প্রাথমিকে আগামী ৫ বছরে এক লাখের বেশি শিক্ষক নিয়োগ দেয়া হবে বলে জানিয়েছেন প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের সচিব মো. আকরাম-আল হোসেন।
মঙ্গলবার রাজধানীর গুলশানে স্পেকট্রা কনভেনশন সেন্টারে ‘বাংলাদেশে প্রাক-প্রাথমিক শিক্ষা: বাস্তবায়ন-অভিজ্ঞতা এবং সম্ভাবনা’ বিষয়ক এক গোলটেবিল বৈঠকে তিনি এ কথা বলেন।
প্রধান অতিথির বক্তৃতায় সচিব বলেন, গত ১০ বছরে এক লাখ ৮০ হাজার শিক্ষক নিয়োগ দেয়া হয়েছে। এখন শিক্ষার্থী ও শিক্ষকের অনুপাত ১: ৩৬। এক লাখ নিয়োগ দেয়া হলে শিক্ষার্থী ও শিক্ষকের অনুপাত ১: ৩০-এ নেমে আসতে পারে।
এ সময় ২০২০ সাল থেকেই দুই বছর মেয়াদি প্রাক-প্রাথমিক শিক্ষা চালুর জন্য সর্বোচ্চ চেষ্টা করবেন বলেও জানান তিনি।
সচিব আরো বলেন, এক বছর মেয়াদি প্রাক-প্রাথমিক শিক্ষাকে দুই বছর মেয়াদি করার কার্যক্রম শুরু হয়েছে। এ লক্ষে প্রাথমিক শিক্ষা অধিদফতরের কার্যপত্রের খসড়া তৈরি করেছে। ফেব্রুয়ারি মাসের মধ্যেই নিজেদের মধ্যে সভা ও কর্মশালা করে সেটি চূড়ান্ত করে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে আলাপ করবেন।
তিনি বলেন, শিশুর প্রারম্ভিক বিকাশের জন্য প্রাক-প্রাথমিক শিক্ষার গুরুত্ব অপরিসীম। বর্তমানে দেশের সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়গুলোতে এক বছর মেয়াদি (পাঁচ থেকে ছয় বছর) প্রাক-প্রাথমিক শিক্ষা চালু আছে। শিশুর যথাযথ বিকাশের জন্য কমপক্ষে দুই বছর মেয়াদি (চার থেকে ছয় বছর) প্রাক-প্রাথমিক শিক্ষা চালু করতে হবে। এ লক্ষ্য পূরণে সরকারের পাশাপাশি বেসরকারি সংস্থাগুলোর সহযোগিতাও দরকার।
বৈঠকে জাতীয় শিক্ষাক্রম ও পাঠ্যপুস্তক বোর্ডের শিক্ষাক্রম বিশেষজ্ঞ খন্দকার মো. মনজুরুল আলম, প্ল্যান ইন্টারন্যাশনাল বাংলাদেশের শিক্ষা বিভাগের প্রধান মুরশীদ আকতার, আইসিডিডিআরবির বিজ্ঞানী জেনা হামাদানী, বেসরকারি সংস্থা এডুকোর শিক্ষা বিশেষজ্ঞ গোলাম কিবরিয়া, প্রাথমিক শিক্ষা অধিদফতরের উপপরিচালক (প্রাক-প্রাথমিক) মহিউদ্দিন আহমেদ, আগা খান ফাউন্ডেশন বাংলাদেশের প্রারম্ভিক শিশু বিকাশবিষয়ক সাবেক পরামর্শক মো. গোলাম মোস্তফা, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষা ও গবেষণা ইনস্টিটিউটের শিক্ষক আহসান হাবীব প্রমুখ বক্তব্য দেন।
-সময়ের সংলাপ২৪/ডি-এইচ
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন