ইসলাম ধর্মশিক্ষা পড়ান হিন্দু শিক্ষিকারা - সময়ের সংলাপ24
DHAKA WEATHER

Post Bottom Ad

খুব শীগ্রই আমরা Somoyersonglap24.com ওয়েবসাইট নিয়ে আসছি..

ইসলাম ধর্মশিক্ষা পড়ান হিন্দু শিক্ষিকারা

Share This
সুনামগঞ্জের জামালগঞ্জের কালীবাড়ি সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষিকা আছেন ৪ জন। ৪ জনই ধর্মে হিন্দু। ফলে ইসলাম ধর্ম শিক্ষার ক্লাসও নিতে হয় এই হিন্দু শিক্ষিকাদের।

১৪ বছর ধরে এই বিদ্যালয়ের সব শ্রেণীতে নিয়মিত ইসলাম ধর্ম শিক্ষা পড়ান হিন্দু শিক্ষিকারা। ২০০৩ সাল থেকে এভাবেই ৪ জন হিন্দু শিক্ষিকা ইসলাম শিক্ষার বইয়ের ক্লাস নিচ্ছেন, পরীক্ষার পর খাতাও দেখছেন।

এই ৪ শিক্ষিকাই জানান, ধর্মে হিন্দু হলেও ইসলাম ধর্ম শিক্ষার বই পড়াতে গিয়ে আরবি হরফ তাদের মুখস্থ হয়ে গেছে। সুরা, কেরাত, নবী রসুলের জীবন কাহিনী, ঈমান, আমল, আকাঈদ সহ ইসলাম ধর্মের নানান বিষয়েও তারা এখন জানেন বলে জানান এই বিদ্যালয়ের শিক্ষকরা।

জানা যায়, ২০০৩ সালে প্রতিষ্ঠিত এই বিদ্যালয়ে ৪ জন হিন্দু শিক্ষক নিয়ে যাত্রা শুরু করে। ১০ বছর পরে দিকে তৎকালীন প্রধান শিক্ষিকা ঝর্না রানী সরকার মারা গেলে তাঁর স্থলাভিষিক্ত হন অনিতা রানী তালুকদার। ফলে এলাকাবাসী দাবি জানালেও মুসলমান শিক্ষক মেলেনি এই বিদ্যালয়ে।

মঙ্গলবার দুপুর ১ টায় সরেজমিনে জামালগঞ্জ সদর ইউনিয়নের কালীবাড়ি সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয় গিয়ে দেখা যায়, মেকলী রায় নামে এক শিক্ষিকা ৫ম শ্রেণির ছাত্রছাত্রীদের ইসলাম ধর্মের ক্লাস নিচ্ছেন। এই শ্রেণীর ছাত্রী আবু সাঈদ, সুবনা বেগম, চাঁদনী আক্তার বলে, মেকলী ম্যাডাম আমাদের ভালোভাবে বুঝিয়ে ইসলাম ধর্ম শিক্ষা বই পড়ান।

৪র্থ শ্রেণি পড়ুয়া রীনা বেগম বলে, আমরার ধর্মের ক্লাস নেন পার্বতী ম্যাডাম।

কালীবাড়ি সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ে হিন্দু ছাত্র মাত্র একজন। বাকী সকলেই ধর্মে মুসলমান। তাই এই বিদ্যালয়ে ইসলাম ধর্মের একজন শিক্ষক নিয়োগের দাবি জানিয়েছেন এলাকাবাসী।

কালীবাড়ি সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষিকা মেকলী রায় বলেন, আমার ইসলাম ধর্ম পড়াতে পড়াতে অভ্যস্ত হয়ে গেছি। এখন আর সমস্যা হয় না। ইসলাম ধর্মের অনেক কিছুই আমার মুখস্থ হয়ে গেছে।

কালীবাড়ি সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ম্যানেজিং কমিটির সদস্য আব্দুল করিম জানান, একজন মুসলমান শিক্ষকের জন্য আমরা লিখিত আবেদন করেছি। কিন্তু কোনো কাজ হচ্ছে না।

তবে কালী বাড়ী সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষিকা অনিতা রানী তালুকদার জানান, জামালগঞ্জ সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়সহ এই উপজেলারই অনেক বিদ্যালয়ের সব শিক্ষকই মুসলমান। তাঁরাও তো হিন্দু শিক্ষার্থীদের হিন্দু ধর্মের বই পড়াচ্ছেন। শিশুদের পড়ানোর ক্ষেত্রে ধর্ম কোনো সমস্যা নয় বলে মন্তব্য করেন তিনি।

জামালগঞ্জ উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা মো: নুরুল আলম ভুঁইয়া জানান, শিক্ষকদের বদলীতে একটু জটিলতা আছে তার পরও আগামী শিক্ষা সভায় বিষয়টি গুরুত্ব সহকারে দেখে পদক্ষেপ নেওয়া হবে।

কোন মন্তব্য নেই: