করোনাভাইরাসের কারণে সৃষ্টি পরিস্থিতিতে সিলেটের হাটবাজারগুলোতে কমে গেছে মাছের ক্রেতা। এছাড়া সিলেট জেলা লকডাউন নীতিমালার আওতায় থাকায় বিভিন্ন স্থানে যাতায়াত করতে পারছে না মাছবাহী গাড়ি। সিলেটের রেস্টুরেন্টগুলোতেও যেতো বিপুল পরিমাণে মাছ, করোনার কারণে রেস্টুরেন্ট বন্ধ থাকায় তাও হচ্ছে না এখন। এ অবস্থায় কাজিরবাজারসহ সিলেটের মাছের আড়তগুলোতে পঁচতে শুরু করেছে মাছ।
জানা গেছে, এভাবেই পঁচে যাওয়া কাজিরবাজার আড়তের প্রায় ১০ মণ মাছ গতকাল মঙ্গলবার সুরমা নদীতে ফেলে দিয়েছেন বিক্রেতারা।
সিলেটের বৃহৎ এই আড়তের মাছ ব্যবসায়ীদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, করোনা পরিস্থিতি সৃষ্টি হওয়ার পর থেকে কমে গেছে ক্রেতা। তার উপর এখন লকডাউনে কারণে গাড়িও চলাচল করছে কম। এই অবস্থায় জিইয়ে রাখা অবিক্রিত সব মাছ আড়তেই পঁচে যাচ্ছে। এরকমই পঁচে যাওয়া প্রায় ১০ মণ মাছ মঙ্গলবার সুরমা নদীতে ফেলে দিতে হয়েছে।
ব্যবসায়ীরা বলেন, গাড়ি চলাচল বন্ধ হওয়ায় কাজিরবাজার মাছের আড়ৎ প্রায় ক্রেতাশূন্য। যে কারণে মাছ পঁচতে শুরু করেছে। আর পঁচে যাওয়া মাছের মধ্যে বেশিরভাগই তেলাপিয়া। এগুলো নদীতে ফেলে দেওয়া ছাড়া আর পথ নেই।
তবে পঁচে যাওয়া মাছ নদীতে ফেলে না দিয়ে মাটিতে পুঁতে ফেললে পরিবেশ, নদীর পানি ও বাতাস দূষিত হবে না বলে মন্তব্য করছেন সংশ্লিষ্ট সচেতন ব্যক্তি ও মহল।
-সময়ের সংলাপ২৪/ডি-এইচ
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন