছে পুলিশ। এদিকে প্রেমিক আটকের পর থেকে বিয়ের দাবিতে রাতভর থানায় অবস্থান করছেন প্রেমিকা।
পরে বিষয়টি শুনে স্থানীয় একটি প্রভাবশালী মহল প্রেমিকার পরিবারকে চাপ প্রয়োগ করে বিষয়টি ভিন্নখাতে প্রবাহের চেষ্টা করছে বলে অভিযোগ উঠেছে। প্রেমিকা নাহিদা আক্তার (ছদ্ম নাম ) ও তার পরিবার এবং এলাকাবাসীরা জানায়, উপজেলার শিমুলকান্দি ইউনিয়নের চাঁনপুর গ্রামের আবদুল হকের মেয়ে নাহিদা আক্তারের সাথে একই গ্রামের বাদল মিয়ার পুত্র রুবেল বেলায়েত স্থানীয় ওয়ার্ড আদর্শ উচ্চ বিদ্যালয়ে পড়া-লেখা করতো।
একই বিদ্যালয়ে পড়া-লেখা করতে একই সাথে স্কুলে আসা-যাওয়া করার কালে দু'জনের মধ্যে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে উঠে। পরে দু'জনেই এস.এস.সি. পাস করে। বর্তমানে প্রেমিক জিল্লুর রহমান সরকারি কলেজ ও বিশ্ববিদ্যালয়ে ইসলামের ইতিহাস বিষয়ের অনার্স ২য় বর্ষের ফাইনাল পরীক্ষার্থী এবং প্রেমিকা ভৈরব হাজি আসমত কলেজের অনার্স ৩য় বর্ষের পৌরনীতি বিষয়ের পরীক্ষার্থী।
প্রেমিক যুগলের মধ্যে ২০১১ সাল থেকে প্রেমের সম্পর্ক চলাকালে এরই মধ্যে নাহিদার বিয়ের জন্য বিভিন্ন স্থান থেকে বিয়ের প্রস্তাব এলে প্রেমিক রুবেল বিয়ে ভেঙে দেয়ার জন্য নাহিদাকে একাধিকবার চাপ দেয়। নাহিদাও প্রেমিকের বিয়ের আশ্বাসে বিয়ে ভেঙে দেয়।
অভিযোগ উঠেছে, নাহিদাকে বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে কৌশলে বিভিন্ন জায়গায় নিয়ে একাধিকবার যৌন সম্পর্কও করেছেন ওই যুবক। কিন্ত গত ২০১৮ সালে রুবেল তাকে বিয়ে করতে অস্বীকৃতি জানালে নাহিদা ওই বছরের ২৪ অক্টেবর নিজ বাড়িতে বিষপানে আত্মহত্যার চেষ্টা করে।
এরপর থেকে ওই যুবক একেবারে যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন করে দেন । গতকাল বৃহস্পতিবার প্রেমিক ঢাকা থেকে ভৈরবে এলে পুলিশ তাকে আটক করে থানা হেফাজতে আটকে রাখে।
এ বিষয়ে ভৈরব থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) বাহালুল খান বাহার জানান, বিষয়টি স্থানীয়ভাবে মিমাংসার চেষ্টা চলছে। মিমাংসা না হলে পরিবারের পক্ষ থেকে মামলা দায়ের করা হলে মামলা রুজু করা হবে।
-সময়ের সংলাপ২৪/ডি-এইচ
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন