বিদ্যালয় সরকারি অথচ শিশু শ্রেণীতে ভর্তি হতে অভিভাবকদের গুণতে হচ্ছে প্রায় ৫ হাজার টাকা। অবিশ্বাস্য এই ঘটনাটি ঘটেছে নারায়ণগঞ্জের একটি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে। আবার বিনামূল্যে বই বিতরণে বাংলাদেশ বিশ্বে রেকর্ড করলেও এসএমসি কমিটির সহায়তায় শিক্ষার্থীদের কাছ থেকে টাকা নিচ্ছে বেশ কয়েকটি স্কুল।
নারায়ণগঞ্জের আমলাপাড়ার এই অতিরিক্ত ভর্তি ফি নেয়া শিক্ষা প্রতিষ্ঠানটির নাম আদর্শ শিশু সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়।
অভিভাবকদের কাছ থেকে প্রতি মাসে বেতন, চড়া ভর্তি ফি, এক শ্রেণী থেকে অন্য শ্রেণীতে ওঠার পর আবার ভর্তি ফিসহ আনুসঙ্গিক খরচ অনেক্ষ ক্ষেত্রে বেসরকারি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের চেয়েও বেশি। ভর্তির জন্য ৪ হাজার ৬০০ টাকা দিয়েছেন বলে কয়েকজন অভিভাবক জানান।
অতিরিক্ত অর্থ দিয়ে শিক্ষার্থীদের জন্য ডিজিটাল উপস্থিতি নির্ণয়, সাউন্ড সিস্টেম কম্পিউটার ল্যাব, প্রজেক্টরসহ শিক্ষার্থীদের প্রয়োজনেই এগুলো ব্যয় করা হয় এমন কথা বললেন শিক্ষকরা। বিদ্যালয়টির শিক্ষক নাজনীন বলেন, ভর্তির জন্য আমরা কোন কিছু নেই না।
গত কয়েক বছর ধরে শিক্ষার্থীদের কাছ থেকে নিয়মবর্হিভূত অর্থ নেওয়া হলেও প্রাথমিক শিক্ষা অফিস জানে না কিছুই। নারায়ণগঞ্জের সহকারী জেলা শিক্ষা কর্মকর্তা মোজিব আলম এ ধরনের কোন অভিযোগ পাননি বলে জানান।
একইভাবে বই বিতরণ করে শিক্ষার্থীদের কাছ থেকে অর্থ আদায়ের অভিযোগ উঠেছে জেলার কয়েকটি স্কুলের বিরুদ্ধে।
এরই মধ্যে একজন শিক্ষককে বরখাস্তও করা হয়েছে। তবে শিক্ষকরা বলছেন, রেহাই দেওয়া হয়েছে প্রকৃত অপরাধীকে।
শিক্ষা অফিস বলছে, বিনামূল্যের বই বিতরণ করে টাকা আদায়ের খবর পাওয়া গেলে সঙ্গে সঙ্গে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।