আন্তর্জাতিক প্রীতি ম্যাচে কম্বোডিয়ার বিপক্ষে দারুণ এক জয় পেয়েছে বাংলাদেশ ফুটবল দল। শনিবার নমপেন অলিম্পিক স্টেডিয়ামে স্বাগতিকদের ১-০ গোলে হারিয়েছে দুর্দান্ত ফুটবল খেলা লাল-সবুজের দল।
জয়সূচক একমাত্র গোলটি করেন রবিউল হাসান।
পাঁচমাস পর আন্তর্জাতিক ম্যাচে মাঠে নেমেই জয় পেল বাংলাদেশ। সবশেষ আন্তর্জাতিক ম্যাচ খেলেছিল গত বছরের ১০ অক্টোবর। বঙ্গবন্ধু গোল্ডকাপের সেমিফাইনালে সেই ম্যাচে বাংলাদেশ ২-০ গোলে হেরেছিল ফিলিস্তিনের বিপক্ষে। ফলে এই জয় নিঃসন্দেহে দলে স্বস্তি ফেরাবে।
ফিফা র্যাঙ্কিংয়ে বাংলাদেশের অবস্থান ১৯২। আর কম্বোডিয়া ১৭২। পরিষ্কারভাবেই বাংলাদেশের চেয়ে এগিয়ে কম্বোডিয়া। তার ওপর খেলা ছিল তাদেরই মাঠে। তবে কোনো কিছুই বাধা হয়ে দাঁড়াতে পারেনি রবিউল-মাহবুবুরদের সামনে।
কম্বোডিয়ার সঙ্গে আগের তিন সাক্ষাতে দুবারই জিতেছে বাংলাদেশ। ২০০৬ সালে এএফসি চ্যালেঞ্জ বাংলাদেশ জেতে ২-১ গোলে। পরের বছর দিল্লিতে নেহরু কাপে ১-১ গোলে ড্র হয় ম্যাচ। আর ২০০৯ সালে এএফসি চ্যালেঞ্জ কাপে বাংলাদেশ জিতেছিল ১-০ গোলে। ফলে এই জয়ে চার সাক্ষাতে অপরাজিতই থাকল লাল-সবুজরা।
এবারের ম্যাচে আগের সাক্ষাতের ফলাফল উৎসাহ যুগিয়েছে বাংলাদেশকে। যার আভাস পাওয়া যায় ম্যাচের শুরু থেকেই। স্বাগতিক দর্শকদের সামনে প্রথম থেকেই প্রতিপক্ষে সীমানা চাপ বাড়াতে থাকে অতিথিরা। একাধিক আক্রমণ করলেও গোলের দেখা পাচ্ছিল না।
পাল্টা আক্রমণে অবশ্য বাংলাদেশ রক্ষণকে পরীক্ষায় ফেলেছে কম্বোডিয়াও। আক্রমণের মাত্রাটা বাংলাদেশের দিক থেকেই ছিল বেশি। যদিও প্রথমার্ধের খেলা শেষ হয় গোল শূন্যভাবে।
দ্বিতীয়ার্ধে মাঠে নেমে গোল ক্ষুধায় মেতে ওঠে দুদল। বল পেলেই প্রতিপক্ষের রক্ষণে ত্রাস ছড়াতে থাকে। কিন্তু কাজের কাজটা করতে পারছিল না কেউই। বিশেষ করে একাধিক সুযোগ পেয়ে তা কাজে লাগাতে পারেনি বাংলাদেশ।
অবশেষে নির্ধারিত সময়ের খেলা যখন ৭ মিনিট বাকি তখন গোলের দেখা পায় বাংলাদেশ। বাঁ-প্রান্ত দিয়ে করা আক্রমণ থেকে গোল পায় অতিথিরা। মাহবুবুর রহমানের বাড়ানো বলে ৮৩ মিনিটে গোল করেন রবিউল হাসান। শেষ কয়েক মিনিটে বাংলাদেশ রক্ষণে স্বাগতিকরা চাপ বাড়ালেও গোল করতে না পারায় ১-০ ব্যবধানের জয় নিয়ে মাঠ ছাড়ে জেমি ডের শিষ্যরা।
-সময়ের সংলাপ২৪/ডি-এইচ