ইসলামে পিতা-মাতার প্রতি গুরুত্ব - সময়ের সংলাপ24
DHAKA WEATHER

Post Bottom Ad

খুব শীগ্রই আমরা Somoyersonglap24.com ওয়েবসাইট নিয়ে আসছি..

ইসলামে পিতা-মাতার প্রতি গুরুত্ব

Share This

পিতা-মাতার সেবাযত্ন ও আনুগত্য কোনো বয়স ও সময়ের গণ্ডিতে সীমাবদ্ধ নয়। তাদের প্রতি কৃতজ্ঞ হওয়া এবং অনুগত থাকা আমাদের ঈমানের অঙ্গ।

পবিত্র কোরআনে মহান রাব্বুল আলামিন আল্লাহ তায়ালা বিভিন্ন স্থানে পিতা-মাতার প্রতি সদ্ব্যবহার করতে এবং তাদের অনুগত থাকতে জোর নির্দেশ দিয়েছেন। 

রাসূলুল্লাহ (সা.) এর হাদিস থেকেও এই বিষয়ে গুরুত্বারোপ করা হয়েছে। নিম্নে এমনই কিছু আয়াত ও হাদিস পেশ করা হলো-

আল্লাহ তায়ালা বলেন,
وَوَصَّيْنَا الْإِنسَانَ بِوَالِدَيْهِ إِحْسَانًا ۖ حَمَلَتْهُ أُمُّهُ كُرْهًا وَوَضَعَتْهُ كُرْهًا ۖ وَحَمْلُهُ وَفِصَالُهُ ثَلَاثُونَ شَهْرًا

‘আমি মানুষকে তার পিতা-মাতার সঙ্গে সদ্ব্যবহারের আদেশ দিয়েছি। তার মা তাকে কষ্টসহকারে গর্ভে ধারণ করেছে এবং কষ্টসহকারে প্রসব করেছে। তাকে গর্ভে ধারণ করতে ও তার স্তন্য ছাড়তে লেগেছে ত্রিশ মাস।’ (সূরা আহকাফ, আয়াত: ১৫)।

আল্লাহ তায়ালা আরো বলেন,
وَقَضَىٰ رَبُّكَ أَلَّا تَعْبُدُوا إِلَّا إِيَّاهُ وَبِالْوَالِدَيْنِ إِحْسَانًا ۚ إِمَّا يَبْلُغَنَّ عِندَكَ الْكِبَرَ أَحَدُهُمَا أَوْ كِلَاهُمَا فَلَا تَقُل لَّهُمَا أُفٍّ وَلَا تَنْهَرْهُمَا وَقُل لَّهُمَا قَوْلًا كَرِيمًا

‘তোমার পালনকর্তা আদেশ করেছেন যে, তাঁকে ছাড়া অন্য কারোর ইবাদত করো না এবং পিতা-মাতার সঙ্গে সদ্ব্যবহার কর। তাদের মধ্যে কেউ অথবা উভয়েই যদি তোমার জীবদ্দশায় বার্ধক্যে উপনীত হয়; তবে তাদেরকে ‘উহ’ শব্দটিও বলো না এবং তাদেরকে ধমক দিও না এবং তাদের সঙ্গে নম্রভাবে কথা বল।’ (সূরা আল-ইসরা, আয়াত: ২৩)।

হাদিস শরীফে এসেছে,
أَنَّ جَاهِمَةَ رضي الله عنه جَاءَ إِلَى النَّبِيِّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ فَقَالَ : يَا رَسُولَ اللَّهِ أَرَدْتُ أَنْ أَغْزُوَ وَقَدْ جِئْتُ أَسْتَشِيرُكَ . فَقَالَ : هَلْ لَكَ مِنْ أُمٍّ ؟ قَالَ نَعَمْ . قَالَ: ( فَالْزَمْهَا فَإِنَّ الْجَنَّةَ تَحْتَ رِجْلَيْهَا ) رواه النسائي (3104) ، وحسنه الألباني

‘হজরত জাহিমাহ (রা.) রাসূলুল্লাহ (সা.) এর কাছে এসে বললেন, ইয়া রাসূলুল্লাহ! আমি যুদ্ধে অংশগ্রহণের ইচ্ছা করেছি, আপনার কাছে পরামর্শ নিতে এসেছি। রাসূলুল্লাহ (সা.) বললেন, ‘তোমার কী মা আছেন?’ সাহাবী জবাব দিলেন, ‘হ্যাঁ!’। রাসূলুল্লাহ (সা.) বললেন, ‘তার সেবাকে নিজের উপর আবশ্যক করে নাও। নিশ্চয়ই তার দুই পায়ের নিচে রয়েছে জান্নাত।’ (সুনানে নাসাঈ: ৩১০৪)

হাদিস শরীফে আরো এসেছে,
عن أبي هريرة رضي الله عنه قال : "جاء رجلٌ إلى رسول الله -صلى الله عليه وسلم- فقال : يا رسول الله، من أحق الناس بحسن صحابتي؟، قال: (أمك) ، قال: ثم من؟ قال: (أمك) ، قال: ثم من؟ قال: (أمك) ، قال: ثم من؟ قال: (أبوك) متفق عليه .

হজরত আবু হুরাইরা (রা.) থেকে বর্ণিত, একবার এক সাহাবী এসে রাসূলুল্লাহ (সা.) এর কাছে জিজ্ঞাসা করলেন,

‘হে আল্লাহর রাসূল! মানুষের মধ্যে কে আমার সর্বাধিক মনোযোগ পাওয়ার যোগ্য?” রাসূল (সা.) উত্তর দিলেন, ‘তোমার মাতা।’ লোকটি জিজ্ঞেস করলো, ‘তারপর কে?’ রাসূল (সা.) উত্তর দিলেন, ‘তোমার মাতা।’ লোকটি আবার জিজ্ঞেস করলো, ‘তারপর কে?’ রাসূল (সা.) উত্তর দিলেন, ‘তোমার মাতা।’ লোকটি পুনরায় জিজ্ঞেস করলো, ‘তারপর কে?’ রাসূল (সা.) উত্তর দিলেন, ‘তোমার পিতা।’ (বুখারী ও মুসলিম)

মহান রাব্বুল আলামিন আল্লাহ তায়ালা আমাদেরকে উপরোক্ত আয়াত ও হাদিসসমূহের আলোকে পিতা-মাতার প্রতি বেশি থেকে বেশি সদ্ব্যবহার করার তৌফিক দান করুন। আল্লাহুম্মা আমীন।

-সময়ের সংলাপ২৪/ডি-এইচ