দেশের বিভিন্ন স্থানে শিলা বৃষ্টি হয়েছে, যা দেখতে অনেকটা করোনার মতো। রাত থেকে থেমে থেমে হয় এই বৃষ্টি। ব্যাপক শিলা বৃষ্টিতে মাটিতে যেন বরফের এক স্তর জমে যায়।
এদিকে, রাজধানীতে শনিবার (১১ এপ্রিল) সন্ধ্যায় কয়েক মিনিটের ঝড়োতাণ্ডবে রাস্তাঘাট একেবারে জনশূন্য হয়ে পড়ে। স্বল্প সময়ের ঝড়োবাতাসে যারা বাইরে ছিলেন তারা রীতিমতো দৌড়াদৌড়ি করে নিরাপদ আশ্রয়ের পানে ছুটতে থাকেন।
এ প্রতিবেদক সন্ধ্যার পর রাজধানীর বিভিন্ন এলাকা সরেজমিনে দেখতে পান, বিভিন্ন সড়কে পুলিশ ও সেনাসদস্যরা টহল দিচ্ছেন। তারা রিকশা, মোটরসাইকেল কিংবা প্রাইভেটগাড়িতে যারা আসছিলেন তাদের রীতিমতো জেরা করে তবেই যাওয়ার অনুমতি দিচ্ছিলেন।
সন্তোষজনক জবাব না পেলে অনেককে রাস্তার পাশে দাঁড় করিয়ে রাখছিলেন। রিকশাচালকসহ বেশ কয়েকজনকে নিষেধাজ্ঞা থাকা সত্ত্বেও কেন বাইরে বের হয়েছেন সে কারণে যানবাহনসহ তাদের সকলকে টহলগাড়ির পাশে দাঁড়া করিয়ে রাখেন।
গতকাল সন্ধ্যা ৭টার দিকে হঠাৎ করে প্রচণ্ড ঝড়োহাওয়া শুরু হয়। বাতাসে রাস্তায় ধুলোবালি উড়তে থাকে। গাছের পাতা শো শো শব্দে নড়তে থাকে। এ সময় ভীতিকর এক পরিবেশের সৃষ্টি হয়।
ফার্মেসিসহ জরুরি যেসব দোকানপাট খোলা ছিল সেগুলো দ্রুত বন্ধ হতে দেখা যায়। যারা প্রয়োজনে কিংবা নানা অজুহাতে বের হয়েছিলেন তারা বাড়ির দিকে ছুটতে থাকেন।
কিছুক্ষণ পর নামে বৃষ্টি। খুব বেশি সময় না হলেও ঝড়োহাওয়া ও বৃষ্টিতে রাজধানীর রাস্তাঘাট একেবারেই ফাঁকা হয়ে যায়। এক দফা ঝড়-বৃষ্টি থেমে আবার রাত পৌনে ৯টার দিকে ঝড়-বৃষ্টি শুরু হয়।
শুক্রবারই আবহাওয়া অধিদপ্তর জানিয়েছিল রংপুর, রাজশাহী, খুলনা ও ময়মনসিংহ বিভাগের কোথাও কোথাও বিক্ষিপ্তভাবে শিলাবৃষ্টি হতে পারে। -গোনিউজ২৪
-সময়ের সংলাপ২৪/ডি-এইচ