গোপালগঞ্জের মুকসুদপুরে মসজিদে নামাজ পড়া নিয়ে দুইপক্ষের সংঘর্ষে এক যুবক নিহত হয়েছেন; আহত হয়েছেন অন্তত ২০ জন।
মুকসুদপুর থানার ওসি মীর মো. সাজেদুর রহমান জানান, সোমবার সকাল পৌনে ৭টার দিকে বাটিকামারী ইউনিয়নের বাহাড়া পশ্চিমপাড়া গ্রামে এ সংঘর্ষ হয়।
নিহত সুজন শেখ (২৬) বাহাড়া পশ্চিমপাড়া গ্রামের মজিবর শেখের ছেলে।
আহতদের মধ্যে পাঁচ জনকে মুকসুদপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স ও একজনকে ফরিদপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। অন্যরা স্থানীয়ভাবে প্রাথমিক চিকিৎসা নিয়েছেন।
বিশ্বব্যাপী করোনাভাইরাস সংক্রমণের মধ্যে ঝুঁকি এড়াতে আমাদের দেশে মসজিতে সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখতে পাঁচজন করে নামাজ পড়ার নির্দেশনা দিয়েছে সরকার।
কাশিয়ানী ও মুকসুদপুর সার্কেলের এএসপি আনোয়ার হোসেন ভূইয়া বলেন, মসজিদে পাঁচ জনের বেশি নামাজ পড়া যাবে না বলে গ্রামের বিবদমান দুটি পক্ষের মধ্যে রোববার রাতে এশার নামাজের সময় তর্কবিতর্ক হয়।
“এর জেরে সোমবার সকালে ফজরের নামাজের পর দুপক্ষের লোকজন সংঘর্ষে লিপ্ত হয়। এতে একজন নিহত হয়েছে। আমরা লাশ উদ্ধার করে গোপালগঞ্জ মর্গে পাঠিয়েছি। মামলা দায়েরের প্রস্তুতি চলছে।”
এ ঘটনায় জড়িতদের গ্রেপ্তারে পুলিশ অভিযান শুরু করেছে বলেও তিনি জানান।
স্থানীয়দের ঋদ্ধৃতি দিয়ে মুকসুদপুর থানার ওসি মীর মো. সাজেদুর রহমান বলেন, বাহাড়া পশ্চিমপাড়া গ্রামের আধিপত্য নিয়ে কেরামত মুন্সির সাথে ইলিয়াস মাতুব্বরের বিরোধ চলে আসছিল। সম্প্রতি একটি বিরোধপূর্ণ জায়গায় কেরামত মুন্সির লোকজন ঘর তোলে। এতে ইলিয়াসের লোকজন বাধা দেয়। এনিয়ে তাদের বিরোধ চরমে ওঠে।
ওসি জানান, রোববার রাতে এশার নামাজে গ্রামের মসজিদে প্রচুর লোকের সমাগম ঘটে। কেরামত মুন্সির সমর্থক নিহত সুজনের বাবা মজিবর শেখ মসজিদের মধ্যে পাঁচ জনের বেশি নামাজ পড়া যাবে না বলে প্রতিপক্ষ ইলিয়াসের লোকজনের সাথে বিতর্কে জড়িয়ে পড়েন।
এ ঘটনাকে কেন্দ্র করে সোমবার ফজরের নামাজের পর দুপক্ষ সংঘর্ষে লিপ্ত হলে সুজন ঘটনাস্থলেই নিহত হন বলে ওসি জানান।
তিনি জানান, এখন এলাকার পরিস্থিতি শান্ত রয়েছে। অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে।
-সময়ের সংলাপ২৪/ডি-এইচ
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন