দক্ষিণ সুরমা উপজেলার লালাবাজার ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান পীর ফয়জুল হক ইকবাল বলেছেন, আমি ইউনিয়নের নাগরিকদের সর্বোচ্চ সেবা প্রদানে তৎপর রয়েছি।
একজন জনপ্রতিনিধি হিসেবে জনগণের ন্যায্য অধিকার প্রদান সহ তাদের জীবন মান উন্নয়নের লক্ষ্যে প্রতিনিয়ত কাজ করে যাচ্ছি।
চেয়ারম্যান নির্বাচিত হওয়ার পর থেকে ইউনিয়নের নাগরিকদের সুখ-দুঃখের অংশিদার হতে চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে। সরকারি-বেসরকারি সব ধরনের নাগরিক সেবা যাতে জনগণের দোরগোড়ায় পৌছে সে লক্ষ্যে পরিষদের সদস্যদের নিয়ে আপ্রাণ চেষ্টা চালাচ্ছি।
ইউনিয়নের বিভিন্ন গ্রামের বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠান, রাস্তাঘাট, কালভার্ট, ব্রিজ, সাকো সংস্কার সহ জনহিতকর প্রতিষ্ঠানের কল্যাণে সর্বোচ্চ অগ্রাধিকার প্রদানের চেষ্টা করছি।
লালাবাজার ইউনিয়ন পরিষদের ৭ম চেয়ারম্যান পীর ফয়জুল হক ইকবাল তার ক্ষমতার ৩ বছর অতিক্রান্ত হওয়ার মাধ্যমে ইউনিয়নবাসীকে ইতিমধ্যে তার ক্ষমতার মাধুর্যতা দেখিয়েছেন, পাশাপাশি ইউনিয়নের একজন চেয়ারম্যান হিসেবে যথেষ্ট সুনাম অর্জন করেছেন।
২০১৯ সালে মা ও শিশু স্বাস্থ্য সেবায় দক্ষিণ সুরমা উপজেলার মধ্যে শ্রেষ্ঠ চেয়ারম্যান হওয়ার গৌরব অর্জন করেছেন। তার জনহিতকর কার্যকলাপে ইতিমধ্যে তিনি সুভাষ চন্দ্র বসু স্বর্ণ পদক, বাংলাদেশ হিম্যান রাইটস কালচারাল সোসাইটির আব্রাহাম লিংকন স্মৃতি সম্মাননা সহ ৬টি দেশি-বিদেশী সম্মাননায় ভূষিত হয়েছেন।
যা ইতিপূর্বে লালাবাজার ইউনিয়নের কোন চেয়ারম্যান কিংবা জনপ্রতিনিধির পক্ষে সম্ভবপর হয়ে উঠেনি। দীর্ঘদিন যুক্তরাজ্যে অবস্থান করেও দেশ ও দেশের মানুষের কল্যাণে কাজ করার ফল স্বরূপ জনগণ তাকে চেয়ারম্যান হিসাবে নির্বাচিত করেছিল।
তাদের ভালবাসার প্রতিদান স্বরূপ পীর ইকবাল শ্রেষ্ঠ জনপ্রতিনিধি হিসেবে বার বার বিভিন্ন সম্মাননায় ভূষিত হচ্ছেন। যা অত্র ইউনিয়নের জন্য সত্যি বিরাট গৌরবের বিষয়।
ইউনিয়নের প্রায় ৪৫ হাজার মানুষের জনপ্রতিনিধি পীর ইকবাল তার দায়িত্ব পালনের পাশাপাশি এলাকার শিক্ষা বিস্তারের লক্ষ্যে প্রবাসীদের সহযোগিতায় গড়ে তুলেছেন হযরত আবু দৌলত শাহ জাকারিয়া রহ: মডেল মাদরাসা।
ইসলাম ও আধুনিক শিক্ষা প্রদানের সূতিকাগার এ মাদরাসা অত্র ইউনিয়নের জন্য এক বিরল দৃষ্টান্ত। এলাকাবাসী অত্র মাদরাসাকে নিয়ে নতুন করে স্বপ্ন দেখছে। আর এ স্বপ্নের মূল কারিগর পীর ইকবাল।
তিনি মাদরাসা ছাড়াও বিবিদইল বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়, বিবিদইল একাডেমি, বিবিদইল সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, দশহাল সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় সহ একাধিক শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের সাথে জড়িত।
শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে সহযোগিতা তার নিত্য নৈমত্তিক বিষয়। একজন খাঁটি নিবেদিত প্রাণ সমাজসেবী হিসেবে পীর ইকবাল প্রচলিত সমাজ ব্যবস্থার পরিবর্তন সাধনের মাধ্যমে একটি আদর্শ সমাজ প্রতিষ্ঠার স্বপ্ন দেখেন। তার এ স্বপ্নের সারথী হলেন লালাবাজার ইউনিয়নের সর্বস্তরের জনসাধারণ। তাদেরকে সঙ্গে নিয়েই তিনি তার আগাম স্বপ্নের জাল বুনতে চান।
তাই তো রাত-দিন কাজ করে জনগণের মুখে হাসি রেখেই নিজেকে বিলিয়ে দিতে চান সকলের তরে। তিনি তার আগামীর পরিকল্পনা দিয়ে ভরিয়ে দিতে চান গোটা সমাজ ব্যবস্থাকে। আজীবন জনগণকে সাথে নিয়ে এগিয়ে যেতে চান লালাবাজার ইউনিয়নের স্বপ্ন সারথী শ্রেষ্ঠ চেয়ারম্যান পীর ইকবাল।
তিনি তার আগাম স্বপ্নের সফল বাস্তবায়নে সকলের সহযোগিতা কামনা করেন। -টাইম সিলেট
-সময়ের সংলাপ২৪/ডি-এইচ