নিজস্ব প্রতিবেদক : পরাজয় নিশ্চিত জেনে পাকিস্তানি বাহিনী তাদের দোসরদের সহায়তায় এ দেশের যে মেধাবী সন্তানদের হত্যা করেছিল, সেই শহীদ বুদ্ধিজীবীদের শ্রদ্ধার সঙ্গে স্মরণ করছে দেশবাসী।
সোমবার সকালে মিরপুরে বুদ্ধিজীবী স্মৃতিসৌধে ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা নিবেদন করেন রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। শহীদ বুদ্ধীজীবীদের প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়ে রাষ্ট্রপতি ও প্রধানমন্ত্রী এক মিনিট নীরবতা পালন এবং তাদের আত্মার মাগফিরাত কামনা করেন।
এরপর শ্রদ্ধা জানান জাতীয় সংসদের স্পিকার শিরীন শারমিন চৌধুরী, ডেপুটি স্পিকার ফজলে রাব্বী মিয়া। পরে সর্বসাধারণের শ্রদ্ধা নিবেদনের জন্য বুদ্ধিজীবী স্মৃতিসৌধের দ্বার উন্মুক্ত করে দেওয়া হয়। স্মৃতিসৌধের শহীদ বেদি বিভিন্ন রাজনৈতিক দল, সামাজিক ও সাংস্কৃতিক সংগঠন এবং সর্বস্তরের মানুষের ফুলে ফুলে ভরে উঠতে থাকে। কুয়াশাচ্ছন্ন সকালে লাল-সবুজের পতাকা ও বাহারি সব ফুল হাতে জাতি শ্রদ্ধাভরে স্মরণ করে শ্রেষ্ঠ সন্তানদের।
দিবসটি উপলক্ষে বিভিন্ন সংগঠন ও প্রতিষ্ঠান নানা রকম কর্মসূচি পালন করছে। তার মধ্যে রয়েছে কালো ব্যাজ ধারণ, কালো পতাকা উত্তোলন, স্মৃতিসৌধে পুষ্পস্তবক অর্পণ, দোয়া মাহফিল ও আলোচনা সভা।
১৯৭১ সালের ১৪ ডিসেম্বর পাকিস্তানি হানাদার বাহিনী পরিকল্পিতভাবে বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক, চিকিৎসক, শিল্পী, লেখক, সাংবাদিকসহ বহু খ্যাতিমান বাঙালিকে হত্যা করে। এই হত্যাকাণ্ডে প্রত্যক্ষ সহযোগিতা করে রাজাকার, আলবদর ও আলশামস বাহিনীর সদস্যরা।