কলড্রপ, চার্জসহ বিরক্তিকর এসএমএস বন্ধে আদালতে রিট - সময়ের সংলাপ24
DHAKA WEATHER

Post Bottom Ad

খুব শীগ্রই আমরা Somoyersonglap24.com ওয়েবসাইট নিয়ে আসছি..

কলড্রপ, চার্জসহ বিরক্তিকর এসএমএস বন্ধে আদালতে রিট

Share This

গ্রাহকদের মতামত না নিয়ে মোবাইল অপারেটরগুলোর কলচার্জ বৃদ্ধি, কলড্রপে গ্রাহকদের ক্ষতিপূরণ না দেয়া ও বিরক্তিকর ক্ষুদে বার্তা প্রেরণের বৈধতা চ্যালেঞ্জ করে রিট দায়ের করা হয়েছে হাইকোর্টে। এতে মোবাইলফোন ব্যবহারকারীদের অধিকার সুরক্ষায় বিবাদীদের ব্যর্থতা কেন অবৈধ ঘোষণা করা হবে না- এই মর্মে রুল জারি এবং বিশেষজ্ঞদের সমন্বয়ে কমিটি গঠন করে মোবাইল গ্রাহকদের অধিকার তত্ত্বাবধান,পর্যবেক্ষণ এবং সুরক্ষায় কার্যকরী ব্যবস্থা গ্রহণের নির্দেশনা চাওয়া হয়েছে। 

রিটে কলড্রপে গ্রাহকদের আর্থিক ক্ষতির পরিমাণ নিরূপণ ও ক্ষতিপূরণ দিতে পৃথক কমিটি গঠনের আর্জি জানানো হয়েছে। পাশাপাশি পুনরায় কলরেট ও অন্যান্য চার্জ বাড়ানো ও মোবাইল গ্রাহকদের অনাবশ্যক ক্ষুদে বার্তা প্রেরণে নিষেধাজ্ঞা চাওয়া হয়েছে।

বৃহস্পতিবার বিচারপতি তারিক উল হাকিম ও বিচারপতি মো. সোহরাওয়ারদীর সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চের কার্যতালিকায় রিট আবেদনটি শুনানির জন্য ৫১ নম্বর ক্রমিকে রয়েছে। এর আগে বুধবার জনস্বার্থে হাইকোর্টে রিট আবেদনটি দায়ের করা হয়।

রিটে টেলিযোগাযোগ সচিব, বিটিআরসির চেয়ারম্যান, সেক্রেটারি, মোবাইল অপারেটর গ্রামীণফোন লিমিটেড, এয়ারটেল লিমিটেড, রবি আজিয়াটা লিমিটেড, বাংলা লিংক লিমিটেড ও টেলিটকের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তাকে বিবাদী করা হয়েছে।

রিট আবেদনটি দায়ের করেন আইন সাংবাদিকদের সংগঠন ল’ রিপোটার্স ফোরামের সদস্য এম. বদিউজ্জামান, মেহেদী হাসান ডালিম, মুঠোফোন গ্রাহক অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি মহিউদ্দিন আহমদ ও সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী অ্যাডভোকেট রাশিদুল হাসান।

রিটকারীদের পক্ষের আইনজীবী অ্যাডভোকেট ইশরাত হাসান বলেন, ‘এমনিতেই পাশ্ববর্তী দেশগুলোর তুলনায় আমাদের দেশে মোবাইল কলচার্জ বেশি। এরপরে গ্রাহকের মতামত না নিয়ে চলতি বছরের আগস্ট মাসে অতিরিক্ত কলরেট চাপিয়ে দেয়া হয়েছে। যা গ্রাহকদের অধিকারের পরিপন্থী ও বেআইনী।’

ইশরাত হাসান আরো বলেন, বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ কমিশনের (বিটিআরসি) প্রতিবেদন অনুযায়ী গত ১৩ মাসে ২২২ কোটি বার কলড্রপ করেছে মোবাইল অপারেটরগুলো।

এর মধ্যে দেশে গ্রাহক সংখ্যায় শীর্ষে থাকা গ্রামীণফোন কলড্রপের ক্ষেত্রেও শীর্ষে অবস্থান করছে। গত ১৩ মাসে এ অপারেটরের কল ড্রপ হয়েছে ১০৩ কোটি ৪৩ লাখ বার। একই সময়ে গ্রাহক সংখ্যায় দ্বিতীয় অবস্থানে থাকা রবির কলড্রপ হয়েছে ৭৬ কোটি ১৮ লাখ বার। সক্রিয়তার বিবেচনায় গ্রামীণফোনের ৭ কোটি ৭ লাখ এবং রবি ও এয়ারটেলের রয়েছে ৪ কোটি ৬১ লাখ সংযোগ।

২০১৭ সালের সেপ্টেম্বর থেকে ২০১৮ সালের সেপ্টেম্বর পর্যন্ত ১৩ মাসে দেশের সব মোবাইল ফোন অপারেটরের কলড্রপের পরিসংখ্যান নিয়ে একটি প্রতিবেদন প্রকাশ করে বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ কমিশন (বিটিআরসি)।

প্রতিবেদনে দেখা যায়, গ্রামীণফোন ও রবির পর সবচেয়ে বেশি কলড্রপ হয়েছে বাংলালিংকের ৩৬ কোটি ৫৪ লাখ আর টেলিটকের আনুমানিক ৬ কোটি বার। বাংলালিংকের সংযোগ রয়েছে ৩ কোটি ৩৪ লাখ এবং সরকারি মোবাইল অপারেটর টেলিটকের রয়েছে ৩৮ লাখ ৭৩ হাজার সংযোগ।

২০১৪ সালে কয়েকটি অপারেটর কলড্রপের বিপরীতে গ্রাহকদের ক্ষতিপূরণ দেয়া শুরু করে। এ নিয়ে তারা প্রচারও চালায়। কিন্তু কিছুদিন না যেতেই ঘোষণাছাড়া ক্ষতিপূরণ বন্ধ করে দেয় অপারেটরগুলো। এ নিয়ে গ্রাহকদের মধ্যে ক্ষোভ সৃষ্টি হয়। এমনকি সরকারের একাধিক মন্ত্রীও ক্ষোভ প্রকাশ করেন। এর পর গ্রাহকদের সর্বোচ্চ সেবা নিশ্চিত করতে অপারেটরগুলোর কাছ থেকে কলড্রপের বিপরীতে ক্ষতিপূরণ আদায়ের সিদ্ধান্ত নেয় ডাক ও টেলিযোগাযোগ বিভাগ।

সিদ্ধান্ত অনুযায়ী, গত বছরের জানুয়ারি থেকে কলড্রপের জন্য গ্রাহককে ক্ষতিপূরণ দেয়ার কথা অপারেটরগুলোর। কিন্তু অপারেটরদের পক্ষ থেকে এবিষয়ে কার্যকর কোনো পদক্ষেপ গ্রহণ করতে দেখা যায়নি। এই প্রেক্ষিতে রিট পিটিশনারদের পক্ষ থেকে গত ১০ ডিসেম্বর বিবাদীদের লিগ্যাল নোটিশ পাঠানো হয়। নির্ধারিত সময়ে নোটিশের জবাব না পেয়ে জনস্বার্থে হাইকোর্টে রিট দায়ের করেন তারা। ইউএনবি।

-সময়ের সংলাপ২৪/ডি-এইচ