ঐক্যফ্রন্টের প্রার্থী মুকাব্বির খানকে অবাঞ্চিত ঘোষণা করল ওসমানীনগর উপজেলা ছাত্রদল ও তাজপুর কলেজ ছাত্রদলের।
সিলেট-২ আসনে গণফোরামের প্রেসিডিয়াম সদস্য উদিয়মান সূর্য প্রতিকের প্রার্থী মোকাব্বির খানের নির্বাচনী কার্য্যক্রম থেকে বিরত থাকার ঘোষণা দিয়েছেন ওসমানীনগর উপজেলা ছাত্রদল ও তাজপুর কলেজ ছাত্রদল। মুকাব্বিরের বিরুদ্ধে ছাত্রদলকে অবহেলা, বিএনপি ও অঙ্গ সংগঠনের নেতাকর্মীদের নিয়ে কটুক্তির অভিযোগ করেছেন ছাত্রদলের নেতা-কর্মীরা। এতে নির্বাচনের শেষ লগ্নে ঐক্যফন্টের এই প্রার্থী ওসমানীনগর ছাত্রদলের সমর্থন হারালেন। মুকাব্বির খানের প্রধান নির্বাচনী কার্যালয়ে তালা দেয়ার পর স্থানীয় সাংবাদিকদের সাথে প্রেস বিফ্রিং করে মোকাব্বিরকে ওসমানীনগরে অবাঞ্চিত ঘোষণা করেছে উপজেলা ছাত্রদল ও তাজপুর কলেজ ছাত্রদল। গতকাল শুক্রবার বিকেলে উপজেলার তাজপুর কদমতলাস্থ একটি মার্কেটে সাংবাদিকদের সাথে প্রেস বিফ্রিং কালে উপজেলা ছাত্রদলের সিনিয়র নেতারা ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, মোকাব্বির খান নিখুঁজ বিএনপি নেতা ইলিয়াস আলী ও তার সহধর্মীনি লুনার নাম ভাঙিয়ে প্রচারণা চালালেও আড়ালে ইলিয়াস পরিবার নিয়ে কটুক্তি করে যাচ্ছেন। তাছাড়া শূন্য থাকা মোকাব্বির খানকে একদিনে জনপূর্ণ করতে অগ্রণী ভুমিকা পালন করেছে ছাত্রদল। কিন্তু তিনি আমাদেরকে পাত্তা দিচ্ছেন না। একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ইলিয়াসপতœী লুনার প্রার্থীতা বাতিলের নেপত্যে দলীয় অভ্যন্তরীন কোন্দল নিহিত রয়েছে। দলের কথিপয় নেতাদের উদ্দেশ্য ছিল ইলিয়াস পরিবার ও তার অনুসারীদেরকে যে কোনো ভাবে নির্বাচন থেকে দূরে রাখা। মুখে ইলিয়াস আলী ও লুনার কথা বলে মোকাব্বিরের পক্ষে ভোট আদায়ের চেষ্টা করলেও আড়ালে চলছে অন্য হিসেব-নিকেশ। মোকাব্বির খানের সর্বেসর্বা হয়ে আছেন বিএনপি কথিত কিছু সিনিয়র নেতা। তাদের নির্দেশনায় নির্বাচনী সকল কার্যক্রম চালানো হচ্ছে এবং ছাত্রদলকে দূরে রাখছেন। উপজেলার ছাত্রদলের সাথে মোবাব্বির খানের কোনো যোগাযোগ নেই। তিনি সিলেট-৩ আসন থেকে বহিরাগতদের নিয়ে নির্বাচনী প্রচারণা করেছেন। মুকাব্বির খানকে বয়কটের কারণ উল্লেখ করে ছাত্রদল নেতারা বলেন, উপজেলা ও কলেজ ছাত্রদলের নেতাকর্মীরা একাট্টা হয়ে মোকাব্বির খানের পক্ষে প্রচারণায় নেমেছিল। কিন্তু তিনি আমাদেরকে মূল্যায়ন না করে উল্টো বহিরাগতদের যুক্ত করে আমাদের অবহেলা করে যাচ্ছেন। তার অনুসারীরা আমাদেরকে প্রকাশ্যে তুচ্ছ তাচ্ছিল্য করছেন। নির্বাচনী প্রচারনায় ঝুঁকি ও ভোটাধিকার প্রয়োগের বিষয়ে মোকাব্বির খানের সাথে আমরা আলোচনা করতে চাইলেও আমাদেরকে গুরুত্ব দেয়া হচ্ছেনা। এতে আমরা আস্থাহীনতায় ভুগছি।
এসময় ছাত্রদল নেতাদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন, উপজেলা ছাত্রদলের সদস্য সচিব রায়হান আহমদ,সাবেক সিনিয়র যুগ্ম আহবায়ক কবির আহমদ,যুগ্ন-আহবায়ক সাজ্জাদুর রহমান, শাহেদ আহমদ, কামরুজ্জামান, রাকিব আলী, রেদুওয়ান আহমদ, মাসুদুর রহমান, হুমায়ুন রশিদ চৌধুরী সফি, মুনসুর চৌধুরী, আব্দুস সামাদ মাহবুব, আতিকুল আলম, সুহিনুল হক আক্তার, কয়েছ আহমদ, হুসাইন আহমদ হাসান, এমদাদ আলী, আমিনুর রহমান আমিন, রমজান আলী, তাজপুর কলেজ ছাত্রদলের সদস্য সচিব জুয়েব আহমদ, সাবেক আহবায়ক সৈয়দ শাহাজান আলী, সিনিয়র সদস্য জে আই সোহান, সাব্বির আহমদ, হিফজুর রহমান নাহিদ, হাবিব ওয়াহিদ, এনাম আহমদ, বশর আহমদ, আকরাম আহমদ, আলামিন, রাসেল আহমদ, রাজন আহমদ, উজ্জল, মাছুম রাসেল, জোবায়ের, সৈয়দ হুমায়ুন আলী, সৈয়দ ইলিয়াস আলী, জাকির আহমদ, ফাহিম আহমদ, ফেরদৌস বক্স। উমরপুর ইউনিয়ন ছাত্রদলের সভাপতি আব্দুল আলিম, সাধারণ সম্পাদক মুহিবুর রহমান, যুগ্ম সম্পাদক হাসান শরিফ, তাজপুর ইউনিয়ন ছাত্রদলের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি কবির আহমদ, ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক লায়েছ আহমদ, সাংগঠনিক সম্পাদক জাহান আহমদ, গোয়ালাবাজার ইউনিয়ন ছাত্রদলের সভাপতি খালেদ আহমদ, সাধারণ সম্পাদক রাজু আহমদ, সাংগঠনিক সম্পাদক ওয়েছ আহমদ, উছমানপুর ইউনিয়ন ছাত্রদলের সভাপতি শিবলু আহমদ, সাধারণ সম্পাদক রুমেল আহমদ, সাংগঠনিক সম্পাদক মিলন আহমদ, বুরুঙ্গা ইউনিয়ন ছাত্রদলের সভাপতি ছালেহ চৌধুরী, সাধারণ সম্পাদক ফয়সল আহমদ, সাদিপুর ইউনিয়ন ছাত্রদলের সভাপতি কাজী সৈকত, সাধারণ সম্পাদক আলী আহমদ, সাংগঠনিক সম্পাদক আব্দুস সালাম, পশ্চিম পৈলনপুর ইউনিয়ন ছাত্রদলের সভাপতি ফুজায়েল আহমদ, সাধারণ সম্পাদক দিলোয়ার হোসেন বদরুল, সাংগঠনিক সম্পাদক আব্দুল হামিদ সুমন, দয়ামীর ইউনিয়ন ছাত্রদলের সাধারণ সম্পাদক সাদিক আহমদ, ওসমানীনগর উপজেলা জাসাসের সভাপতি আবু বক্কর সিদ্দেকী, সাধারণ সম্পাদক সুবাব আহমদ, উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা প্রজন্ম দলের আহবায়ক মাসুদুর রহমান মাসুদ,যুগ্ম আহবায়ক কয়েছ আহমদ, ফখরুল আহমদ, খায়রুল ইসলাম প্রমুখ।
-সময়ের সংলাপ২৪/ডি-এইচ
