এক প্রতিবেদনে সংবাদসংস্থা রয়টার্স জানিয়েছে, ইন্টারনেট প্রতিষ্ঠানগুলো যে কর্তৃপক্ষ, পুলিশ এবং ওয়েবকে সহযোগিতা করছে সে বিষয়টি এড়াতে, কাজগুলো নিরবেই করা হচ্ছে।
শুক্রবার ফেইসবুক ইনকর্পোরেট জানিয়েছে, নিজেদের সাইট থেকে তারা একটি প্রোফাইল মুছে দিয়েছেন, কারণ তাদের ধারণা প্রোফাইলটি স্যান বার্নাডিনো ঘাতক তাশফিন মালিক-এর।
এর ঠিক এক দিন আগেই ফ্রান্সের প্রধানমন্ত্রী এবং ইউরোপিয়ান কমিশনের কর্মকর্তারা ফেইসবুক, গুগল, টুইটার ইনকর্পোরেট এবং অন্যান্য প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে আলাদাভাবে দেখা করেছেন। সেসময় তারা প্রতিষ্ঠানগুলোকে দ্রুত ব্যবস্থা নেওয়ার অনুরোধ জানিয়েছেন বলেই জানিয়েছে রয়টার্স।
রয়টার্স জানিয়েছে, ইন্টারনেট প্রতিষ্ঠানগুলো নিজেদের নীতিমালায় জানিয়ে থাকে, তাদের সেবার শর্তাবলী ভঙ্গ করছে এমন কনটেন্টগুলো তারা ব্যান করে থাকেন এবং এ ধরনের কনটেন্টের ব্যাপারে আদালতের নোটিশের মাধ্যমেও তাদের কাছে অভিযোগ আসতে পারে অথবা কোনো ব্যক্তি সেবার অভিযোগ প্রক্রিয়ার মাধ্যমে তাদের কাছে অভিযোগ জানাতে পারেন।
কিন্তু আসল বিষয়টি আরও জটিল বলেই জানিয়েছেন একজন সাবেক প্রযুক্তি প্রতিষ্ঠান কর্মকর্তা। ওই সাবেক কর্মকর্তার ভাষ্যে, পশ্চিমা আইন প্রয়োগকারী সংস্থাগুলোর সঙ্গে প্রযুক্তি প্রতিষ্ঠানগুলো যেভাবে কাজ করে থাকে, সে বিষয়টি নিয়ে সবসময় টুইটার, ফেইসবুক এবং গুগলের মতো প্রতিষ্ঠানগুলো চিন্তিত থাকে। কারণ বিষয়টি প্রকাশিত হয়ে গেলে, পৃথিবীর বিভিন্ন দেশ থেকে অনুরোধ আসা শুরু হবে।
এ ছাড়াও তারা নিজেদের সেবা ঠিক কোন প্রক্রিয়ায় পরিচালনা করে থাকে, সে বিষয়টি নিয়েও চিন্তিত থাকে বলেই জানিয়েছেন সাবেক ওই প্রযুক্তি প্রতিষ্ঠান কর্মকর্তা। কারণ নিজেদের সেবা পরিচালনা প্রক্রিয়া ফাঁস হয়ে গেলে, কীভাবে ওই পরিচালনা প্রক্রিয়ার চোখে ধুলা দেওয়া সম্ভব হবে তা বের করে ফেলতে পারবেন উগ্রপন্থীরা।
অন্যদিকে ফেইসবুক, গুগল এবং টুইটার জানিয়েছে, তারা সরকারি অভিযোগ এবং নাগরিকদের অভিযোগ আলাদাভাবে বিবেচনা করেন না। শুধু সরকার আদালতের আদেশ নিয়ে এলে তা আলাদাভাবে বিবেচনা করা হয়ে থাকে।
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন