লোমহর্ষক ঘটনার বর্ণনা দিতে গিয়ে বৃদ্ধা খুব কাঁদছিলেন। ঠিক মতো কথাও বলতে পারছিলেন না। ঘটনার সময়ে বখাটে সোহেলকে বারবার বলছিলেন, ‘আমাকে ছেড়ে দাও। আমি আল্লাহ্ নবীর রোজা রাখছি।’
টাঙ্গাইলের মধুপুরে ১৩০ বছর বয়সী বৃদ্ধাকে ধর্ষণের অভিযোগে ১৫ বছর বয়সী সেই কিশোরকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।
২২ মে, বুধবার রাতে উপজেলার আংগারিয়া গ্রাম থেকে ধর্ষককে গ্রেপ্তার করা হয়। আটক কিশোরের নাম সোহেল মিয়া। সোহেল ওই এলাকার তোতা খাঁ এর ছেলে।
জানা গেছে, আংগারিয়া গ্রামে ধর্ষণের শিকার ওই বৃদ্ধা বয়সের ভারে অন্ধ হয়ে গেছেন। চলাফেরাও ঠিকভাবে করতে পারেন না। ২১ মে, মঙ্গলবার সন্ধ্যার পর বখাটে সোহেল মিয়া (১৫) ওই বৃদ্ধার ঘরে ঢুকে মুখ বেঁধে তাকে ধর্ষণ করে পালিয়ে যায়।
ঘটনায় ধর্ষণের শিকার বৃদ্ধার ছেলে দুদু মিয়া (৭৫) বাদী হয়ে বুধবার সন্ধ্যায় মধুপুর থানায় মামলা দায়ের করেছেন।
লোমহর্ষক ঘটনার বর্ণনা দিতে গিয়ে বৃদ্ধা খুব কাঁদছিলেন। ঠিক মতো কথাও বলতে পারছিলেন না। ঘটনার সময়ে বখাটে সোহেলকে বারবার বলছিলেন, ‘আমাকে ছেড়ে দাও। আমি আল্লাহ্ নবীর রোজা রাখছি।’
এই বয়সে যৌন নির্যাতন সহ্য করতে না পেরে মুমূর্ষ অবস্থায় রয়েছেন বৃদ্ধা। তবে সম্মানের ভয়ে ভুক্তভোগী পরিবার তাকে চিকিৎসার জন্য হাসপাতালেও নেয়নি। ন্যক্কারজনক ঘটনার সুষ্ঠু বিচার নিশ্চিত করার দাবি জানিয়েছেন এলাকাবাসী।
এদিকে মধুপুর থানার ওসি তারিক কামালের নেতৃত্বে পুলিশের একটি দল বুধবার বিকালে ঘটনাস্থলে গিয়ে ঘটনার প্রাথমিক সত্যতা পান।
তারিক কামাল ঢাকা ট্রিবিউনকে বলেন, “ধর্ষিতা ওই বৃদ্ধার ছেলে বাদী হয়ে মধুপুর থানায় মামলা করেছেন। বুধবার রাতে ধর্ষক সোহেলকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। মামলায় বৃদ্ধার বয়স উল্লেখ করা হয়েছে ১৩০ বছর। তাকে ডাক্তারি পরীক্ষার জন্য হাসপাতালে পাঠানো হবে।”
এদিকে বৃহস্পিতিবার সকালে ধর্ষণের শিকার বৃদ্ধার ডাক্তারি পরীক্ষার জন্য টাঙ্গাইল জেলা সদর হাসপাতালে নেওয়া হয়।
এ বিষয়ে জেলা সিভিল সার্জন নারায়ণ চন্দ্র সাহা, “বৃদ্ধার ডাক্তারি পরীক্ষা ও প্রাথমিক চিকিৎসা দেওয়া হয়েছে। এ বিষয়ে তিন সদস্য বিশিষ্ট একটি কমিটিও গঠন করা হয়েছে।”
এদিকে মামলার তদন্ত কর্মকর্তা মধুপুর থানার উপপরিদর্শক (এসআই) জুবাইদুল হক ঢাকা ট্রিবিউনকে বলেন, “প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে সোহেল মিয়া ধর্ষণের কথা স্বীকার করেছে। মামলার বিচারের জন্য আসামিকে আদালতে নেওয়া হয়েছে।”
-সময়ের সংলাপ২৪/ডি-এইচ