১০ই মুহররম ৬১ হিজরীতে মহানবি (সাঃ) এর দৌহিত্র ইমাম হুসেইনকে নির্মম ভাবে শহীদ করা হয়। তার এই আত্মত্যাগকে ধারাণ করে শিয়া সম্প্রদায় প্রতিবছর শোক মিছিল বের করে। এরই ধারাবাহিকতায় এ বছর বাংলাদেশের শিয়া সম্প্রদায় ‘জুলুছ বা তাজিয়া মিছিল’ নামের এই শোক মিছিল করবে।
আগামীকাল রবিবার (১ অক্টোবর) সকাল ৮টায় রাজধানীর পুরানা পল্টন থেকে মিছিলটি বের হয়ে মগবাজার হয়ে পুরাতন বিমানবন্দরের কারবালা এর দিকে রওনা হবে এবং ১০:৩০ মিনিটে হুসাইনি দালান থেকে মিছিল টি পৌছাবে জিগাতলার ধানমন্ডি লেকে।
প্রসঙ্গত, ২৮ই সফর ইমাম হুসাইন মদিনা থেকে কারবালার উদ্দে্শ্যে যাত্রা শুরু করেন তার সাথীদের নিয়ে এবং ২রা মুহররম তাদেরকে ফোরাদ নদীর তীরে রুখে দেয় ইয়াযিদ বাহিনী, ৭ই মুহররম থেকে বন্ধ করে দেওয়া হয় তাদের উপর পানি। ১০ই মুহররম ইমামের ৬মাসের শিশু আলি আজগারসহ শহিদ করা হয় ৭২ জনকে। জনসম্মুক্ষে আসরের সময় জবাই করা হয় নবিজির দৌহিত্রকে।
১০ মহররম সারা বিশ্বের মুসলিম উম্মাহর জন্য একটি অত্যন্ত তাৎপর্যময় দিন। পবিত্র আশুরার এ দিনে ঘটেছিলো এক শোকাবহ ঘটনা। অন্যায় আর অবিচারের বিরুদ্ধে লড়াই করতে গিয়ে মহানবী হযরত মুহম্মদ (সাঃ) এর প্রিয় দৌহিত্র হযরত ইমাম হোসেন (রাঃ) এ দিনে শাহাদাত বরণ করেছিলেন।
কারবালা প্রান্তরে সেই হৃদয় বিদারক ঘটনা আজও মানুষকে কাঁদায় এবং বেদনার্ত করে। সত্য ও ন্যায়ের জন্য তাঁর আত্মত্যাগ বাংলাদেশসহ বিশ্বের মুসলমানদের জন্য অনুকরণীয় দৃষ্টান্ত হয়ে আছে। এই ঘটনা কে স্মরন করে বের করা হয় তাজিয়া, আলি আজগারের দোলনাকে স্মরণ করে দোলনা, ইমাম হুসাইন এর পতাকা ও দুলদুল ঘোড়া (যুদ্ধে ব্যবহারকৃত ইমাম হুসাইনের ঘোড়া)।
মুলত ইমাম এর আত্মত্যাগকে স্মরন শোক পালন করে খালি পায়ে হেটে, শোকগিতি (নওহা) গেয়ে মাতাম এর মাধ্যমের পালন করে এই দিনটি।-সময়ের সংলাপ24/ডি-এইচ