পচেফস্ট্রুম টেস্টে আলোচনা-সমালোচনার জন্ম দিয়েছে টস। মুশফিকুর রহিমের টস ভাগ্য খুব একটা ভালো না হলেও এই ম্যাচে টস জিতেছিলেন বাংলাদেশ অধিনায়কই। তবে টস জিতে সবাইকে অবাক করে দিয়ে মুশফিকের সিদ্ধান্ত ছিল প্রথমে ফিল্ডিং করার।
টস পর্বেই প্রতিপক্ষ অধিনায়ক ফ্যাফ ডু প্লেসিস জানিয়েছিলেন, টস জিতলে তার দল ব্যাটিংয়েই নামত। উইকেট সম্পর্কে বিশেষজ্ঞদের বিচার-বিশ্লেষণ আর কন্ডিশনও বলছিল, এই উইকেটে টস জিতে আগে ব্যাটিংই হতো আদর্শ সিদ্ধান্ত।
মুশফিকের সিদ্ধান্ত ভুল ছিল- এমন উদাহরণ দাঁড় করিয়েছিলেন প্রোটিয়া ব্যাটসম্যানরাও, মাটি কামড়ে সাবলীলভাবে খেলে গিয়ে। তবে প্রথম দিনের খেলা শেষে সাব্বির রহমান সংবাদ সম্মেলনে দাবি করেছিলেন, টস জিতে ব্যাটিং নেওয়ায় কোনো ভুল সিদ্ধান্ত নেননি মুশফিক। সাব্বিরের দাবি সেদিন হাস্যরসের সৃষ্টি করলেও তৃতীয় দিনের খেলা শেষে একই দাবি করেছেন প্রথম ইনিংসে বাংলাদেশের সর্বোচ্চ স্কোরার মুমিনুল হক।
শনিবার সংবাদ সম্মেলনে মুমিনুলকে প্রশ্ন করা হয়, টস জিতে ফিল্ডিং নিয়ে ভালো হয়েছে কি না… এ সময় স্পেশালিষ্ট এই ব্যাটসম্যান অকপটে জানান, ‘আমার কাছে তো মনে হয় ভালোই হয়েছে!’
সাধারণত টেস্ট ম্যাচে তিনদিন খেলার পর উইকেটে টিকে থাকাটা একটু কঠিন হয় ব্যাটসম্যানদের জন্য। তবে মুমিনুলের দাবি, এখনও স্পোর্টিং উইকেট রয়েছে পচেফস্ট্রুমে। শুধু তা-ই নয়, দক্ষিণ আফ্রিকা লক্ষ্য ছুঁড়ে দিয়ে বাংলাদেশকে ব্যাট করতে পাঠালে সফরকারীরা ভালোভাবেই ব্যাট চালাতে পারবে বলে অভিমত তার।
মুমিনুল বলেন, ‘উইকেট এখনও ব্যাটিংয়ের জন্য ভালো আছে। আমরা হয়তো সারা দিন ব্যাটিং করতে পারব।’
আপাতত মুমিনুলের চিন্তা, তথা বাংলাদেশের চিন্তা ভালো বল করে দক্ষিণ আফ্রিকাকে অলআউট করা- ‘যদি কাল আমরা ভালো বোলিং করি ওদের ওদের অলআউট করা সম্ভব হবে। আপনি যদি নেতিবাচক চিন্তা করেন, ওরা ইনিংস ঘোষণা করবে তার জন্য বসে থাকবেন, তাহলে কিন্তু ব্যাকফুটে চলে যাবেন।’
প্রোটিয়ারা ভালো ব্যাটিং করার চেষ্টা করবে জানিয়ে তিনি বলেন, ‘ওরা চেষ্টা করবে ভালো ব্যাটিং করার, আমরা চেষ্টা করবো ভালো লাইন-লেংথে বোলিং করে ওদের অলআউট করার। ওরা কি সিদ্ধান্ত নিবে সেটা তো ওদের ব্যাপার। আমরা যদি ওদের তাড়াতাড়ি অলআউট করতে পারি তাহলে লক্ষ্যটা কম হবে।’-সময়ের সংলাপ24/ডি-এইচ