মালেয়েশিয়া থেকে আসা মালিন্দো এয়ারে বাংলাদেশী ছেলে দিদারের নগ্ন হওয়া নিয়ে চলছে ব্যাপক আলোচনার। আর নোয়াখালীর অই ছেলের এমন আচারনের কারন জানালো ছেলেটির পরিবার থেকেই।
বাবা ফারুক আল মাহমুদ জাগো নিউজকে জানান, ২০১৬ সালে সাইবারজায়া ইউনিভার্সিটিতে ইঞ্জিনিয়ারিং পড়তে যায় দিদার। পড়াশোনার ২-৩ মাস পরই মানসিকভাবে অসুস্থ হয়ে পরে সে। আমি নিজে গিয়ে তাকে কেপিজে হাসপাতালে চিকিৎসা করাই। এরপর সে কিছুটা সুস্থ হয়। সে সুস্থ ছিল বলেই বিশ্ববিদ্যালয় তাকে রেখেছিল।
তিনি আরও বলেন, গত ১ বছর পড়াশোনার চাপে দিদার মাইন্ড ডিপ্রেশনের (মানসিক বিষণ্ণতা) শিকার হয়। এরই ফলশ্রুতিতে প্লেনে অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনাটি ঘটে। আমার সন্তান মদ্যপ ছিল না।
পারিবারিক সূত্রে জানা গেছে, তিন ভাইয়ের মধ্যে সবার বড় দিদার। ছোটবেলা থেকেই পড়াশোনায় মগ্ন থাকতো, ভালো ফলাফল করতো। এসএসসি-এইচএসসিতে গোল্ডেন জিপিএ-৫ পাওয়ায় পরিবারের সিদ্ধান্তে ইঞ্জিনিয়ারিং পড়তে কুয়ায়ালামপুরে পাঠানো হয়।
উল্লেখ্য যে, মালেয়েশিয়া থেকে ছেড়ে আসা মালিন্দো এয়ারে এসেছিলেন বাংলাদেশী যুবক দিদার। কিন্তু প্লেনে উঠেই নগ্ন হয়ে পড়েন তিনি। এরপরে ক্রুরা তাকে জামা পড়তে বললে তিনি ক্ষেপে যান তাদের উপরেও। এরপরেই তাকে আটক করে এয়ারপোর্ট পুলিশ।
-সময়ের সংলাপ২৪/ডি-এইচ