সিলেটের হাটবাজারে মানুষের ঢল: পুলিশ দেখলেই দৌড়, পুলিশ না থাকলে আড্ডা - সময়ের সংলাপ24
DHAKA WEATHER

Post Bottom Ad

খুব শীগ্রই আমরা Somoyersonglap24.com ওয়েবসাইট নিয়ে আসছি..

সিলেটের হাটবাজারে মানুষের ঢল: পুলিশ দেখলেই দৌড়, পুলিশ না থাকলে আড্ডা

Share This
সিলেটের গ্রামীণ হাটবাজারে করোনা লকডাউনের কোন প্রভাব পড়েনি। যেন বিধিনিষেধের ধার ধারছেনা কেউ। বিকেল হলেই বাজারের অলিগলিতে সেই আগের মতোই নামছে মানুষের ঢল। গ্রামের মাঠে কিশোর তরুণদের ক্রিকেট, ফুটবল ম্যাচ চলছেই। ফলে শহরের তুলনায় গ্রামে করোনা সংক্রমণের ভয়াবহতা বেশি হতে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে।

অঘোষিত লকডাউনে অনেকটা অচলাবস্থায় পুরো দেশ। থমকে গেছে পুরো পৃথিবী। বিশেষ প্রয়োজন ছাড়া ঘরের বাইরে যাওয়া সরকারিভাবে বারণ। অথচ গ্রামের বেশিরভাগ লোকজনই তা কানে নিচ্ছেন না। আগের মতোবি স্বাভাবিক নিয়মে চলাচল করছেন। বাজারের কাচাঁবাজার, মাছ বাজারে ভীড় যেন লেগেই থাকে। কোথাও নেই সচেতনতার বালাই।

শহরের বাইরে হাটাবজারগুলোতে লকডাউনের প্রভাব নেই বললেই চলে। শহরতলীর টুকেরবাজার। কাচা বাজার হিসেবে পরিচিত এই বাজারে করোনা আতঙ্কের দিনগুলোতেই লেগে থাকে মানুষের ভীড়। গভীর রাত ছাড়া জনাসাধারণের উপস্থিতি স্বাভাবিক। দু একটি কাপড়ের দোকান বন্ধ ছাড়া বাকীসবগুলো দোকানপাট খোলা থাকে। সিএনজি অটোরিকশা স্ট্যান্ডেও নেই এর কোন প্রভাব। দিনের কোন এক সময়ে পুলিশ গিয়ে একটু আধটু হুমকী দামকি দিলেও চিত্র তেমন বদলায়না। পুলিশ দেখলেই হাটবাজারগুলোর জনসাধারণ দৌড় দেয় আবার পুলিশ ফিরে গেলে আড্ডা জমায় সবাই।
শহরতলীর শিবেরজারেও একই পরিস্থিতি। সকাল থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত মানুষের উপস্থিতিতে সরব থাকে বাজার। ব্যবসা বানিজ্যও চলছে ঠিক আগের মতোই। শহরের অদূরে সিলেট কোম্পানীগঞ্জ বঙ্গবন্ধু মহাসড়কের পাশে অবস্থান সালুটিকরবাজারের। সপ্তাহে শনি ও মঙ্গলবার বসে হাট। এরবাইরেও প্রতিদিন লোকসমাগম লেগেই থাকতো। এখনো একই দৃশ্য।

খাদিমনগর ইউনিয়নের সাহেববাজার, খাদিমপাড়ার শাহপরান গেইট কিংবা চিকানগুলবাজার, হরিপুর বাজার সবজায়গাতেই লোকসমাগম আগের মতোই রয়েছে। মাঝে মাঝে অভিযান চললেও এর প্রভাব পড়ছেনা। অন্যদিকে শহরের অঘোষিত লকডাউনের প্রভাব থাকায় সাধারণ ব্যবসায়ীরা লোকজনের সাথে দিনের বেলা গ্রামেই অবস্থান করছেন। এই সুযোগে দল বেধেঁ গ্রামের মাঠে ক্রিকেট কিংবা ফুটবল খেলায় মেতে ওঠছেন অনেকেই। বিকেলে হলেই গ্রামে গেলে এই দৃশ্য যে কারো চোখে পড়বে। শহরের পাড়া মহল্লার পরিস্থিতিও একই।

দিনমজুর শ্রমজীবী ও ছিন্নমুল লোকজনের জন্য ব্যক্তি ও সরকারি উদ্যোগে নানাভাবে সহযোগিতা অব্যাহত রয়েছে। এরপরও তাদের ঘরে আটকানো যাচ্ছেনা। বিধি নিষেধের খুব একটা তোয়াক্কা করছেন না গ্রামের লোকজন।

সিলেটের সিভিল সার্জন ডাঃ প্রেমানন্দ মন্ডল বলেন, সামাজিক দূরত্ব তৈরীতে ব্যর্থ হলে করোনা ভাইরাস সংক্রমণে ভয়াবহতা দেখা দিতে পারে। এখনো সময় আছে বাঁচতে হলে সাধারণ মানুষকেই সচেতন হতে হবে। গ্রামের মানুষগুলোর সামজিক দূরত্ব বজায় রাখা অত্যন্ত জরুরি বলেও মন্তব্য করেন তিনি।

সিলেটের জেলা প্রশাসক এম কাজী এমদাদুল হক বলেন, মানুষকে সচেতন করার সর্বোচ্চ চেষ্টা চালানো হচ্ছে। ভ্রাম্যমান আদালত পরিচালনা করে দন্ড প্রদান করা হচ্ছে। সচেতনতা সৃষ্টিতে সামরিক বাহিনী, র‌্যাব পুলিশ, ম্যাজিষ্ট্রেট মাঠে রয়েছে। তিনি বলেন, শহর গ্রাম সবখানেই সামাজিক দূরত্ব মেনে চলতে হবে। না হয় প্রশাসন আরো কঠোর হবে।

-সময়ের সংলাপ২৪/ডি-এইচ

কোন মন্তব্য নেই: