জনপ্রিয় মেসেজিং অ্যাপ হোয়াটসঅ্যাপ। বাংলাদেশে এটি খুব বেশি জনপ্রিয় না হলেও প্রতিবেশি দেশ ভারতে জনপ্রিয়। গ্রুপ চ্যাট, ভিডিও কল, গ্রুপ কলিং ফিচারের জন্য অ্যাপটি অনেকেই ব্যবহার করেন। এতে কিছুর পরও অ্যাপটি ব্যবহারের ক্ষেত্রে কিছু সতকর্তা অবলম্বন করা উচিত। এতে করে আপনার ব্যক্তিগত নিরাপত্তা নিশ্চিত হবে। নইলে আপনি সামাজিক-রাষ্ট্রীয়ভাবে হেয় হবেন। জেনে নিন হোয়াটসঅ্যাপে যে ১০টি কাজ কখনোই করা যাবে না।
০১. গণহারে হোয়াটসঅ্যাপ ইনভাইটেশন পাঠানো যাবে না
হোয়াটসঅ্যাপে যারা নতুন তারা অ্যাপটি ডাউনলোড ও ইনস্টল করে প্রথমেই এই ভুলটা করে। সেটি হচ্ছে ফোনের কন্ট্রাক্টলিস্টে থাকা নম্বরে হোয়াটসঅ্যাপ ব্যবহারের ইনভাইটেশন পাঠায়। কিন্তু এই কাজটা করা যাবে না। এতে করে আপনার ফোন বুকের আত্মীয়-স্বজন, বন্ধু-বান্ধব, সহকর্মীরা বিরক্ত হবেন।
০২. সবাইকে হোয়াটসঅ্যাপে যুক্ত অনুচিত
ফেসবুকে যেমন আপনি সবার ফ্রেন্ড রিকোয়েস্ট অ্যাকসেপ্ট করেন না, তেমনি হোয়াটসঅ্যাপেও সবাইকে যুক্ত করবেন না। যাকে প্রয়োজন তাকেই কেবল কন্ট্রাক্ট লিখে রাখুন। অপ্রয়োজনীয় বিরক্তকর ব্যবহারকারীকে প্রয়োজনে ব্লক করে রাখুন।
০৩. প্রোফাইল ফটো সুরক্ষিত রাখুন
অন্যান্য সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমের মতোই হোয়াটসঅ্যাপেও প্রোফাইল ফটো রাখা যায়। এই প্রোফাইল ফটো নির্বাচনের ক্ষেত্রে কৌশলী হোন। আপনার ব্যক্তিগত ও পারিবারিক তথ্য প্রকাশ পায় এমন ছবি প্রোফাইলে রাখবেন না।
০৪. টু স্টেপ ভেরিফিকেশন
হোয়াটসঅ্যাপ অ্যাকাউন্টও হ্যাক হওয়ার ঝুঁকি রয়েছে। তাই অ্যাকাউন্ট ঝুঁকিমুক্ত রাখতে টু স্টেপ ভেরিফিকেশন চালু রাখুন। এতে করে হোয়াটসঅ্যাপ অ্যাকাউন্ট লগ ইন করার সঙ্গে সঙ্গে আপনার মোবাইল ফোনে পিন আসবে। সেই পিন দিলেই লগ ইন হবে। অ্যাকাউন্টের সুরক্ষার ব্যাপারে কোনো ঘাটতি রাখা যাবে না।
০৫. স্টাটাস আপডেট সুরক্ষিত রাখুন
ফেসবুকের মতোই আপনার স্টাটাস আপডেট কারা করা দেখতে পাবে, করা দেখতে পাবে না সেটা নির্ধারণ করে দেয়া যায়। তাই স্টাটাস আপডেট যেনো কেবলমাত্র বন্ধুরাই দেখতে পায় সেটা নিশ্চিত করুন। স্টাটাস আপডেট কখনোই পাবলিক করবেন না।
০৬. হোয়াটসঅ্যাপ গ্রুপে সবাইকে অন্তর্ভুক্ত না করা
হোয়াটসঅ্যাপের গ্রুপে সবাইকে অন্তর্ভুক্ত না করাই ভালো। আপনার যাকে যাকে প্রয়োজন তাকে গ্রুপে যুক্ত করুন। একই ভাবে অন্যরাও যেনো গণহারে আপনাকে তাদের গ্রুপে যুক্ত না করতে পারে সেজন্য নিরাপত্তা সেটিংস পরিবর্তন করুন।
০৭. হোয়াসটঅ্যাপে মিডিয়া ফাইল যেনো আপলোড না হয়
আপনার অজান্তেই অনেক সময় হোয়াটসঅ্যাপে আপনার ফোনের মিডিয়া থেকে ছবি, অডিও, ভিডিও হোয়াটসঅ্যাপে আপলোড হয়ে যেতে পারে। এজন্য এই ব্যবস্থাটির উপর মনোযোগ দিন। বন্ধ রাখুন স্বয়ংক্রিয় আপলোডিং সিস্টেম।
০৮. অটো চ্যাট ব্যাকআপ বন্ধ করুন
হোয়াটসঅ্যাপ স্বয়ংক্রিয়ভাবে আপনার পুরনো সব চ্যাট গুগল ড্রাইভে কিংবা আইক্লাউডে ব্যাকআপ রাখে। এতে ফোনের গতি যেমন স্লো হয়ে যায় তেমনি ড্রাইভের জায়গায় শেষ হয়ে যায়। তাই এই অপশনটি বন্ধ করে রাখুন।
০৯. আপত্তিকর ভিডিও বন্ধ করুন
অনেক সময় হোয়াটসঅ্যাপের মেসেজে বন্ধুরা পর্ন ক্লিপ পাঠায়। এসব ক্লিপে কখনোই ক্লিক করবেন না। নিজেও এই ধরনের ক্লিপ কাউকে সেন্ড করবেন না।
১০. গুজব ছড়াবেন না
গুজব ছড়ানো দন্ডনীয় অপরাধ। তাই ফেসবুকের মতোই হোয়াটসঅ্যাপেও মিথ্যা, গুজব কিংবা অন্যকে হেয় করে এমন বার্তা, স্টাটাস আপডেট করবেন না।
১১. ফেক আইডি চালাবেন না
অনেকেই অন্যের নামে, কিংবা বেনামে হোয়াটসঅ্যাপ ব্যবহার করে। এই কাজটা থেকে বিরত থাকুন। এটা যেমন বেআইনী তেমনি অন্যদের সঙ্গে প্রতারণার শামীলও।
-সময়ের সংলাপ২৪/ডি-এইচ
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন