জিয়া চ্যারিটেবল ট্রাস্ট মামলায় কারাবন্দি বিএনপি চেয়ারপার্সন বেগম খালেদা জিয়ার জামিন আবেদন খারিজ করে দিয়েছেন সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগ। আজ বৃহস্পতিবার দুপুরে প্রধান বিচারপতি সৈয়দ মাহমুদ হোসেনের নেতৃত্বে ছয় সদস্যের পূর্ণাঙ্গ বেঞ্চ এ আদেশ দেন।
এর আগে আজ সকাল সাড়ে ১০টায় আপিল বিভাগের পূর্ণাঙ্গ বেঞ্চে খালেদা জিয়ার জামিন শুনানি শুরু হয়। সুপ্রিম কোর্টের রেজিস্ট্রার জেনারেল মো. আলী আকবর আদালতে তার শারীরিক অবস্থার প্রতিবেদন উপস্থাপন করেন।
আদালতে উপস্থাপিত প্রতিবেদনের ওপর প্রথমে শুনানি করেন অ্যাটর্নি জেনারেল মাহবুবে আলমসহ রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবিরা। পরে শুনানিতে অংশ নেন খালেদা জিয়ার আইনজীবীরা। শুনানি শেষে জামিন আবেদনটি খারিজ করে দেয়ার বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন রাষ্ট্রপক্ষ ও আসামি পক্ষের আইনজীবীরা।
গতকাল বুধবার বিকেলে খালেদা জিয়ার স্বাস্থ্যগত প্রতিবেদনটি সুপ্রিম কোর্টের রেজিস্ট্রার জেনারেলের কার্যালয়ে দাখিল করে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয় (বিএসএমএমইউ) কর্তৃপক্ষ। এ প্রতিবেদনে মেডিকেল বোর্ড বলেছে, রাজি না হওয়ায় খালেদা জিয়াকে উন্নত চিকিৎসা দেয়া সম্ভব হচ্ছে না। তবে তার ব্লাড প্রেসার ও ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণে রয়েছে।
এর আগে গত ২৮ নভেম্বর খালেদা জিয়ার জামিন শুনানিতে তার স্বাস্থ্যগত পূর্ণাঙ্গ প্রতিবেদন ৫ ডিসেম্বরের মধ্যে জমা দেয়ার নির্দেশ দেন সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগ। কিন্তু তা জমা দিতে না পারায় ১১ ডিসেম্বরের মধ্যে পূর্ণাঙ্গ প্রতিবেদন এবং আজকে শুনানির দিন ধার্য করা হয়।
গত ১৪ নভেম্বর এ মামলায় হাইকোর্টে খারিজ হওয়া খালেদা জিয়ার জামিন আবেদনের আদেশকে চ্যালেঞ্জ করে আপিল বিভাগে আবেদন করা হয়। সাবেক প্রধানমন্ত্রীর পক্ষে ব্যারিস্টার কায়সার কামাল আবেদনটি দায়ের করেন। গত ৩১ জুলাই মামলাটিতে তার জামিন আবেদন খারিজ করে দেন হাইকোর্ট।
জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট ও জিয়া চ্যারিটেবল ট্রাস্ট দুর্নীতি মামলায় ১৭ বছরের সশ্রম দণ্ডপ্রাপ্ত হয়ে কারাবন্দি বিএনপি প্রধান এখন বিএসএমএমইউতে চিকিৎসাধীন রয়েছেন।
-সময়ের সংলাপ২৪/ডি-এইচ
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন