বীরাঙ্গানা রওশন আরা’র খবর রাখে না কেউ! অর্থাভাবে ধুকে ধুকে মরতে বসেছেন। বয়সের ভারে নুয়ে পড়েছেন তিনি। বিভিন্ন রোগ তার শরীরে বাসা বেধেঁছে। টাকার অভাবে ভাল কোন ডাক্তার পযর্ন্ত দেখাতে পারছেন না বীরাঙ্গানা রওশন আরা।
জানা গেছে, গোপালগঞ্জ জেলার কাশিয়ানী উপজেলার মহেশপুর ইউনিয়নের পশ্চিম মাঝিগাতি গ্রামের মৃত মো. মাঝেত মিয়া ছিলেন পেশায় ঘাটের মাঝি (লোকজন পারাপারে পাটনি)। তার বাড়ি ছিলো নদীর ঘাটে। ১৯৭১ সালে পাক-আর্মি তার বাড়ির পাশ দিয়ে যাওয়ার সময়ে মাঝেত মিয়ার পরিবারের লোকজন অমানবিক নিযার্তনের স্বীকার হয়। সেই সময়ে এই বীরাঙ্গানা হারান তার সম্ভ্রম। মো. মাঝেত মিয়ার মৃত্যূর পরে স্ত্রী রওশন আরা বেগম ছেলে জালিম, আলিম এবং মেয়ে রহিমনকে নিয়ে কোন রকমে দিন পার করে। ছেলেরা এবং মেয়ে হত দরিদ্র হবার কারণে তিনি অভাবের যন্ত্রণায় অবশেষে ভিক্ষা বৃত্তিতে নামেন।
কাশিয়ানী প্রেসক্লাবের সাধারণ সম্পাদক নিজামুল আলম মোরাদ (তদকালিন) উপজেলা নির্বাহী অফিসার আব্দুল লতিফের সাথে আলাপ করে একটি ভবন ও ভাতা করে দেয়। বেশ ভাল ভাবে তিনি বিধবা মেয়ে রহিমনকে নিয়ে দিন পার করছিলেন। বর্তমানে তিনি বার্ধক্য এবং নানান রোগে আক্রান্ত হয়ে বিছানায় পড়ে আছেন। টাকার অভাবে রোগের চিকিৎসা করাতে পারছেন না।
মেয়ে রহিমনের সাথে কথা বলে জানা যায়, ভাতার টাকায় কোন রকমে সংসার চলে। চিকিৎসা করাতে অনেক টাকা দরকার তা আমরা জোগাড় করতে পারছি না। তাই ভাল কোন ডাক্তার দেখাতে পারছি না। কারো কাছে কোন ভাল সহযোগীতাও পাচ্ছি না।
-সময়ের সংলাপ২৪/ডি-এইচ
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন