সিলেট-২ আসনে বিএনপির প্রার্থী তাহসিনা রুশদীর লুনার মনোনয়নপত্র বৈধ ঘোষণা করে নির্বাচন কমিশনের দেয়া সিদ্ধান্ত স্থগিত করেছেন হাইকোর্ট।
একই আসনে মহাজোটের শরিক জাতীয় পার্টির প্রার্থী ইয়াহহিয়া চৌধুরীর করা এক রিট পিটিশনের শুনানি নিয়ে বৃহস্পতিবার সকালে এ আদেশ দেন বিচারপতি জেবিএম হাসানের নেতৃত্বাধীন হাইকোর্টের একটি দ্বৈত বেঞ্চ।
হাইকোর্টের এই আদেশ জানার এক তাৎক্ষণিক প্রতিক্রিয়ায় তাহসিনা রুশদীর লুনা যুগান্তরকে বলেন, এটি এক ধরনের হয়রানি। মহাজোটের প্রার্থী ২০১৪ সালের নির্বাচনে বিনা ভোটে এমপি হয়েছিলেন, এবারও সেই চেষ্টা করছেন। ফের বিনা ভোটে এমপি হতে ষড়যন্ত্রে লিপ্ত মহাজোট প্রার্থী।
লুনা হাইকোর্টের আদেশের বিরুদ্ধে রায় করবেন জানিয়ে বলেন, আমি আশা করছি আদালতের মাধ্যমেই মনোনয়ন স্থগিতাদেশ প্রত্যাহার করে প্রার্থিতা ফিরে পাব।
লুনা আরও বলেন, মহাজোটের প্রার্থী ২০১৪ সালে বিনা ভোটে এমপি হয়েছিলেন, এবারও শুরু থেকেই সেই পাঁয়তারা করছেন। একই অভিযোগ তিনি প্রধান নির্বাচন কমিশনে দিয়েছিলেন; কিন্তু কমিশন যাচাই-বাছাই করে শুনানি শেষে তার প্রার্থিতা বহাল রাখে।
তিনি বলেন, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় স্বায়ত্তশাষিত প্রতিষ্ঠান। এই বিশ্ববিদ্যালয়ের চাকরি বিধিমালায় রয়েছে আগের দিন চাকরি থেকে ইস্তফা দিয়ে পরের দিন সংসদ নির্বাচনে প্রার্থী হওয়া যাবে। তবু তিনি গত ১ জুলাই ডেপুটি রেজিস্ট্রারের পদ থেকে ইস্তফা দেন।
চাকরি ছাড়ার ৬ মাস অতিবাহিত হওয়ার পর তিনি প্রার্থী হয়েছেন। নির্বাচন কমিশনও তার প্রার্থিতা বৈধ করে তাকে প্রতীক বরাদ্দ দিয়েছেন।
সুতরাং এ বিষয় নিয়ে আবারও আদালতে যাওয়া আমাকে হয়রানি করা ছাড়া কিছুই নয়। আমি আশা করি এই আদেশের বিরুদ্ধে আপিল করলে আদালতের মাধ্যমেই স্থগিতাদেশ প্রত্যাহার হবে।
এ বিষয়ে মহাজোটের প্রার্থী ইয়াহহিয়া চৌধুরী যুগান্তরকে বলেন, তিনি আবেদন করেছিলেন নির্বাচন কমিশনে। কিন্তু কিভাবে আদালতে গেল সেটি তিনি জানেন না। তিনি তার আইনজীবীর সঙ্গে কথা বলে জানাতে পারবেন।
-সময়ের সংলাপ২৪/ডি-এইচ