সিলেটের কোম্পানীগঞ্জ থানার ওসি আব্দুল হাই, এসআই মুহিবুর ও রেলওয়ে নিরাপত্তা বাহিনীর পরিদর্শক নুর মোহাম্মদসহ ৭ জনের বিরুদ্ধে মামলা হয়েছে। সিলেট সিনিয়র স্পেশাল ট্রাইব্যুনাল ও দায়রা জজ আদালতে মামলাটি করেছেন কোম্পানীগঞ্জ উপজেলার পশ্চিম ইসলামপুর ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি মো. শামীম আহমদ।
গত সোমবার মামলাটি দায়ের করা হয়। বৃহস্পতিবার মামলাটি রেকর্ড করা হয়।
মামলার অন্যান্য আসামিরা হলেন- কোম্পানীগঞ্জের কলাবাড়ি গ্রামের নবী হোসেনের ছেলে তাজুল ইসলাম, আব্দুল মনাফ মনাইয়ের ছেলে বিল্লাল, জীবনপুর গ্রামের মৃত রাধামন সিংয়ের ছেলে কাজল সিং ও দক্ষিণ বুরদেও গ্রামের মুসার ছেলে সাদ্দাম।
দুর্নীতি দমন আইনের ৫(২) দন্ডবিধি আইনের ৪০৯/৩৮৫/৩৪ ধারাসহ পরিবেশ সংরক্ষণ আইনের (সংশোধিত-২০১০) এর ৪(২)(৩) ৬(খ) ও ১২ ধারায় মামলাটি করা হয়েছে।
সিলেটের সিনিয়র স্পেশাল জজ ড. মো. গোলাম মর্তুজা মজুমদার মামলার অভিযোগ তদন্ত করতে দুর্নীতি দমন কমিশনের সচিবকে নির্দেশ দিয়েছেন।
মামলার এজাহারে উল্লেখ করা হয়েছে, মামলার বাদী শামীম আহমদ একজন চুনাপাথর আমদানি-রফতানিকারক। তার বিভিন্ন ব্যবসা প্রতিষ্ঠান আছে। তার বাবা হাজী আব্দুল বাছির কোম্পানীগঞ্জ উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান এবং ভাই জয়নাল আবেদীন সিলেট জেলা পরিষদের প্যানেল চেয়ারম্যান।
বাদী উল্লেখ করেছেন, মামলার ১ থেকে ৩নং আসামি সরকারি কর্মকর্তা, বাকিরা এলাকার প্রভাবশালী পাথরখেকো। ওসি আব্দুল হাই, এসআই মুহিবুর ও রেলওয়ে নিরাপত্তা বাহিনীর পরিদর্শক নুর মোহাম্মদ দুর্নীতিপরায়ণ। আসামিরা সংঘবদ্ধ পাথরখেকো, দুর্নীতিবাজ ও চাঁদাবাজ। ওসি আব্দুল হাই দুর্নীতির কারণে ৪/৫ বছর চাকরিচ্যুত ছিলেন। তিনি দুর্নীতি করে শত কোটি টাকার মালিক হয়েছেন। মামলার আসামিরা দুর্নীতি ও চাঁদাবাজি করে সাধারণ মানুষকে অতিষ্ঠ করে তুলেছে বলেও উল্লেখ করে বাদী শামীম আহমদ।
মামলা দায়েরের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন আওয়ামী লীগ নেতা শামীম আহমদ।
-সময়ের সংলাপ২৪/ডি-এইচ
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন