পরিবার বলতে একমাত্র ভাই। তার সঙ্গেই দিনআনা, দিনখাওয়া চলত গোবিন্দ রাজুর। ভাই কেম্পু রাজুকে সঙ্গে নিয়েই ভারতের তামিলনাড়ু থেকে নেল্লোর চলে আসেন। সেই ভাই যখন মারা যান, সৎকারের জন্য সাহায্য চেয়েছিলেন তিনি। জোটেনি। কিন্তু পরিস্থিতির কাছে হার মানতে চাননি ওই বৃদ্ধ। একলা চলার সিদ্ধান্ত নেন। সাইকেলে করেই ভাইয়ের দেহ সৎকার করতে নিয়ে যান একাই।
নেল্লোরে আসার পর থেকে কম্বল বিক্রি করে, একটি ভাড়ার বাড়িতে থেকে কোনোক্রমে দিন কাটত দুই ভাইয়ের। হঠাৎ করেই অসুস্থ হয়ে পড়েন কেম্পু রাজু। তাকে হাসপাতালে ভর্তি করলেও বাঁচানো সম্ভব হয়নি। ভাইয়ের মৃতদেহ ভাড়ার বাড়িতে নিয়ে আসতে চান গোবিন্দ। কিন্তু, বাধ সাধেন বাড়ির মালিক। অনুমতি দেননি। বাধ্য হয়ে এক বাসস্ট্যান্ডেই ভাইয়ের মৃতদেহ নিয়ে আশ্রয় নেন। অসহায় অবস্থায় আশা এটুকুই ছিল, কেউ এগিয়ে এসে কবরস্থান পর্যন্ত দেহ নিয়ে যেতে সাহায্য করবে। কিন্তু, সে আশাও পূরণ হয়নি। এগিয়ে আসেনি কেউ।
ঘণ্টার পর ঘণ্টা অপেক্ষার পরও ন্যূনতম সাহায্য না পেয়ে ভাইয়ের মৃতদেহ সঙ্গে নিয়ে নিজেই রওনা দেন গোবিন্দ। সঙ্গী সাইকেল। তাতে করে কোনোরকমে ভাইয়ের মৃতদেহ বয়ে কবরস্থানে নিয়ে গিয়ে কবর দেন।