ছেলেদের জীবনের ১৭ টি গোপন কথা যা তারা কোনদিনই কোন মেয়েকে বলতে চায় না - সময়ের সংলাপ24
DHAKA WEATHER

Post Bottom Ad

খুব শীগ্রই আমরা Somoyersonglap24.com ওয়েবসাইট নিয়ে আসছি..

ছেলেদের জীবনের ১৭ টি গোপন কথা যা তারা কোনদিনই কোন মেয়েকে বলতে চায় না

Share This

এক্সক্লুসিভ ডেস্ক: ছেলেদের জীবনের ১৭ টি গোপন- প্রত্যেক যুগলের সম্পর্কই অনেক ওঠা পড়ার সাক্ষী, তাই না? প্রত্যেক ঝগড়ার পরে তৈরি হওয়া মানসিক স্থিরতা থেকে শুরু করে প্রত্যেক সম্পর্কের চড়াই উতরাই আপনার এতসব প্রাপ্য নয়, তবুও একটার পর একটা চলে আসে।

বেশিরভাগ সময়ই এর পিছনে মূল কারণ থাকে সম্পর্কে স্বচ্ছতা, যেটা যে কোন সম্পর্কের ক্ষেত্রে খুব গুরুত্বপূর্ণ। এটা বলতে যতটা সোজা করতে ঠিক ততটাই কঠিন। এটা স্বীকার করুন যে, মেয়েরা সেইসব ছেলেদেরই পচ্ছন্দ করে যাদের জীবনটা বইয়ের খোলা পাতার মত, যার জীবনের কোন কিছু গোপন নেই।

আপনারা এখানে এইরকম ১৫টি বিষয় পড়বেন যেগুলি আপনাদের প্রেমিকরা কখনো আপনাদের বলতে চায় না।

১. প্রাক্তন প্রেমিকা
অতীত দিয়েই শুরু করা যাক, একজন ছেলে এটা নিশ্চিত করতে আপ্রাণ চেষ্টা করবে যে আপনি যেন তার প্রাক্তন প্রেমিকার নাম না তোলেন বা যেন ভূলেও তার সাথে দেখা না হয়।
সে অতীতেও অনেক সম্পর্কে ছিল এবং সে চেষ্টা করবে যে অতীত সম্পর্কের ভুলগুলো যেন আর না হয়। সে তার অতীতের প্রেমিকার সব স্মৃতি দূরে সরিয়ে রাখতে চায় যাতে সেটা তার বর্তমান সম্পর্ককে কোনভাবে প্রভাবিত না করতে পারে।

২. অসুস্থতা
আপনি নিশ্চয়ই ভাবেন যে আপনার প্রেমিক যখন অসুস্থ হয়ে পড়ে তখন সেটা আপনাকে না জানিয়ে লুকিয়ে রাখে এটা তার বাড়াবাড়ি এবং বোকামি, আসলে সে আপনাকে এই সমস্যাগুলি থেকে দূরে সরিয়ে রাখতে চায় যখন আপনি এমনিতেই আপনার নিজের জীবনে অনেক প্রতিকূলতার মুখোমুখি ।

৩. মানিব্যাগ আর মোবাইল ফোন
যদি আপনি সেই সব মেয়েদের মত হন যারা প্রেমিকের অনুমতি ছাড়াই তার মানিব্যাগ বা মোবাইল ফোন ঘাঁটাঘাঁটি করেন, তাহলে সেটা এখুনি বন্ধ করুন। সে হয়ত আপনাকে কিছু বলবে না তবে এটা তার খুব অপছন্দের যে কেউ তার মানিব্যাগ বা মোবাইল নিয়ে ঘাঁটাঘাঁটি করুক।

৪. খারাপ অভ্যাস
তার কোন ব্যক্তিগত হাইজিনের ব্যাপার হোক বা ড্রাগ সম্পর্কিত কোন অভ্যাস, এগুলোকে সে কোনদিনও প্রকাশ করতে চায় না। যদিও সে আপনার সাথে সিগারেট বা হুক্কা খেতে কোন দিন অস্বীকার করবে না তবুও কোন দিন প্রথম উদ্যাগটা নিতে চাইবে না।

৫. অন্য মেয়েদের দিকে তাকানো।
এটা বলার দরকার হয় না, এটা মানুষের স্বাভাবিক প্রবৃত্তি আর বেচারা ছেলেরা এই ব্যাপারে কিছু করতে পারে না। তাই এই প্রশ্ন করার কোন দরকার নেই যে, “তুমি কি ওই মেয়েটার দিকে তাকাচ্ছিলে ?” কারণ সে আপনাকে কোন দিনই ‘হ্যাঁ’ বলবে না।

৬. বিছানার উত্তেজক কল্পনা।
মেয়েদের যৌন খিদে ছেলেদের থেকে বেশি, তবুও এটা ভাবার কোন কারণ নেই যে তারা এইসব নিয়ে কিছু চিন্তা করে না। যদিও সে আপনাকে এসব ব্যাপারে কিছু জানাবে না যে সে আপনার সাথে বিছানাতে কি কি করতে চায়।

৭. ব্লু ফিল্ম
একটা প্রধান কারণ যে সে কেন চায় না যে আপনি তার ফোনে হাত দিন, তা হল ছেলেদের একটা অভ্যাস আছে যে নিজেদের ফোনে পর্ণ সংগ্রহ করে রাখে। কিন্তু সে আপনার সামনে এটা জীবনে স্বীকার করবে না।

৮. অসন্তোষ
আপনি হয়ত এরকম অনেক কাজ করে ফেলেন যা তাদেরকে প্রচণ্ড রাগিয়ে তোলে, তাও সে আপনার সামনে শান্ত থাকার আপ্রাণ চেষ্টা করে। তার মানে এই নয় যে আপনি পুরো ছাড় পেয়ে গেছেন, অনেক সময়ই এটা পরে অসন্তোষের চেহারা নিয়ে থাকে, তাই আশা করুন এরকম যেন দিন না আসে যেদিন আপনার ওপর রাগটা মেটাবে।

৯. অতীতে বলা মিথ্যা কথা।
ছেলেরা কোন সাধু নয়, তাদেরও ভূলের তালিকাটা অনেক বড়। মেয়েদের এসব অতীতের মিথ্যা নিয়ে কোন ধারণাই থাকে না যতদিন না তারা তাদের প্রেমিকের পিছনে ডিটেক্টিভ লাগায়।

১০. মানসিক স্থায়িত্ব
তাদের মানসিক স্থায়িত্ব বলতে কিছু থাকে না, তবুও কোন দিনও ভাববেন না যে জিজ্ঞাস করা হলে তারা ‘হ্যাঁ’ বলবে। তারা সবসময় আপনার থেকে মানসিক ভরসা চায়, বাইরে থেকে যতই শক্ত মনে হোক না কেন।

১১. নিরাপত্তাহীনতা
খুব স্বাভাবিক ভাবে তারাও হীন্মান্যতায় ভোগে বিশেষ করে যখন শরীর ও যৌনক্ষমতার কথা হয়। তারা সবসময় চিন্তা করতে থাকে আপনি তার প্রতি আকৃষ্ঠ কিনা বা আপনি তার যৌনক্ষমতায় সন্তুষ্ট কিনা।

১২. আপনার ওপর অধিক নির্ভরতা।
সব মহিলারই গর্ভবোধ করা উচিত, ছেলেরা হয়ত দামি হোটেলে আপনার হয়ে বিল মেটায় বা আপনার জন্য দরজা খুলে দাঁড়ায়, কিন্তু আপনি পাশে না থাকলে সে নিজেকে অসম্পূর্ণ মনে করে।

১৩. সারা দিন ধরে গাঢ় আদর করা।
যখন অ্যাকশনের সময় আসে সে আপনাকে ওই জিনিসটা দেবে যেটা আপনি দাবি করেন, কিন্তু তার মানে এই নয় যে তারা সবসময় খুশি হয়। সেটা কিছুটা আপনাকে খুশি করার জন্য করে, কিন্তু আপনি যদি তার মনের গভীরের কথা শুনতে পান তাহলে বুঝতে পারবেন সে আপনার গাঢ় আলিঙ্গনে সারা দিন রাত কাটাতে চাইছে।

১৪. আপনার নির্ণয় কে বাধা দেওয়া।
যাই হোক, ভুলবেন না যে দিনের শেষে সে একজন সাধারণ মানুষ। তাই আপনার নির্ণয়গুলি তার ওপর জোর করে চাপিয়ে দেওয়া বন্ধ করুন (অসন্তোষের আর একটা কারণ)। সে হয়ত আপনাকে সামনাসামনি বলবে না কিন্তু মনের ভিতরে আপনার এই কর্তৃত্বপূর্ণ ব্যবহার একদমই পচ্ছন্দ করে না।

১৫. প্রতিশ্রুতি
অন্যান্য সব কারণ ছাড়াও যে কারণটা সব থেকে গুরুত্বপূর্ণ, যেটার সাহায্যে নির্ণয় করে বাকি জীবনটা সে আপনার সাথে কাটাবে কিনা, তাহল প্রতিশ্রুতি। আরও একটা ব্যাপারে সে ভয় পায়, সেটা সে বুঝতে পারে না যে আপনি দুজনকেই আর্থিক দিক থেকে সাহায্য করতে পারবেন কিনা।

আপনি নিশ্চয়ই ভাবছেন যে আপনি তো কখনও তাকে খরচা করার জন্য জোড় করেননি, কিন্তু তাও কেন? কারণ সেটা সে মনের ভিতরে ভাবে কিন্তু কখনও বাইরে প্রকাশ করে না। আপনার এই ব্যাপারে তার সাথে আলোচনা করা উচিত যদি আপনি সারা জীবন তার সাথে কাটাতে চান।

১৬. ‘সকালের বাশ’ এর রহস্য।
এই অবস্থাটার নাম নকটারনাল পেনাইল টিউমেসেনসি (এন. পি. টি), যেখানে ছেলেদের লিঙ্গ সকালবেলায় শক্ত হয়ে যায়। তারা যে যৌন কল্পনাগুলি করে তার জন্য এই রকম হয়।

আর এছাড়াও সকাল বেলা টেসটস্টেরন হরমোনের মাত্রাও বেশি থাকে। রক্ত চলাচলের ফলেও লিঙ্গ অনেক সময় শক্ত হয়ে যায়। আপনার প্রেমিকের লিঙ্গের এরকম অবস্থা যে কারণেই হোক না কেন, সে আপনাকে এই ব্যাপারে কিছু বলবে না।

১৭. আপনাকে হারানোর ভয়।
শেষে বলা যেতে পারে, সে আপনাকে কোন দিন বলবে না যে সে আপনার সাথে বাকি জীবনটা কাটাতে চায় কিনা, কিন্তু আপনার তাকে ছেড়ে চলে যাওয়ার কথা ভাবলেই, তার শিরদাঁড়ায় কাঁপুনি ধরে যায়। তাই ছেলেরা কখনও তাদের ভয়, নিরাপত্তাহীনতা এবং নির্ভরশীলতার ব্যাপারে আপনাকে কিছু বলবে না।

-সময়ের সংলাপ২৪/ডি-এইচ

কোন মন্তব্য নেই: