প্রাণঘাতী করোনাভাইরাসের সতর্কতা জারির পর ঘরবন্দি সবাই। এমন অবস্থায় গত দুইদিন ধরে চুলায় ভাতের হাড়ি চড়েনি কুড়িগ্রামের নাগেশ্বরী উপজেলার ভিতরবন্দ ইউনিয়নের ঝাকুয়াবাড়ী গ্রামের মৃত: ফরমান আলীর স্ত্রী আমিনা বেগমের।
এদিকে আমিনা বেগমের বাড়ি গিয়ে দেখা গেছে, সামান্য একটু জমিতে পুরনো টিনের তৈরি একটি কুঁড়ে ঘর থেকে বের হচ্ছে একজন মধ্যবয়সী নারী আমিনা বেগম। চোখে মুখে প্রচন্ড ক্ষুধার ছাপ। নড়বড়ে কুঁড়ে ঘরটি নড়ছে হালকা বাতাসে। একটু ঝড় এলে মনে হয় ভেঙে পড়বে। ঘরে থাকে মেয়ে আর বারান্দায় ঘুমায় অসহায় আমিনা বেগম। ঘরের সাথেই রান্নার স্থান, চুলো আছে, হাড়ি পাতিল সবই আছে। কিন্তু হাড়িতে ভাত রান্নার চাল নেই।
এ সময় অসহায় আমিনা বেগম বলেন, ‘আজ কদিন ধরে বাড়িতে অবস্থান করছি এখনও কেউ এসে কোন সাহায্য বা খাদ্যসামগ্রী আমার ঘরে পৌছে দেয়নি, ক্ষুধার জ্বালা আর সহ্য করতে পারছি না।’
আমিনা বেগম বলেন, ।আমার এক মেয়ে মাদ্রাসায় থাকে। লেখাপড়া করে। সামান্য একটু জায়গায় পুরনো টিন দিয়ে কোন রকম ঘর করে বসবাস করছি। করোনা নামের নাকি রোগ দেশে আসছে। সরকার আর মেম্বার চেয়ারম্যানরা বার বার মাইকে বলছে ঘর থেকে বাহির হওয়া নিষেধ। খাবার বাড়ি বাড়ি পৌছে দিবে। কয়েকদিন যাবত ঘর বন্দি আছি কেউ তো এখনও কোন খাদ্যসামগ্রী এনে দিলো না।
এ সময় তিনি আরও জানান, গত দু’দিন ধরে ঘরে কোন খাবার নাই। রান্না করতে পারছি না তাই একপ্রকার অনাহারে আছি।
এ ব্যাপারে এলাকাবাসী নুর আমিন জানান, আমাদের গ্রামে এই পরিবারটি সবচেয়ে অসহায়। এখন তাদের কোন কাজকাম নেই এবং এখন পর্যন্ত কোন অনুদান পাইনি তারা।
এ ব্যাপরে কথা বলার জন্য স্থানীয় ইউপি সদস্যর সাথে মুঠোফোনে বারবার যোগাযোগের চেষ্টা করেও তাকে পাওয়া যায়নি। -বিডি২৪রিপোর্ট
-সময়ের সংলাপ২৪/ডি-এইচ
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন