ইহুদিবাদি রাষ্ট্র ইসরায়েলের দেয়া ১০০ মিলিয়ন মার্কিন ডলারের প্রস্তাব ফিরিয়ে দিয়েছেন হেবরনের এক ফিলিস্তিনি। পশ্চিম তীরের আল-সালাহ শহরের কাছে হেবরন এলাকায় একটি বাড়ি ও দোকান কিনতে পশ্চিম তীরের বাসিন্দা আবদুল রউফ আল-মহতাসেবকে ইসরায়েল সরকার ১০০ মিলিয়ন ডলারের প্রস্তাব দেন। পুরনো শহরটির কেন্দ্রস্থলে ইব্রাহিমি মসজিদ উপেক্ষা করে তিনি এমনটি করতে পারেন না জানিয়ে ইসরায়েলের এ প্রস্তাব ফিরিয়ে দেন।
আল-মহতাসেব তার বাড়ির ও দোকানের জন্য ইসরাইয়েলি সব ধরনের প্রস্তাব প্রত্যাখ্যান করেছেন। তিনি এ বিষয়ে আল-মায়াদিন টিভিতে দেয়া এক সাক্ষাতকারে বলেন, আমি ১০০ মিলিয়ন ডলারের প্রস্তাব প্রত্যাখ্যান করেছি। আমি পৃথিবীর সব টাকা ত্যাগ করতে পারি। তবে আমি আমার জন্মভূমি ও ধর্মের সঙ্গে বেঈমানি করতে পারি না। টাকা থাকা ভালো, তবে তা যখন পরিষ্কার হয়।
আল-মহতাসেব বলেন, আমাকে দেয়া প্রস্তাবটি প্রথমে ৬ মিলিয়ন ছিল। পরে এটি বেড়ে ৪০ মিলিয়ন এবং অবশেষে ১০০ মিলিয়নে দাঁড়ায়। তিনি জানান, জোর করেও তার অবস্থান পরিবর্তন করতে পারেনি। তিনি আরও জানান, তিনি ইব্রাহিমি মসজিদের পাহারায় থাকবেন। ইসরায়েলি মধ্যস্তকারীরা তাকে অস্ট্রেলিয়া বা কানাডায় নতুন জীবন শুরু করতে সাহায্য করবে। এ ছাড়াও নতুন ব্যবসারও ব্যবস্থা করবেন। কিন্তু তিনি সব ধরনের প্রস্তাব প্রত্যাখ্যান করেছেন বলে জানান।
ইসরায়েলি মধ্যস্থকারীরা তার বাড়ির মূল্য আরও বৃদ্ধি করতে চায় বলে আল-মহতাসেব জোর দিয়ে বলেন। কিন্তু তিনি জন্মভূমিকে ভালোবাসেন। তিনি তার ২০ নাতি-নাতনি নিয়ে বাকি জীবন হেবরনে কাটিয়ে দিতে চান। তিনি দুঃখ করে বলেন, আমি আমার শৈশব কাটিয়েছি এখানে। কিন্তু আমার নাতি-নাতনিদের এখান থেকে বঞ্চিত করতে চাই না।
আমি পেশাগত কারণে জর্ডান ভ্রমণ বাতিল করি এবং ফিরে আসি হেবরনে। আমরা প্রকৃত জেলখানায় বসবাস করছি। তিনি বলেন, ‘ইসরায়েলি দালাল বোয়াজ আমার কাছে ৩০ মিলিয়ন ডলারের প্রস্তাব নিয়ে এসেছিল। একটি ইট নিয়ে বললাম তুমি কি এ ইট কিনতে চাও?’ সে বলল, আমি পুরো বাড়ি কিনতে চাই। আল-মহতাসেব প্রতিউত্তরে বলেন, একটি ইটের দামও ৩০ মিলিয়ন যথেষ্ট নয়। সূত্র: মিডল ইস্ট মনিটর।
-সময়ের সংলাপ২৪/ডি-এইচ
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন