এবার সিলেটের পাড়া-মহল্লায় সেনাবাহিনীর টহল - সময়ের সংলাপ24
DHAKA WEATHER

Post Bottom Ad

খুব শীগ্রই আমরা Somoyersonglap24.com ওয়েবসাইট নিয়ে আসছি..

এবার সিলেটের পাড়া-মহল্লায় সেনাবাহিনীর টহল

Share This
করোনা ভাইরাস সংক্রমণ ঠেকাতে সিলেট নগরীর সড়ক ও অলি-গলিতে টহল শুরু করেছে সেনাবাহিনীর সদস্যরা। মূলত জেলা প্রশাসনকে সহায়তা দিতেই তারা নগরীর অলি-গলিতে টহল দিচ্ছেন। করোনাভাইরাসের সংক্রমণে ঠেকাতে দেশজুড়ে নানা ধরণের কার্যক্রম পরিচালনা করছে সরকার। এরই অংশ হিসেবে ‘হোম কোয়ারেন্টাইন’ এবং ‘সামাজিক দূরত্ব’ নিশ্চিত করতে কঠোর অবস্থানে যাওয়ার ঘোষণার পর বৃহস্পতিবার থেকে জুড়ে তৎপরতা বেড়েছে সেনাবাহিনীর সদস্যদের। শনিবার সিলেট নগরীর প্রতিটি প্রধান সড়ক পেরিয়ে, পাড়া-মহল্লার গলিতেও সেনা সদস্যদের বাড়তি তৎপরতা লক্ষ্য করা গেছে।

সরেজমিনে দেখা গেছে, শনিবার সকাল থেকেই সেনা বাহিনীর কঠোর অবস্থানের ঘোষণাতেই সড়কে জনসাধারণের চলাচল অনেকটা সীমিত হয়ে পড়ে। এর মধ্যেও বিভিন্ন প্রয়োজনে যারাই বাইরে বের হয়েছেন তাদের প্রায় সবাইকে সেনাবাহিনীসহ অন্য আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর জিজ্ঞাসাবাদের মুখোমুখি হতে হয়েছে। বিভিন্ন স্থানে মাইকিং করে জনগণকে ঘরে থাকাসহ করোনা প্রতিরোধে নানা পরামর্শ প্রদান করেন।

এদিকে বিকেলে নগরীর মাছিমপুর, জিন্দাবাজার, আম্বরখানা পয়েন্ট, খাসদবির, চৌকিদিকি এলাকার প্রতিটি পাড়া-মহল্লায় করোনাভাইরাসের সংক্রমণে ঠেকাতে মেজর কামরুল ও মেজর আহমদ নেতৃত্বে টহল অব্যাহত রয়েছে। তাছাড়া কার, সিএনজি, মোটরসাইকেল, রিকশাসহ  সড়কে চলাচলকারী বিভিন্ন যানবাহন ও পথচারীদের সচেতন থাকার পরামর্শ দেন। সেই সাথে যাদের মাস্ক যাদের তাদেরকে সেনা সদস্যরা মাস্ক দিচ্ছেন। যারা জরুরী প্রয়োজন ছাড়া বেড়িয়েছেন তাদরকে বলা হয়েছে জরুরী প্রয়োজন ঘরের বাহিরে না যেতে। পাড়া-মহল্লার মোড়ে আড্ডা দেওয়া লোকদের সচেতন করে ঘরে থাকার আহ্বান জানান সেনা সদ্যসরা ।

গত কয়েকদিন ধরে সড়কে আশঙ্কাজনক ভাবে যান চলাচল বেড়ে গেলেও গত বৃহস্পতিবার থেকে সেই সংখ্যা আবার কমে এসেছে। যেসব ব্যক্তিগত যানবাহনগুলো বের হয়েছে, তাদের প্রায় সবকটিকে আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যদের তল্লাশিচৌকির মধ্য দিয়ে যেতে হয়েছে। উপযুক্ত কারণ দেখাতে পারলে যানবাহনগুলো ছেড়ে দেওয়া হয়েছে, অন্যথায় প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিয়েছেন সংশ্লিষ্টরা। পাড়া-মহল্লায় প্রয়োজনীয় দোকানের বাইরে যেসব দোকান-পাট খোলা ছিল, সে সব দোকানে সেনা সদস্যরা গিয়ে বন্ধ করে দিতে দেখা গেছে। সেনাবাহিনীকে কঠোর হতে হয়, এমন কোনো কর্মকান্ড না করতে সবার প্রতি আহ্বান জানানো হয়েছে। এদিকে, স্বাভাবিক নিয়মেই সড়কে পুলিশ ও র‌্যাব সদস্যদের দায়িত্বপালন করতে দেখা গেছে।

-সময়ের সংলাপ২৪/ডি-এইচ

কোন মন্তব্য নেই: