ঢাবি ছাত্রদের রক্ত ঝরিয়ে কেউ ক্ষমতায় থাকতে পারেনি : ছাত্রদল - সময়ের সংলাপ24
DHAKA WEATHER

Post Bottom Ad

খুব শীগ্রই আমরা Somoyersonglap24.com ওয়েবসাইট নিয়ে আসছি..

ঢাবি ছাত্রদের রক্ত ঝরিয়ে কেউ ক্ষমতায় থাকতে পারেনি : ছাত্রদল

Share This

বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় লাইব্রেরির সামনে হামলার সময় ঢাবি শিক্ষক জাভেদ আহমেদের পা জড়িয়ে ধরে বাঁচার চেষ্টা করেন পরিষদের যুগ্ম আহ্বায়ক নুরুল্লাহ নূর। ফাইল ছবি
সরকারি চাকরিতে কোটা সংস্কারের দাবিতে আন্দোলনরত শিক্ষার্থীদের ওপর হামলার নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়েছে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী ছাত্রদল।

রোববার সকালে ছাত্রদলের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি মামুনুর রশিদ মামুন ও সাধারণ সম্পাদক আকরামুল হাসান এক বিবৃতিতে এ নিন্দা জানান।

বিবৃতিতে তারা বলেন, ‘কোটা সংস্কার আন্দোলনকারীদের দাবি মেনে নেয়ার আড়ালে এই অবৈধ সরকার আসলে প্রতিশোধের খেলায় মেতে উঠেছে। আর সে জন্যই আন্দোলনে যুক্ত ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) সাধারণ শিক্ষার্থীদের নানাভাবে ভয়ভীতি, হুমকি-ধমকির মাধ্যমে তাদের তটস্থ করে রেখেছে ছাত্রলীগ। শনিবার তাদের ওপর হামলা একটি উদাহরণ মাত্র।’

তারা বলেন, ইতিহাস সাক্ষী- ঢাবি ছাত্রদের রক্ত ঝরিয়ে কোনো স্বৈরশাসক ক্ষমতায় থাকতে পারেনি। তথাকথিত কোটা পদ্ধতির কথা বলে অযোগ্য ও ছাত্রলীগ দেখে নিয়োগ দেয়ার কারণে মেধাবীরা সব ক্ষেত্রে বঞ্চিত হচ্ছে। যুক্তিসঙ্গত ও নায্য দাবিতে আন্দোলনরত শিক্ষার্থীদের ওপর হামলা প্রমাণ করে এই অবৈধ সরকার এখন আর কারও উচ্চকণ্ঠ শুনতে চায় না।

বিবৃতিতে আরও বলা হয়, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্যাম্পাসে ছাত্রলীগ যেভাবে ছাত্রদের ওপর হামলা চালিয়েছে, এর দায় অবশ্যই বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনকে নিতে হবে। আমরা সাধারণ শিক্ষার্থীদের যৌক্তিক ও ন্যায়সঙ্গত দাবির সঙ্গে একমত পোষণ করছি।

অবিলম্বে হামলার সঙ্গে জড়িতদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানান তারা। আহত শিক্ষার্থীদের সুস্থতা কামনা করে তাদের সুচিকিৎসা এবং ক্ষতিপূরণ দেয়ার জোর দাবি জানানো হয় বিবৃতিতে।

উল্লেখ্য, সরকারি চাকরিতে কোটাপ্রথা বাতিলে সরকারি ঘোষণা বাস্তবায়ন না করায় শনিবার বেলা ১১টায় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় লাইব্রেরির সামনে সংবাদ সম্মেলন ডাকে কোটা আন্দোলনের প্লাটফর্ম বাংলাদেশ সাধারণ ছাত্র অধিকার সংরক্ষণ পরিষদ।

সংবাদ সম্মেলন শুরুর ঠিক আগমুহূর্তে কোটা আন্দোলনকারীদের ওপর হামলা চালায় ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা। এতে পরিষদের যুগ্ম আহ্বায়ক নুরুল্লাহ নূরসহ সাত শিক্ষার্থী আহত হন। বর্তমানে তারা ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন।

কেন্দ্রীয় গ্রন্থাগারের সামনে নুরুল্লাহ নূরকে মারধরের সময় তাকে রক্ষা করতে এগিয়ে যান ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক ড. জাভেদ আহমেদ। এ সময় হামলাকারীরা তার ওপর চড়াও হয়। এতে তার হাতের একটি আঙুল কেটে যায়। এদিকে সংস্কার আন্দোলনকারীদের ওপর হামলার প্রতিবাদে রোববার থেকে সারা দেশের সব বিশ্ববিদ্যালয়-কলেজে অনির্দিষ্টকালের জন্য ক্লাস ও পরীক্ষা বর্জন এবং অবরোধ কর্মসূচি চলছে।

-সময়ের সংলাপ২৪/ডি-এইচ