জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট দুর্নীতি মামলায় গত ৮ ফেব্রুয়ারি রাজধানীর বকশিবাজারে স্থাপিত বিশেষ জজ আদালত-৫ এর বিচারক ড. আখতারুজ্জামান বিএনপি প্রধান খালেদা জিয়াকে ৫ বছরের কারাদণ্ডের রায় দেন। এরপর তাকে পুরনো ঢাকার নাজিম উদ্দিন রোডের পুরনো কেন্দ্রীয় কারাগারে নেয়া হয়। এরপর থেকে তিনি ওই কারাগারেই আছেন।
আগামী রোববার জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট দুর্নীতি মামলায় বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার জামিন বিষয়ে আদেশ দেবেন হাইকোর্ট। আজ বৃহস্পতিবার বিচারপতি এম ইনায়েতুর রহিম ও বিচারপতি সহিদুল করিমের সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চ এ আদেশ দেন।
খালেদা জিয়ার আইনজীবী জয়নুল আবদীন আদালতে বলেন, বিচারিক আদালত থেকে নথি আসা সংক্রান্ত আদেশের ১৬ দিন পেরিয়ে গেছে। নথি এসেছে কি না আমরা জানি না। তখন আদালত বলেন, এ বিষয়ে রোববার আদেশ দেওয়া হবে।
আদালতের নির্দেশ ১১ ফেব্রুয়ারি খালেদা জিয়াকে ডিভিশন দেয়া হয়। শুরুতে খালেদা জিয়া ডিভিশন পাননি। একি সাথে তার গৃহপরিচারিকা ফাতেমা বেগমকেও রাখার নির্দেশনা দেন আদালত।
১৯ ফেব্রুযারি সোমবার বিকেলে রায়ের সত্যায়িত কপি হাতে পান খালেদা জিয়ার আইনজীবীরা। বিচারক রায়ের কপি সত্যায়ন করার পর এটি খালেদার আইনজীবীদের হাতে তুলে দেন বিশেষ জজ আদালত-৫ এর পেশকার মোকাররম হোসেন।
পরের দিন ২০ ফেব্রুয়ারি বিচারিক আদালতে খালেদা জিয়াকে দেয়া রায়ের বিরুদ্ধে আপিল করার প্রস্তুতি নিতে দ্বিতীয় দফায় সুপ্রিম কোর্ট বারের কনফারেন্স রুমে বৈঠক করেন তার আইনজীবীরা।
২২ ফেব্রুযারি খালেদা জিয়ার সাজার বিরুদ্ধে হাইকোর্টে আপিল করেন খালেদা জিয়ার আইনজীবীরা। বিচারপতি এম. ইনায়েতুর রহিম ও বিচারপতি সহিদুল করিমের সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চ আপিল গ্রহণ করে বিচারিক আদালতে খালেদা জিয়াকে করা অর্থদণ্ড স্থগিতের আদেশ দেন।
একই সঙ্গে এ মামলায় বিচারিক আদালতের সকল নথি আগামী ১৫ দিনের মধ্যে হাইকোর্টে পাঠাতে সংশ্লিষ্ট আদালতকে নির্দেশনা দেয়া হয়। এরপর জামিন আবেদন শুনানির জন্য নতুন দিন ঠিক করে দেন আদালত।
খালেদা জিয়ার করা জামিন আবেদনের ওপর ২৫ ফেব্রুয়ারি শুনানি হয়। নিম্ন আদালতের নথি আসার পরে এ বিষয়ে আদেশ দেয়া হবে বলে জানান হাইকোর্ট। ফলে খালেদা জিয়ার জামিনের অপেক্ষা দীর্ঘ হয়।
-সময়ের সংলাপ২৪/ডি-এইচ